চারপাশে ভীড় আত্মার জন
কাটাছেঁড়ায় মত্ত পাপ না পূণ্য,
ডেবিট ক্রেডিট মেলেনি তাঁর
ব্যালেন্সসীটে প্রাপ্তি শুধুই শূন্য!
ট্রায়াল ব্যালেন্সের কেবল প্রফিট
জমা পড়েছিলো জীবনের শ্রম,
ছেলের ভবিষ্যত গড়া হলে’পর
নিজের ঠাঁই বৃদ্ধাশ্রম!
আধুনিক ফ্ল্যাটে হয়নি জায়গা
ঝকঝকে সব দামী
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১৮ বার দেখা
| ৮১ শব্দ ১টি ছবি
নিশুতি রাতে শব্দগুলি
আমার ঘরে বন্দি,
তাই না দেখে মাথায়
জন্মালো এক ফন্দি।
সাজাতে গিয়ে শব্দ
হলাম বেশ জব্দ,
শেষে ছেড়ে হাল
মুক্তি শব্দের পাল।
নিদ্রা দেবীর করি আরাধনা,
কাব্য লেখা সোজা কাজ না।
কবিতা|
১৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৩ বার দেখা
| ২৬ শব্দ ১টি ছবি
কেমন আছো কলকাতা?
– আমি ভালো নেই!
বিষাক্ত কার্বনমনোক্সাইডের গন্ধে
আমার ফুসফুস আক্রান্ত,
ডেঙ্গু -ম্যালেরিয়ায় আমার শরীর জরাগ্রস্ত ;
প্রতিনিয়ত শান্তির অভাবে ধুঁকছি।
প্রাণবায়ু কেড়ে নিতে সর্বক্ষণ চলছে ষড়যন্ত্র,
আমাকে কলুষিত করতে চলছে নিত্য পরিকল্পনা ;
আমার চরিত্রে দাগ দিতে
প্রেমের প্রতীক তুমি দেবযানী
ত্যাগের প্রতীক তুমি দেবযানী
ব্যাথার নাম তুমি দেবযানী
ছলনার শিকার তুমি দেবযানী।
অপেক্ষার আর এক নাম দেবযানী
বঞ্চিতার আর এক নাম দেবযানী
করুণার আর এক নাম দেবযানী
ভালোবাসার আর এক নাম দেবযানী।
উপেক্ষিতা নায়িকা তুমি মহাকাব্যের পাতায়
কাটিয়েছ বড়ো দীর্ঘ সময়
জীবনের গাড়ী হঠাৎ এসে দাঁড়ালো
“কর্ম” নামক স্টেশনে।
যারা নামলো, তারা কোলাহল করতে
করতে নব আনন্দে কর্মের প্ল্যাটফর্মে
ছোটাছুটি করতে লাগল।
রসদ হিসাবে আনা ডিগ্রীগুলি নিয়ে পানীয়ের সন্ধানে বিভিন্ন অফিসে
ছোটাছুটি করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ডিগ্রীগুলির দিকে
ঘৃণাভরে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো-
সত্যিই
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২৭ বার দেখা
| ১৬৯ শব্দ ১টি ছবি
সমাজ গড়ার কারিগররা আজ
অধিকারের অনশন মেলায়,
রাজা আছেন দিবানিদ্রায়
মাথা ব্যাথা নেই এই খেলায়!
রাজা তোর ঘুম ভাঙবে কবে?
কবেই বা তুই সভায় বসবি?
হাহাকার ভরা তোর রাজ্যে
শিল্প তাড়িয়ে চাকরি দিবি!
রাজা এবার
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩০ বার দেখা
| ৭৩ শব্দ ১টি ছবি
কেমন আছো কবি?
তুমি কি এখনও লেখ কবিতা?
এখনও কি সমান ধার তোমার লেখনীতে?
কি সব ছাইপাঁশ লেখ বলতো-
কেউ কি পড়ে তোমার কবিতা?
কি লাভ এসব লিখে?
পারবে তুমি সমাজকে বদলাতে?
তোমার নাকি বিদ্রোহী মন
সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া
সারা দিনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে
খোলা আকাশের নীচে ছাদের কার্নিশের
রেলিং-এ ভর দিয়ে সে এসে দাঁড়ালো;
এলোমেলো কিছু বাতাস তাকে সঙ্গ দিল।
ফুসফুসে কিছু টাটকা খাবার চালান দিয়ে
রসিদের জন্য কর্মরত চাঁদের দিকে
তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলো।
আজ সারাদিন তার এতটুকুও বিশ্রাম মেলেনি।
অসুস্থ স্ত্রীর পরিচর্যায়,ছোট্ট শিশুটির দেখাশোনায়,
কোথায়
গঙ্গানদীকে একবার ডেকে জিগ্যেস্ করেছিলাম-
তুমি তাকে আমার কাছে এনে দেবে?
জানো- সে আমারই, শুধু আমারই।
গঙ্গানদী আমাকে বলেছিল-
অপেক্ষা ক’র।
যে পাড়ে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, সে পাড়-
ক্রমশঃ ক্ষয়ে ক্ষয়ে আমাকে সরিয়ে দিল পিছনে।
তবু প্রতিদিন আমি অধীর আগ্রহে উত্তরের অপেক্ষায় থাকি।
ক্লান্ত হয়ে একদিন বলি-
আমার কথা মনে
কবিতা|
১৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২৮ বার দেখা
| ৮৮ শব্দ ১টি ছবি
মানুষটা যে ছিল-কি তার প্রমাণ?
প্রমাণ আছে ওর ঘরের প্রতিটি দেওয়ালে।
নিত্য আসা-যাওয়া সময়ের ব্যবধান
তারও তো দরকার-শুধু সময়ের তালে তালে।
কি নাম? বাপ-মায়ের আদরের ডাকা
স্নেহ ভালোবাসা, নয় সে তো অবাঞ্ছিত কারো,
কর্মের বন্ধনে বেঁচে থাকা, তা না হলে ফাঁকা।
শূণ্যতার আঁচলে বাঁধা বুঝি গেরো-
তবুও তো তাকে বেঁধে রাখা দায়,
পশ্চিম
বড়বাবু-মেজোবাবু-ছোটবাবু একে একে
সকলেই এলেন, খবরের গন্ধে হাজির
একদল রিপোর্টারও। কি হয়েছে? ধর্ষণ?
একজন না অনেক? ও, অনেক?
তাহলে বল্ গণধর্ষণ? থাকিস কোথায়?
– ফুটপাতে? চল্-ডাক্তারের কাছে,
রিপোর্ট চাই-রিপোর্ট!
ডাক্তারবাবুর কাছে ভীড় করে রিপোর্টাররা।
জানতে চায় সমস্ত ঘটনা।
খবরের কাগজের প্রথম পাতায় ছাপা হবে-
“ফুটপাতে গণধর্ষণ”।
আর্কষণ আনতে বক্স করে দেওয়া হবে।
পাবলিক ট্যারা চোখে ঠিক