ইন এ ক্লোজড রিলেশনশিপ: পর্ব -০১

নীলার সাথে আজ রুপকের প্রথম দেখা। প্রথম মানে জীবনে প্রথমবার তা নয়। রিলেশন হওয়ার পর প্রথম দেখা। মেসেঞ্জারে প্রপোজ, একসেপ্ট তারপর ফরমালি এটাই প্রথম দেখা তাদের; লোকে তাকে কি জানি বলে? ডেটিং! নাহ ডেটিং বোধহয় এটাকে বলে না। যাহোক প্রথম সামনাসামনি দেখা করতে যাওয়া আরকি! কোথায় যাওয়া যায় বোটানিক্যাল গার্ডেন? নাহ ওখানে নাকি কাপলরা অন্য কাজ করতে যায়। আমরা তো সামাজিক কাজই করব। জাস্ট দেখা করব আরকি।

আচ্ছা কি পরা যায়?
পাঞ্জাবি? কি কালার?
নীল পরি।

নীলার তো নীল পাঞ্জাবিই পছন্দ হওয়া উচিৎ। এমন ভাবতে ভাবতেই ফোনটাতে টুং করে উঠল। মেসেঞ্জারে মেসেজ আসল। মেসেজটা যে নীলার তা না দেখেই আন্দাজ করতে পারল রুপক। “অই, বের হবি কখন? আর কোথায় আসবি?” সংসদ ভবনের সামনে আয়, এইতো ৫/৭ মিনিট লাগবে” রুপকের রিপ্লাই। রিলেশন হয়ে যাওয়ার পরেও তুই থেকে তুমি পর্যন্ত এখনো যাওয়া হয়নি। আগে থেকেই বেস্ট ফ্রেন্ড তো। তাই পারলে তুই এর পরে কিছু থাকলে তাই বলতো। ভাগ্যিস এর নিচে আর কিছু নেই।

যাহোক তাদের পরিচয় টিএসসিতে। রুপক বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে সেকেন্ড ইয়ারে। আর নীলা পড়ে ফার্মেসীতে। সেও সেকেন্ড ইয়ারের ই। আন্তঃ ডিপার্টমেন্ট ডিবেট করতে গিয়ে পরিচয় সেই একবছর আগে। তখন থেকেই বন্ধু। আস্তে আস্তে অনেক ক্লোজ। আজ তারা “ইন আ রিলেশনশিপ”! যাহোক সব কাজেই একটু দেরী করে বের হওয়াটা রূপকের স্বভাব। এর জন্য তো আগে কম বকা খেতে হয়নি নীলার কাছে। তবে এবার ব্যাপারটা ভিন্ন, এবার তো আর ফ্রেন্ড হিসেবে দেখা করতে যাচ্ছে না। এবার যাচ্ছে বয়ফ্রেন্ড – গার্লফ্রেন্ড হিসেবে। আচ্ছা বের হওয়ার কথা তো ৫/৭ মিনিটের মধ্যে এখনো বের ই হয়নি রুপক। থাকে সংসদ ভবন এলাকার পাশেই, শের-ই বাংলা নগরে। আবারো মেসেঞ্জার টুং করে শব্দ।
এইবার মেসেজ আসলো:

অই? ১৫ মিনিট হয়ে গেল তোর কোন খবর নাই কেন? একটা কাজেও যদি ঠিক সময়ে আসে!”

এইতো রিক্সায় উঠছি”
ওকে, তাড়াতাড়ি চলে আয়”।

“অ্যাই রিক্সা, সংসদভবন যাবা? কত নিবা?” “২০ টাকা দিয়েন মামা” আচ্ছা চলো। রিক্সায় উঠেই রুপক বলে : আচ্ছা একটা জিনিসতো খেয়াল করা হয়নি। প্রথম দেখা করতে যাওয়ার সময় কি সাথে কিছু নিয়ে যেতে হয়? কি জানি? হয়তো নিতে হয়। কার থেকে শোনা যায়। নাহ কাউকে বলা ঠিক হবে না। কোন ফ্রেন্ডকে বললে শালা আবার মাইকিং করে দিবে। থাক কিছু নিতে হবে না। ও যদি বলে কিছু আনিস কেন তাহলে সরি বলে দিব। তাতেই হবে। আবারো টুং “অই আসবি?” ততক্ষনে রিক্সা সংসদ ভবনের সামনেই এসে গেছে। “আসতে এত লেট করলি! আজকের দিনটাতে তো একটু টাইমলি আসতে পারতিস, আই বস এখানে, আচ্ছা আগে বলতো ক্যাম্পাস বাদ দিয়ে এত দুরে দেখা করতে আসলি কেন?” না মানে ক্যাম্পাসে সিনিয়র, জুনিয়র আছে তো তাই” তো তাতে কি? আগে কি একসাথে ঘুরিনি ক্যাম্পাসে? ঘুরেছি বাট তাও কেমন জানি লাগছিল। তাই বললাম এখানে আয়। এই জন্যই…….

(চলবে)

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ২ জন মন্তব্যকারী

  1. ফয়জুল মহী : ০২-০৬-২০২০ | ৫:২৩ |

    http://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gifঅসাধারণ লেখা ।  ভালোবাসা

    GD Star Rating
    loading...
  2. মুরুব্বী : ০৩-০৬-২০২০ | ১৯:২২ |

    এই পর্যন্ত পড়তে আমার কাছে বেশ লেগেছে। চলুক ধারাবাহিকটি। গুড লাক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...