হ্যালো, আপনাকে বলছি, শুনতে পাচ্ছেন তো ? ভেবেছিলাম কানেও শোনেন না, চোখেও দেখেন না।
“I simply dont care.” আপনি এই মুহূর্তে কি ভাবছেন। আপনার ৭ বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে ঠিকঠাক বৈষম্যতা দূরীকরণের মন্ত্র দিচ্ছেন তো ? এখনও না !! তবে কবে? পাশের বাড়ির মেয়েকে দেখে ১৪/১৫ বছর বয়সে যখন কু-চিন্তায় মগ্ন হবে তখন ?
বুঝেন কিন্তু। আপনার ৭ বছর বয়সী রাজকন্যা কিন্তু সেই বৈষম্যতা বইবে যুগের পর যুগ ধরে। প্রথমে ঘরে তারপর স্বজনদের মাঝে, এরপর কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে, সব শেষে সবচাইতে নিরাপদ স্থান স্বামীর ঘরে।
এই যে পুরুষদের নিয়ে গাল মন্দ করছেন, পুরুষ গুলো তো আর আসমান থেকে ঠুস করে ধরণীতে পরেনি। আমার আপনার গর্ভে ধরেছে। অতি যত্নে, আদরে, আহ্লাদে আস্কারা দিয়ে, মানুষ না গড়ে, পুরুষ মানুষ গড়েছি। ভেবেছেন কখনো, সেই পুরুষ একদিন ধর্ষণের মতো অপরাধ করবে ?
আজ আমি কথা বলছি না; বলছে আমার বিবেক। বিবেক আজ বড় বেয়াদপ। মানুষটা আমি ভীষণ বিনয়ী আর নম্র ভদ্র। আমার কলম আর আমার বিবেক দুটোই লাগামহীন। উহু, পারিবারিক শিক্ষা আমাকে সেই স্বাধীনতা দেয়নি। ধন্যবাদ জরাজীর্ণ নির্লজ্জ সমাজ তোমাকে … তুমি আমাকে আমূল পাল্টে দিয়েছো।
প্রসঙ্গে ফিরে আসি। তো যে পুত্র সন্তান হলে দু’দুখানা গরু জবাই করে নামকরণ আর কন্যা সন্তানের বেলায় একটা ছাগল; তো সেই সমাজে জীবনের শুরুতে প্রেমিক পেটাবে, জবরদস্তি করবে, ভবিষতে স্বামী পেটাবে, জবরদস্তি ? নাহ! সেটাকে বলে স্বামীর অধিকার। তো যখন কন্যা বাপের বাড়ি এসে ফিরে যেতে চায় না, নানান ভাবে আকুতি মিনতি করে, কাঁদতে কাঁদতে অত্যাচারের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়, আপনি তখন ভুলিয়ে ভালিয়ে মেয়েকে আবারও পাঠান সেই বাড়িতে। কখনো কখনো সেই রাজকন্যা লাশ হয়ে ফেরে; এতে অবাক হবার কি কিছু আছে ?
আমাদের গর্ভে জন্মে, আমাদের পেটাবে, নির্যাতন করবে, ধর্ষণ করবে এই তো খুব স্বাভাবিক … কথা গুলো গায়ে জ্বলুনি দিচ্ছে ? দিক না হয়, একদিন না হয় কিছু মুহূর্ত বিবেকের আগুনে জ্বলুক।
হুঁশটা যে আমাদের কখন হবে ? কখন যে ভেতর থেকে এই দায়িত্ববোধ আমরা অনুধাবন করবো জানিনা। আমার পুত্র সন্তান যদি একজন বিবেকবান মানুষ হয়, তবেই না আমার আর আপনার কন্যা সন্তানদের জন্য নিরাপদ হবে পৃথিবী। এর আগে কিচ্ছু হবে না।
অনেক বাবা মাকে ছেলের দোষ ঢাকতে খুব গর্ব করে বলতে শুনি, He is a man. সরি, কিছু মনে করবেন না … আমার পিতা, আপনার পিতা, আপনার স্বামী, আমার স্বামী পুরুষ যে হয়েছে তাতো জীবনের প্রতি পদে দেখেছি। আসুন সময়কে সময়ের তালে হাতে সামলে, আগে নিজ পুত্রকে মানুষ হিসেবে গড়ি। সুশিক্ষা দেই। সে যখন ভালো একজন মানুষ হবে, by default একজন ভালো পুরুষ হবে।
পুরুষ তুমি মানুষ হবে কবে না বলে, আসুন বলি, পুরুষ আমরা দুঃখিত, আমরা মানুষ গড়িনি বলে।
________________________
সাজিয়া আফরিন। সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
loading...
loading...
… আসুন সময়কে সময়ের তালে হাতে সামলে, আগে নিজ পুত্রকে মানুষ হিসেবে গড়ি। সুশিক্ষা দেই। সে যখন ভালো একজন মানুষ হবে, এমনিতেই একজন ভালো পুরুষ হবে। একমত।
loading...
