আমাদের এই সৌরজগৎ
সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে
প্রায় (৪.৫) সাড়ে চারশ কোটি বছর পূর্বে।
এই সৌর জগত সৃষ্টি হয়েছে
বড় একটি হাইড্রোজেন নীহারিকা থেকে
ইংরেজিতে যাকে আমরা
প্রোটো সোলার নেবুলা বলে থাকি
আর বাংলায় গ্যাসীয় নীহারিকা বলি।
তারমধ্যে কিছু হিলিয়াম ছিল
তার মধ্যে কিছু ভারী মৌল পদার্থ ছিল
এই ভারী মৌল পদার্থ বলতে জ্যোতিষবিদ রা বলেন হিলিয়াম এর ওপরে থাকে
কার্বন, অক্সিজেন, প্লাটিনাম, লোহা…
ভারী পদার্থ হলো
নীহারিকার মধ্যে আগে বড় তারা ছিল
আর সেই তারাগুলো বিস্ফোরিত হয়
এবং বিস্ফোরিত হওয়ার আগে
সেই মৌল পদার্থগুলো সৃষ্টি হয়েছে
মানে একটি সংশ্লেষণ হয়েছে।
সূর্যের মধ্যে যে সমস্ত মৌলিক
পদার্থগুলো পাই সেগুলো এসেছে
পূর্বের ঘটে যাওয়া সুপারনোভা থেকে
পৃথিবীতে আমরা যা দিয়ে গঠিত
যেমন কার্বন, অক্সিজেন,নাইট্রোজেন
হাইড্রোজেন ইত্যাদি।
প্রকৃতির যত শক্তি যত উৎস
ওই একই নক্ষত্র, যে কারণে আমরা সাইডাস,
মানে হল আমরা নক্ষত্রের সন্তান
উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে বয়ে আসা নক্ষত্রের সন্তান।
নিউক্লিয়ার ফিউশন এর মাধ্যমে
আমাদের এই সূর্যের যেভাবে উৎপত্তি হলো।
আমরাও সেরকমই একটি
ফিউশন এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছি।
কিন্তু সেটা অনেক জটিল কঠিন
স্তর পেরিয়ে নানা রকম প্রক্রিয়ার পর
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজকের আধুনিক মানুষ।
পশুপাখি জীব জড়
যা কিছুই রয়েছে তার সবকিছুই
ওই নক্ষত্রের মৌল উপাদান।
আমরা সৃষ্টি হয়েছি
বেঁচে আছি এবং বেঁচে থাকছি
এমনকি এই সভ্যতার ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবে
এটা সম্ভব হয়েছে সূর্যের নির্দিষ্ট
একটি জায়গায় অবস্থানের কারণে।
সূর্যের ও একটি গল্প রয়েছে
যাকে একটি মুক্ত স্তবক বা যেটাকে বলা যায়
ওপেন ক্লাস্টার এখানেই সূর্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সেই সমস্ত তারার সংশ্লেষিত পদার্থ থেকে বা আগের সুপার্ণভা থেকে।
পৃথিবীর বয়স কিংবা মহাবিশ্ব সৃষ্টি
অথবা যাকে আমরা গ্যাসীয় নীহারিকা বলে থাকি
যে সমস্ত উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বুকে পতিত
হয়েছে তা থেকেই আমাদের
এই মহাবিশ্বের বয়স নির্ধারণ করা হয়।
ডিফারেন্সিয়াল রোটেশনে
সূর্য যেভাবে ঘুরে চলছে
এই ঘূর্নয়ন না থাকলেও পৃথিবী নামক
ইউনিক একটি জায়গায় আমরা
কোনভাবেই সৃষ্টি অথবা অবস্থান করতে পারতাম না।
পৃথিবীর অক্ষীয় ঢালের জন্য
যেভাবে ঋতু বদল ঘটে। সেভাবে
এখানে আমাদের জীবনের বদল ঘটেছে
সময়ের বদল ঘটেছে
এবং প্রকৃতির বদল এর মাধ্যমে
আমরা আজ এই পর্যায়ে অবস্থান করছি।
loading...
loading...
আন্তরিক শুভকামনা প্রিয় কবি। শুভ নববর্ষ।
loading...