হাটের থেকে সেদিন রাতে একটা ইলিশ কিনে-
আঁধার পথের ধাঁধার ভেতর চলেছেন পথ চিনে।
হঠাৎ কে সে ডাকল এসে, পরাণদাদা থেমে-
ঘাড় বাঁকিয়ে তাকিয়ে দেখে ভয়েই ওঠেন ঘেমে।
বাড়িয়ে দু’হাত দাঁড়িয়ে ভূতে বলল নেকো স্বরে-
“মাছটা দিয়ে পরাণ নিয়ে যা চলে তুই ঘরে।
অনেকদিনই খাই নি তো মাছ- পাইনি সুযোগ মোটে-
আজকে ইলিশ মাছকে খাব” – বলেই হেসে ওঠে।
ভয় পেলে ক্ষয়- সাহসে জয়- ভেবেই পরাণদাদা-
বলেন – “আমি দেখছি- তুমি সত্যি বড়ই হাঁদা।
ইচ্ছে তোমায় দিচ্ছে তাড়া একটু ইলিশ খাবে-
বলছি সাঁচা – খাইলে কাঁচা স্বাদ কি ভাল পাবে?
ছলছি না গো – বলছি শোনো- চলো আমার সাথে-
সত্যি তাজা ইলিশ ভাজা খাওয়াবো আজ রাতে।”
ভাজির লোভে রাজি ভূতে দাদার পিছে হাটে-
বাড়ি এসেই বলেন হেসেই – “দাঁড়াও উঠোনটাতে।”
বলেই দাদা গেলেন চলে ঘরের ভেতর ধীরে-
মশাল হাতে উঠোনটাতে আবার এলেন ফিরে।
“মাছ খাবি আয়” বলেই দাদায় মশাল উঁচু ক’রে-
দাঁত খেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেন “ভাজবো তো আজ তোরে।”
“ওরে বাবা মরেই যাবো”- বলেই পরাণ-পণে-
ভূত পালালো বেজুত বুঝে দুঃখভরা মনে।
(অল্প আলোয় গল্প বলেন পরাণদাদা রাতে-
গবাই-ভবাই পাড়ার সবাই ভয়ের মজায় মাতে।)
loading...
loading...
পরাণদাদার গল্প ৫, ৬, ৭, ৮ মিসিং।
নাকি প্রকাশিত হয়েছে আমিই দেখিনি !! 
loading...
দারুণ হয়েছে কবি শংকর দেবনাথ দা।
loading...
দারুণ কবি দা দারুণ হয়েছে।
loading...