ধন্যবাদ আজাদ ভাইয়া।
loading...
সরল ভাষায় আলোচ্য বিষয়টিতে দিক নির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। মানলে ক্ষতি নেই। ভালো পুরুষ বা ভালো মানুষ হতে যন্ত্রণা নাই। শুভকামনা সাজিয়া আফরিন।
loading...
ধন্যবাদ সুমন আহমেদ ভাই।
loading...
প্রত্যেকটি নারীই একেকটি পেন্সিলে আঁকা পরী,নারী কখনো নিজে থেকে খারাপ হয় না,খারাপ হয় আমাদের মত পুরুষের হাত ধরেই। তাদেরকে খারাপ বানানোর জন্য আমরাই দায়ী। পতিতালয়ে আমাদের মত পুরুষরা যায় বলেই নারীকে পতিতা বলা হয়। সুন্দর একটি বার্তা দিয়েছেন ব্লগে।
loading...
সুন্দর মন্তব্য মেঘ প্রিয় বালক ভাই।
loading...
সন্তান মানুষ করার পেছনে পারিবারিক ও প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। আজকের এ অবক্ষয় একদিনে তৈরি হয়নি । এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ । এ মুহূর্তে সমাজবিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করছি ।
loading...
সঠিক মন্তব্য আপা। ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
ভালো লিখেছেন আপি
সত্য লিখেছেন
পারিবারিক আর ধর্মীয় শিক্ষা বেশী প্রয়োজন
loading...
পারিবারিক আর নিরাপদ ধর্মীয় শিক্ষা বেশী প্রয়োজন কথাটি মানি আপা।
loading...
সত্য শিক্ষা আর সত্য প্রতিপালনে আমাদের সন্তান কখনও নষ্ট হতে পারে না।
loading...
সঠিক বলেছেন সৌমিত্র চক্রবর্তী দা।
loading...
ধন্যবাদ জরাজীর্ণ নির্লজ্জ সমাজ তোমাকে … তুমি আমাকে আমূল পাল্টে দিয়েছো।
loading...
জ্বী দিদি। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে আছে আজকাল।
loading...
'এই যে পুরুষদের নিয়ে গাল মন্দ করছেন, পুরুষ গুলো তো আর আসমান থেকে ঠুস করে ধরণীতে পরেনি। আমার আপনার গর্ভে ধরেছে। অতি যত্নে, আদরে, আহ্লাদে আস্কারা দিয়ে, মানুষ না গড়ে, পুরুষ মানুষ গড়েছি। ভেবেছেন কখনো, সেই পুরুষ একদিন ধর্ষণের মতো অপরাধ করবে ?'
loading...
আপনি আমার মনের কথা বলেছেন সন্ন্যাসিনী শাকলা তুবা। আপনি এবার "নারী বন্দনা" লিখবেন। সেখানে থাকবে ঘসেটি বেগম, শেখা হাসিনা, শাশুড়ি, ননদ, জা নিয়ে স্পষ্ট কথা। আমরাও যেন বলতে পারি সাহসী লেখা।
।
আমি অসুস্থ, তারপর হালকা হালকা আপনার সুস্থতা ও কল্যাণের জন্য দোয়া করেছি আপা।





loading...
সমাজের এই অবক্ষয় ঠেকানো যাবে কিনা জানিনা।
আইন অপ্রতূল।
loading...
পুরুষ তুমি মানুষ হও আগে। স্লোগানটিকে ভালো ভাবে ধরতে হবে।
loading...
ঠিক বলেছেন আবু সাঈদ ভাই।
loading...
সমসাময়ীক লেখা, সত্যি পুরুষদের আসলেই মানুষ হওয়া এখোন সময়ের দাবী।
loading...
সঠিক বলেছেন আদেল পারভেজ ভাই।
loading...
অবাক হচ্ছেন কেন? এটাই তো স্বাভাবিক! তাইনা?
অসীম ভোগবাদের পরিণতি ফুটতে শুরু করেছে কেবল। প্রকৃত ধর্মহীনতা, মানবতা, বিবেক, সত্য জলাঞ্জলি দেয়া আধুনিকতার বিষ ছোবল! ক্ষমতার অসীম লোভ স্বেচ্ছাচারের করুণ পরিণতি। আজ যেন এইসব কিছু জট মিলিয়ে কুৎসিত মনোবৃত্তি সৃষ্টি হয়েছে যা রাহুগ্রাসে যেন গিলে ফেলছে আমাদের সময়কে।
তথাকথিত নারীবাদীদের প্রচারণায় দেশে বেহাল্লাপনা আরও উন্মুক্ত করে দিন। নোংরা আর জঘন্য আরও কিছু টিভি চ্যানেল ওপেন করে দিন। লাগাবেন কাঁঠাল গাছ আর আশা করে থাকবেন আম্রপালীর, সেটা কখনও হবে নাকি? পর্দা প্রথা বিলুপ্ত করে দিন, আরও খেলা দেখতে পারবেন। হপায় তো কেবল শুরু! প্রচন্ড ক্ষোভ থেকে লিখলাম। ধন্যবাদ।
loading...
