একদিন এক দরিদ্র বালক তার স্কুলে যাতায়াতের খরচ উপার্জন করার উদ্দেশ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করছিল। এতে সে মাত্র দশ সেন্ট উপার্জন করল। এবং সে খুব ক্ষুধা অনুভব করল। সে ভাবল, সামনের বাড়িতে গিয়ে তার নিজের খাদ্যের জন্য আবেদন করবে। যাই হোক, যখন অল্প বয়স্ক, আকর্ষণীয় একজন মহিলাকে দরজা খোলতে দেখল, তখন সে খাবারের কথা বলতে আর সাহস পেল না, এর পরিবর্তে সে পান করার জন্য পানি চাইল।
মহিলা বালকটিকে দেখে ভাবল, তাকে বেশ ক্ষুধার্ত ও দুর্বল দেখাচ্ছে,
তাই তিনি বড় এক গ্লাস ভরে দুধ এনে তাকে দিল।
সে ধীরে ধীরে তা পান করল। তারপর সে তাকে জিজ্ঞেস করলঃ
“আমি আপনার কাছে কত ঋণী হলাম?”
“এ জন্য আমার কাছে তুমি কোন ঋণী নও,” উত্তরে মহিলা বল্ল।
“মা বলেছেন, কারও প্রতি দয়া প্রদর্শন করে তার প্রতিদান হিসেবে
কখনও কোন কিছু নিতে নেই।”
“আমার অন্তর থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,” বালক বল্ল।
হাওয়ার্ড কেলি যখন সেই বাড়ি ত্যাগ করল, তখন সে শুধু নিজেকে সুস্থতাবোধ মনে করছে না, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও মানুষের প্রতি তার বিশ্বাসও সুদৃঢ় হল।
অনেক বছর পর, সেই অল্পবয়স্ক মহিলাটি জটিলভাবে অসুস্থ হলেন।
এই অসুস্থ মহিলাকে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তার বিপাকে পড়ে গেলেন। তারা রুগীকে বড় শহুরে ডাক্তারের নিকট স্থানান্তর করলেন। পরামর্শ করার জন্য ডাঃ হাওয়ার্ড কেলিকে ডাকা হলো।
রোগীকে যে শহর থেকে নিয়ে আসা হলো, সেই শহরের নাম শুনে অদ্ভুতভাবে তার চোখ চমকে গেলো। তৎক্ষণাৎ তিনি উঠে ডাঃ এর পোশাক পড়ে রোগীর কক্ষে তাকে দেখতে চলে গেলেন। তাকে দেখে তৎক্ষণাৎ ডাঃ তাকে চিনতে পারলেন। তিনি ডাঃ দের পরামর্শ কক্ষে চলে এলেন। এবং তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন, যেভাবেই হোক রোগীকে সুস্থ করে তুলতেই হবে। সে দিন থেকে তিনি বিশেষভাবে তার প্রতি মনোনিবেশ করলেন। দীর্ঘ দিন যুদ্ধ চালাবার পর, এ যুদ্ধে তিনি বিজয়ী হলেন।
অবশেষে হসপিটালের অফিস কক্ষে এই রোগীর বিলের জন্য ডাঃ কেলি আবেদন জানালেন। তিনি বিলের কাগজ দেখে কাগজের মারজিনে কিছু লিখে তা রোগীর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। মহিলা বিলের পেপার চোখের সামনে খুললেন। বিলের অনেক বড় এমাউন্ট দেখে তিনি আঁতকে উঠলেন। তিনি নিশ্চিত হলেন যে, এই বিলের টাকা আদায় করতে হলে তার অবশিষ্ট জীবন শেষ হয়ে যাবে।
চূড়ান্তভাবে তিনি তা আবার দেখলেন, তার চোখ বিলের মার্জিনে গিয়ে আটকে গেল। যখন তিনি পড়লেন এই শব্দগুলোঃ “এক গ্লাস দুধের বিনিময়ে এই বিলের ফুল পেমেন্ট আদায় করা হলো।”
(সাইন)
ডাঃ হাওয়ার্ড কেলি
আনন্দ আর কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে তার দু’চোখ চিকচিক করে ভিজে উঠলো।
তখন তার আনন্দ ভরা মনে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা জানালেনঃ
“ধন্যবাদ এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য হে সৃষ্টিকর্তা! তোমার ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছে মানবজাতির অন্তরসমূহে এবং তাদের হাতে।।
*********
অনূদিত
loading...
loading...
জীবনের কোন ঘটনা যত তুচ্ছই হোক না কেন, ফেলে দেবার মতো নয়। আপনার পোস্ট থেকে আমাদের শিক্ষণীয় আছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।
loading...
পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আজাদ ভাই। আশা করছি ভালো আছেন।
ঈদ মোবারক
loading...
একেবারেই কমে গেছে আপনার উপস্থিতি। এমন অনূদিত লেখা হলেও ভাল লাগবে।
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন বোন রিয়া। আসলে থাকতে চাইলেও অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ যাযাবরের মত প্রতি ৮ থেকে ১০ দিনে আমাকে প্রায় ৩৫০০-৪০০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে হয় ব্যাবসায়িক পারপাজে। বুঝতেই পারছেন।
ভালো থাকুন অনেক অনেক।
loading...
ধন্যবাদ এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য হে সৃষ্টিকর্তা! তোমার ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছে মানবজাতির অন্তরসমূহে এবং তাদের হাতে।
loading...
আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অসংখ্য ধন্যবাদ সৌমিত্রদা।
ভালো থাকুন অনেক অনেক।
loading...
দারুণ। ঈদ মোবারক ও শুভেচ্ছা।
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সাইদুর রহমান।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন অনেক অনেক।
loading...
অসামান্য শেয়ারিং।
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুমন আহমেদ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন
এই প্রত্যাশা।
loading...
ইদ মোবারক।
loading...
ঈদ মোবারক আবু সাঈদ ভাই।
ভালো থাকুন অনেক অনেক
loading...