মনু মিয়ার সংসার দারুণ সুখের সংসার। মনু মিয়ার স্ত্রী কোনোদিন স্বামীর মুখের উপর কথা বলে না। স্বামীর ন্যায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। পাঁচটা বাড়িতে ছুটা কাজ করে। চার সন্তানের জননী ময়না বেগম বাড়িতে পরিশ্রম করে বাড়ির বাইরেও পরিশ্রম করে। তার স্বামী ফেরেস্তার মতো মানুষ। সকলে তাকে বলে বউ পাগলা।
মনু মিয়া টিটকারির ধার ধারে না। সে গর্বিত বোধ করে নিজেকে নিয়ে। মনু মিয়া প্রতি রাতে যখন ক্লান্ত ময়না বেঘোরে ঘুমায়, ময়নার শরীর নিয়ে খেলে। ময়না চোখের পানি অন্ধকারে কেউ দেখে না। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে সন্তানদের দেখভাল ঠিক মতোই করে।
গরম গরম ভাত, তরকারি রাঁধে। মনু মিয়া তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। ময়না বেগম ফজরের আজানের সময় উঠে গরম গরম রুটি ভাজে। সে রুটি পেট পুড়ে খেয়ে মনু মিয়ার ঢেকুর উঠে। মনু মিয়ার সুখের সংসারে সবাই সুখে থাকে। মনু মিয়া ময়না বেগমের জন্য শাড়ি কিনে নিয়ে আসে। ময়না বেগম খুশি হতে পারে না, ময়না বেগম মনে মনে মাইনে হিসেবে করে।
ছেলেটাকে ভালো স্কুলে দেবে। মনু মিয়া একদিন একটা টিভি কিনে নিয়ে আসে। ময়না বেগম এক দৌড়ে কল পারে গিয়ে খালি কাঁদে। সে ভাবে মেয়েটার একদিন বিয়ে দিতে হবে। মনু মিয়া একদিন সাহেবদের মতো শার্ট প্যান্ট কিনে নিয়ে আসে। ময়না বেগম বিলাপ করে কাঁদে। মনু মিয়া ধমকে উঠে, ময়না বেগম চুপ করে যায়।
মনু মিয়া সকালে নাস্তা করে আরাম করে ঘুমায়। এক ঘুমে উঠে দুপুর দুটায়। ছেলে মেয়ে রা যার যার মতো একে অপরকে দেখে শুনে রাখে। মনু মিয়া মন দিয়ে রেডিও শুনে। রেডিওর সব গানের অনুষ্ঠান তার মনে ধরে।
শুক্রবার দিন ময়না বেগম দুপুরেই ফিরে আসে। দুপুরের খাবার খেয়ে মনু মিয়া স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসে নানা জ্ঞানের কথা বলে। ময়না বেগম কোনো প্রশ্ন করে না।
ফেরেস্তার মতো স্বামীর তথ্য কথা শোনে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে বাতি জ্বালাতে জ্বালাতে ময়না বেগম শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে।
মনু মিয়ার মন মেজাজ মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ভালো যায়। সেদিন সে বউকে বলে, জমি কিনবো, দালান উঠাবো এই দিন দিন নারে বউ। তারপর আয়েশ করে বিড়ি ফোঁকে আর বলে ‘বউ দেখ আরো দুই তিনটা বাসা বাড়িতে কাম পাস্ কিনা। এই কামাইয়ে তো সংসার চলে না রে বউ’।
ময়না কিছু বলে না. ময়না বেগম জন্ম থেকেই বোবা।
loading...
loading...
গল্প ছোট হলেও অন্য রকম একটা অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। বউরা নির্বাক থাক অনেকে চায় নতুনত্ব আছে বলতেই হবে।
loading...
শুভেচ্ছা নেবেন আপা। ধন্যবাদ।
loading...
একদম কাট্ কাট্। কোন অতিরিক্ত শব্দ নেই। চমৎকার অণুগল্প কবি সাজিয়া আফরিন।
loading...
ধন্যবাদ কবি সুমন আহমেদ ভাই।
loading...
ময়না এবং মনু মিয়া গল্পটিকে আমি অসাধারণ বলতে চাই কবিবোন।
loading...
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
loading...
তাহলে তো মনু মিয়াকে সুখি মানুষ বলা যায়।
loading...
তাতো বলাই যায়। ধন্যবাদ কবি রিয়া রিয়া দি।
loading...
ময়না কিছু বলে না. ময়না বেগম জন্ম থেকেই বোবা।
loading...
ময়নার কষ্ট শুধু যে ময়নারই আজাদ ভাইয়া।
loading...
মনু মিয়ার সংসার দারুণ সুখের সংসার।
loading...
দৃশ্যায়ণে তো তাই মনে হয় তুবা আপা।
loading...
যত বোকা ও সরল তরই সুখী। শুধু আমাই বোকা ও সরল হয়ে সুখী হতে পারলাম না।
loading...
আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।
loading...
loading...
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
loading...
বোবা মানুষটার জন্য মন খারাপ হল৷
loading...
সুন্দর কবিতার উপস্থাপনা। কাব্যিকতায় মুগ্ধ হলাম।
কবিকে অভিনন্দন জানাই। জয়গুরু!
loading...
কিন্তু এ তো কবিতা নয়। না পড়ে মন্তব্য করা কি ঠিক?
loading...
বাহ
দারুণ হয়েছে
loading...
ভাষাহীন একটি নারীর অকর্মা অলস একজন স্বামীর
সুখকল্পনার ছবি একছেন গল্পে। সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি।
loading...