আরও অধঃপতনের বাকি আছে তাহলে !!
loading...
পুরুষ তুমি মানুষ হও আগে …
loading...
পুনরায় স্বাগতম শাহাদাত হোসাইন।
loading...
ছেলে মানুষ তো !!! এই বয়সে একটু-আধটু করবে। ওসব কিছু না !!!
পরিবার বা সমাজ থেকে শুধুমাত্র এই কথাটা শুনে একটা ছেলের মানসিক উন্নতি হয়না
loading...
তাহলে আর কি করার।
loading...
প্রিয় লেখিকার অনুকরণে আমার দুটি কথা।
প্রিয় কন্যা।
ভুলে যাও তুমি একজন কন্যা জন্মের সময় মনুষ্যসন্তান হিসেবেই জন্ম নেয়; একজন ছেলে সন্তানের মতোই তোমার বেড়ে ওঠার অধিকার ছিলো। মনে রেখো, ধীরে–ধীরে তোমার ওপর নেমে আসা বৈষম্যই তোমার জন্য একমাত্র বাস্তবতা। এই বৈষম্য মাথায় নিয়েই বড় হও তুমি। এটাকেই তুমি স্বাভাবিক মনে করো। এবং কখনোই তুমি তোমার ভাইয়ের মতো বড়ো হতে যেও না। যদি চাও তবে দেখবে এই সমাজ তোমাকে গ্রহণে অপ্রস্তুত হয়ে আছে। তুমি তখন কোথায় যাবে? বরং শিখে ফেলো নারীর জীবনে পুরুষ–ই সত্য, পুরুষ–ই শ্রেষ্ঠ সত্য। এর চেয়ে বড় কোনো সত্যশ্লোগান নেই।
মনে রেখো পুরুষ ছাড়া নারী অসহায়। পুরুষের সঙ্গ ছাড়া নারী অসম্পূর্ণ। নারীকে সম্পূর্ণ হতে হলে পুরুষের সঙ্গ লাগবে। তোমাকে দেখানো তাবৎ সম্মানের আড়ালেও তুমি আসলে একটি পরাধীন অস্তিত্ব। পরাশ্রয়ী আগাছার মতো। কারণ, তুমি দুর্বল। তোমার ওপর জোরখাটানো পুরুষের অধিকার। তোমার সাথে যখন–তখন যা–তা করা পুরুষের জন্য মামুলি ব্যাপার। এই নীতির বাইরে যেও না। এর বাইরে গেলে তোমার নামের আগে–পরে বিশেষণ লাগবে ‘দারোগা’।
সংসার বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তোমার মতামতের খুব বেশি গুরুত্ব থাকবে না। বরং তোমাকে মাথা নত করে মেনে নিতে হবে সব। এটাই সংসারের নিয়ম। কখনো স্বামীর মুখের ওপর কথা বলো না। এটাই পতিভক্তি। এটাই পতিব্রতা স্ত্রীর লক্ষণ। সুতরাং, এভাবেই সব মেনে নিয়ে বড় হও তুমি। এটাই সামাজিক স্বাভাবিকতা। পুরুষেরা রাত–বিরাতে রাজপথে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে পারবে, তোমাকে দেখলেই শিস দিতে পারবে। তোমাকে ‘মাল’, ‘ফাটাফাটি’, ‘জিনিস’ বলে টিজ করতে পারবে। কিন্তু তুমি পারবে না। ইচ্ছে হলেও এর প্রতিবাদে কিছুই বলতে পারবে না।
পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের তাদের পিছনেই থাকতে হবে। কখনো আগে এগোনোর চেষ্টা করো না। তাহলে পুরুষ তোমাকে বিপদে ফেলবে।
ইতি তোমার লাঞ্ছিতা জননী।
সুন্দর লিখেছেন প্রিয় লেখিকা ও কবি। অসাধারণ কাব্যিকতায় মুগ্ধ হলাম। বিষয়বস্তু সুন্দর। প্রিয় লেখিকা ও কবিকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। সাথে থাকবেন। জয়গুরু!
loading...
অপূর্ব সংযোজন। তবে মন্তব্যের ভাইটাল ফন্ট এতো ক্ষুদ্র যে মোবাইলে জুম করে পড়তে হলো। ধন্যবাদ কবি।
সবার পড়ার স্বার্থে অনুগ্রহ করে ফন্ট সাইজ বড় করে দিন।
loading...
পুরুষ হতে দোষ নেই
তবে পুরুষ পুরুষ হবে বাবা হতে, ভাই হতে, বন্ধু হতে
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষ পুরুষ হয়ে যায় পুরুষ নামের কলংক হয়ে
সময়োপোযোগী লেখা
ভালো লাগলো
শুভকামনা
loading...
শুভ কামনা সতত
loading...
আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে আগে।
নারী কিংবা পরুষ
মানুষ হতে হবে আগে….
স্যালুট আপনাকে লিখাটির জন্য।
loading...