আমার বাসার পাশে ধবধবে সাদা গাত্রবর্ণের একটি বিড়ালছানা এসে হাজির হয়েছিলো। দু’দিন ধরে একই জায়গায় রয়েছে। কে বা কারা হয়তো অন্ধকারের আড়ালে এখানে এসে রেখে গিয়েছে। হয়তো হতে পারে বিড়াল সম্প্রদায়ের কোন অনুপ্রবেশকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।সে যায় হোক এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো এ সম্প্রদায়ের বিড়ালের মাথাপিছু আয় কত সেটা এখনো হিসেব করে ওঠা হয়নি!
যে বিড়াল কারো বাসায় শখের গৃহপালিত প্রাণী বলে ম্যালা যত্ন-আত্তি পায় তার মাথাপিছু আয় কি সারাদিন না খেতে পেয়ে এদিক ওদিক দাপিয়ে বেড়ানো বিড়ালের চেয়ে বেশী হবে নিশ্চয়!কিন্তু সব থেকে সমস্যা হলো বিড়াল সম্প্রদায়ের ভাই বেরাদর জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত। এক টুকরো তেলাপিয়া মাছ দিলেই সব হিসেব উল্টোপাল্টা করে দেয়… ইলিশ, কাতল হলে তো কথাই নেই।
তো বেশ ক’দিন ধরে চলছে বিড়াল সম্প্রদায়ের মাথাপিছু আয় গণনার কাজ। তো প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। গৃহপালিত মোটাসোটা বিড়ালদের একাংশ পদাধিকার বলে দায়িত্ব পেলেন এই বিড়াল শুমারীর। কিন্তু আরেকটা বিপত্তি দেখা গেলো..বিড়ালদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ বলে উঠলো:
মেউ, শুনেছি বড় কাজ করার আগে বিদেশে ট্রেনিং নিতে যেত হয়…তো সেটা ব্যবস্থা করলে ভালো হতো না? মেউ…
এ বড় চিন্তার বিষয়…এত বড় একটা কাজ হবে অথচ কোন বিড়ালের বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে না এটা কি করে সম্ভব! তো সেই মোতাবেক বিড়ালদের অভিজাত শ্রেণির একাংশ ৫০০ কোটি টাকা ব্যায়ে উগান্ডায় প্রশিক্ষণে গেলো। এদিকে বিড়ালদের মাথাপিছু আয় গণনার কাজ এখনো একটুও আগায়নি…
অভিজাত বিড়ালদের একটি শ্রেণি বিড়ালদের খবরের কাগজ ‘বিড়ালের আলো’ পত্রিকায় নিয়মিত বড়বড় কলাম লিখে চলছে… বিড়ালদের দ্রুত মাথাপিছু আয় গণনা করো। অন্যথায় আন্দোলন হবে ঈদের পরে। কিন্তু কি করে বিড়ালদের মাথাপিছু আয় গণনার করা হবে…?সেটা তো অত্যন্ত দূরূহ একটি কাজ…প্রথম সমস্যা হলো বিড়ালের মাথাপিছু আয় গণনায় কেন মূদ্রার হিসেবে করা হবে? দ্বিতীয় সমস্যা বিড়াল সমাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা নেই…আর কিছু বিড়াল একদল থেকে আরেকদলে অনুপ্রবেশকারী। সুতরাং সেই বিড়ালটির মাথা পিছুআয় হিসেব করা বড্ড গোলমেলে হয়ে যাবে। কিন্তু মাথাপিছু আয় হিসেবে না করলে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে তুলনায় কোথায় হবে?
বিড়ালদের মধ্যে একাংশ দাবি জানিয়েছেন, সকল বিড়ালের খাবার নিশ্চিত করো…ওসব মাথাপিছু আয় দিয়ে আমাগো লাভ নাই…কিন্তু সেসব পাত্তাই পায়নি…আগে মাথাপিছু আয় তারপর অন্যকিছু…যাহোক এসব করতে করতে আমার বাসার পাশের বিড়াল ছানাটি আবারো নিখোঁজ হয়ে গেলো…যাক নিখোঁজ হয়েও বাঁচা গেল.. নইলে মরলে মাটি দিতে হবে না পুড়িয়ে ফেলতে হবে সে নিয়েও বিড়ালপতিদের মাঝে বিরাট গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হতো। 😴
loading...
loading...
এইটাই চলমান বাস্তবতা ও যথাযথ লেখনী ।
loading...
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই 
loading...
ইন্টারেস্টিং লিখা। এবং এবং সুখপাঠ।
loading...
আপনাদের অনুপ্রেরণাই লিখতে শেখায়
loading...