মাসুদুর রহমান (শাওন) এর জন্ম ১৯৯৭ সালে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সবুজে ঘেরা ছায়াঢাকা পঞ্চাশ গ্রামে। পিতার নাম মোঃ মজনু মিয়া, মাতা মোছাঃ খুকুমণি। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বর্তমানে আনন্দমোহন কলেজ’এ (ময়মনসিংহ) বাংলা সাহিত্যে অনার্সে অধ্যায়নরত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছড়া লেখার মাধ্যমে সাহিত্যে প্রবেশ। কবিতা ছাড়াও ছোট গল্প লিখে থাকেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ দ্বারা প্রভাবিত।
সারাদিন শেষে যখন আমি একা হয়ে যাই,
তখন পিছনে যেতে থাকি আমি; বর্তমান ছেড়ে-
অল্প অল্প করে চোখের সামনে স্পষ্ট হয় তোমার মুখ, হাসি এবং চিহ্ন,
মনে হয় যেন, তুমি দূরে যাওনি- এখানেই আছো আমার হাতে স্পর্শ হয়ে।
ফিরে যেতে যেতে আমি থেমে যাই একটা সময়ের মধ্যে, যার
এখন ওয়াজের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, গ্রাম-গঞ্জ, শহরের জায়গায় জায়গায় ওয়াজের নামে কিছু সুরওয়ালা গায়কের আবির্ভাব হবে, এদের বয়কটের উপযুক্ত সময় এখনই। ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার আগে যার ওয়াজ শুনবেন তাকে জানুন। খোঁজ নিন তার জ্ঞানের পরিধি কতটুকু তারপর যান, অমুক
বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সারাদিন মেস বন্ধ থাকে, যাদের সাথে মেসে খাই তাদের প্রায় সবার বাড়ি মোটামুটি কাছে হবার কারণে তারা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে বাড়ি চলে যায় তারজন্যই মূলত মেস বন্ধ থাকে, আমার বাড়ি দূরে হবার কারণে যেতে পারিনা। সাধারণত এই সময়ের খাবারটা আমার
কখনো কখনো হয়তো তুমিও খুব করে চাও আবার সেই দিনটায় ফিরে যেতে যেখানে তোমার আর আমার প্রথম কথা, প্রথম পরিচয়,
হয়তো তুমিও ঘুম ভেঙ্গে গেলে কোন কোন রাতে নীরবে ফিরে যাও সেই প্রথম চোখে চোখ রাখার সময়টাতে।
নিজের অজান্তেই হয়তো কখনো থমকে দাঁড়াও, নিজের শরীরে
আয়োজন করে স্বাধীনতা প্রদর্শিত হয় সাম্যের মুখস্থ বুলি আওড়িয়ে,
ভাষণে মুখরিত হয় একাত্তরের চেতনার গান, দূর থেকে দূরে।
অথচ আমি এই বাংলার নারীদের মগজ ঘুরে দেখি,
সেখানে স্বাধীন ধর্ষকেরা, জারি রেখেছে অনির্দিষ্ট সময়ের কারফিউ।
মধ্যবিত্ত চোখ উপড়ে ফেলতে দেখি ক্রমবর্ধমান স্বাধীন নাগরিক বৈষম্য দিয়ে,
শ্রমিকের
তুমি বলেছিলে আমাকে তুমি ভালোবাসো,
আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে তোমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছিলাম।
আমার যাকিছু ছিলো, যত স্বপ্ন, যত ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষা, যত চাওয়া,
এসবের কোন কিছুই আমার নিজের করে রাখতে পারিনি আর,
কেবল তোমার নামে লিখে দিয়েছিলাম এভাবে আমার যাকিছু আদ্যোপান্ত সব।
তুমি বলেছিলো আমার হাতে হাত রেখে একসাথে
কার হৃদয়ে আজ গান ?
কার মনে আজ বসন্ত বাতাস ?
ফুল ফোটে কার ঠোঁটের আদরে ?
কার হাত জোড়া কেবলই ছুঁড়ে দিতে জানে-
বেদনাহীন প্রেমের কোমল মেঘ ?
তার সাথে আমি মিশে যেতে চাই,
এই সকল ব্যথা বেদনা সরায়ে-
সলিল সমাধি পরে
১৫/০৩/২০২২
আমার রাতগুলো ঘাতক ছুরির মতো,
কেটে কেটে বিচ্ছিন্ন করে আমার শরীর।
কাঠঠোকরার মতো কিছু স্মৃতি,
শিয়রে বসে বিরামহীন ঠুকরে খায় চোখ।
কিছু স্পর্শের অনুভূতি উইপোকার মতো,
নীরবে চেটে খেয়ে যায় ইন্দ্রিয়ের বোধ।
আমার সকল উচ্ছ্বাস এখন দীর্ঘশ্বাস হয়ে,
দখল করে আমার প্রাণের উপকূল।
কিছু আহত ইচ্ছেরা মুখোমুখি দাঁড়ায়,
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শত্রুর মতো দলবদ্ধ হয়ে।
এভাবেই
নেই, কোন চোখ নেই, দৃষ্টির আদরে জড়াবে উর্বর স্বপ্নের মতো করে,
কোন হাত নেই, লতার মতো করে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকবে আমায়।
এই সব শিশিরের মতো নেই কোন কণ্ঠস্বর, শোনাবে আমায় রাতজাগা গান,
কেবলই অন্ধকার ঘন হয়ে আসে আমার সবটুকু শরীর ছুঁয়ে দিতে।
এখানে হৃদয় কেবলই শূন্য আকাশের মতো
আমি বারবার ঢাকা যাচ্ছি একটা সরকারি চাকরির জন্য,
কোম্পানি, এনজিও বা রেস্তোরাঁয় চাকরি হলেও আমি দিব্যি ভালো চলতাম।
তবে তোমার পরিবার একটা সরকারি চাকুরে ছেলে চায়,
তার জন্যই আমি এত বেশি সিরিয়াস, মূলত তোমার জন্য,
অথচ আমার চাকরিটা হয়েও হচ্ছেনা।
বারবার যাওয়া আসার ফলে অচেনা শহরটা কেমন চেনা হয়ে
এত অবহেলা আমি আর সইতে পারিনা প্রিয়,
সইতে পারিনা এত বেশি উপেক্ষা আর।
এত বেশি ঝাঁঝালো দুপুরের রোদ,
নিতে পারিনা আমি আর চোখে সয়ে।
ম্লান হয়ে আসে সকল অনুভূতি শিরায় শিরায়,
সংকুচিত হয়ে যায় সকল আবেগ অন্তর আত্মায়।
ধীরে চারপাশ ঘিরে ধরে গভীর ঘন অন্ধকার,
কুড়েকুড়ে খায়
আরও রক্ত ঝরুক, তবুও পৃথিবী জানুক,
আমরা রক্ত দিতে জানি, মাথা নোয়াতে নয়।
আমাদের নেতা আমাদের রক্ত দেয়া শিখিয়েছেন,
সেই যে বদরে আমরা রক্ত দিয়ে বিজয় আনলাম।
তারপর থেকে আমরা রক্ত দিয়েই ইতিহাস লিখে চলেছি,
কেবল বিজয় আমাদের মঞ্জিল, গোলামী আমাদের রক্তে নেই।।
কেউ বলে এত