হে প্রিয় বন্ধুগণ, তোমরা সবাই কেমন আছো? নিশ্চই ভালো, কেউ হয়তো ভালো নেই! কেউ হয়তো ভালো, ভালো মন্দ মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করছো সকলেই।
যেমন- কেউ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ গাড়ি বাড়ি , ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি বেশি করে অর্জন করার চেষ্টায় ব্যস্ত। কেউ বড় ড়র অট্টালিকা নির্মাণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
অথবা
কেউ হবে গায়ক , কেউ হবে নায়ক , কেউ হবে কবি, কেউ হবে ইতিহাসের ছবি। কেউ হবে বিশিষ্ট শিল্পপতি,
কেউ নিজের ধ্যানজ্ঞান দিয়ে করবে খ্যাতি।
মোট কথা হলো সবাই পৃথিবীর সেরা একজন ব্যক্তি হতে চায়। সেরার চেয়ে সেরা।
আমাদের কাছে এইসব মানেই দুনিয়া। এসব হলেই যেনো আমাদের আর কিছু লাগে না!
সকল খ্যাতির পেছনে একটাই কারণ, একটু সম্মান, একটু বিলাসিতা, একটু আরাম আয়েশ। এমন করেই ভোগবিলাসে মত্ত থাকতে চাই আমরা সকলেই, কিন্তু না, এসব হলেই চলবেনা!
আজ আমরা এমন হয়ে গেছি, দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন!
দুনিয়ার ভোগবিলাসে এতোটাই মনোযোগ দিয়েছি আমরা, ডাইনিং টেবিল ছাড়া খেতে পারি না! খাওয়ার আইটেম দেখে মাঝে মাঝে অবাক হতে হয়! খেতে খেতে গলা পর্যন্ত খাই, খেয়ে এমন অবস্থা করে ফেলি নড়তে চড়তে পর্যন্ত পারি না!
আবার
আরামদায়ক বিছানা না হলে তো আমাদের চোখে ঘুমই আসতে চায় না! শীতের সময় দামী দামী কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাই, আবার গরমের সময় এসি ছাড়াও ঘুম হয় না!
এই হলো আমাদের অবস্থা!
কিন্তু আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর চোখে দুনিয়া কেমন ছিলো ?
তিনি কি দুনিয়ার এসব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন? কখনোই না।
#তাহলে_কেমন_ছিলেন_তিনি?
আবদুল্লাহ(রাঃ)বর্ণনা করেছেন
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একসময় খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। তিনি ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে দাঁড়ালে দেখা গেল তাঁর গায়ে মাদুরের দাগ পড়ে গেছে। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা আপনার জন্য যদি একটি নরম বিছানার (তোষক) ব্যবস্থা করতাম। তিনি বললেনঃ দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? দুনিয়াতে আমি এমন একজন পথচারী মুসাফির ছাড়া তো আর কিছুই নই, যে একটি গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিল, তারপর তা ছেড়ে দিয়ে গন্তব্যের দিকে চলে গেল।
সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৪১০৯)।
জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
এই হলো আমাদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবন।
যাকে কখনোই বিলাসিতা ছুঁতে পারেনি,
ইসলামের জন্য কতো ত্যাগ শিকার করেছেন!
কতো অত্যাচার! কতো নির্যাতন! সয়ে গেছেন জীবনভর!
তিনি তো আমাদের আদর্শ।
আজ আমরা কি করছি? কি শিক্ষা পেয়েছি তার-কছ’থেকে?
আমরা কয়জনে ইসলামের জন্য অত্যাচার নির্যাতন সয়েছি?
আমরা তো কেবল দুনিয়ার ভোগবিলাসে’ই মত্ত! দুনিয়া দুনিয়া করেই জীবন শেষ!
অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া মু’মিনের জন্য কয়েদখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য। (ই.ফা. ৭১৪৯, ই.সে. ৭২০১)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন।
loading...
loading...
শিক্ষণীয় পোস্ট পড়লাম। ইসলামের প্রকৃত বিধান মেনে আমাদের সকলকে চলতে হবে … ইসলাম এর দীক্ষা এবং দেখানো পথ হোক আমাদের সকলের জীবনের প্রধান মাধ্যম। এর ব্যত্যয় আমাদের তৈরী তথাকথিত সমাজ; আমাদেরকেই অন্ধকারে নেবে এবং সত্যিকারার্থেই গ্রাস করবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করবো ভালো আছেন এবং ছিলেন।
loading...