শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রত্যয় হচ্ছে Maxims of Learning. এই প্রত্যয়টিতে শিক্ষাটা কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করে। অনেকগুলো নীতির সমন্বয়ে এটি গঠিত। যেমন: শিক্ষা হবে সহজ থেকে কঠিন, জানা থেকে অজানা ইত্যাদি। তো সেরকমই একটি নীতি।
হলো : মূর্ত থেকে বিমূর্ত। অর্থ্যাৎ ধরা ছোয়া স্পর্শ করা যায় এমন বস্তু থেকে শিশুকে ক্রমশঃ বিমূর্ত বস্তুর কল্পনার করার দিকে এগুতে হবে। অর্থ্যাৎ শিশুর কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটবে।
শিশুদের বইগুলোতে কৃষকের গল্প, রাখালের গল্পের পরে সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই ভুত, রাক্ষস,দৈত্য, রূপকথার গল্প এসবের গল্প পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি। রাক্ষসের গল্প পড়তে গিয়ে শিশু কল্পনা করে নেয় তিন চোখওয়ালা অদ্ভুত এক প্রাণী, ধরে ধরে মানুষ খেয়ে নিচ্ছে, তার এক নিঃশ্বাসে চারিদিকে ধুলিবালিতে ঢেকে যায়, মেঘের মত কুণ্ডলী পাকাতে থাকে, হুংকার তোলে স্বর্গ মর্তে আমার মতো শক্তিশালী কেউ নাই, আয় আয় আয়…. সহ নানা রকমের গল্প। শিশু কল্পনা করতে থাকে দৈত্য, ভুত, রাক্ষস, শাকচুন্নীকে….
লক্ষ্য করবেন শিশুরা দু’একটা গল্প পড়ার পর নিজের মত করে গল্প সাজানো শুরু করে, রাজকন্যার জন্য পাখির পিঠে চেপে আসে রাজকুমার। রাস্তায় যুদ্ধ হয় এক চোখওয়ালা দৈত্যের সাথে। অর্থ্যাৎ তাদের কল্পনাশক্তি বিকশিত হতে থাকে। যা তার পরবর্তী জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তাছাড়া গল্পগুলো অনেক বেশী আকর্ষনীয় হওয়া শিশুদের বই পড়তে উদ্ভুদ্ধকরণের জন্য, বই পড়ায় আনন্দ পাইয়ে দেওয়া, পাঠ্যাভ্যাসের বিকাশ ইত্যাদি তো থাকছেই……
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
loading...
loading...
loading...
ধন্যবাদ
loading...
শিক্ষা হবে সহজ থেকে কঠিন, জানা থেকে অজানা। এগজাক্টলি।
loading...
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি এমন হলে অসাধারণ কিছু হতো
loading...