আমরা সর্বদা আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখি, ছুঁতে পারি না। তোমার স্বপ্ন দেখি কিন্তু পড়তে পারি না। তাই স্বপ্নে উড়ি কল্পনায় উড়ি ভাবনায় উড়ি উড়তে উড়তে মহাকাশের গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যাই বাস্তবতা এই যে, আমরা আজ আকাশে উড়ি চাঁদে যাই, মার্চে যাই জাহি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে এক নক্ষত্র থেকে আরেকটি নক্ষত্র। আমাদের মানব ইতিহাসে এটা কোন সহজ ব্যাপার ছিল না। আজ আমরা তা সম্ভব করতে পেরেছি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশের মাধ্যমে। আমরা এখন চাঁদে নভোযান পাঠাই মার্চে নভোযান পাঠাই রোবট পাঠাই। আমাদের তৈরি ভয়েজার এখন আমাদের এই মহা সৌরজগতের বাইরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। অথবা ১৪৮ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরে অবস্থান করছে।
যা মানব ইতিহাসের বিরল এবং প্রথম। এখন ভয়েজার যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে পৃথিবীর কোন অস্তিত্বকে দেখাই যায় না বালুর মত যদি ক্ষুদ্র কণা থাকে সেটাও দেখা সম্ভব নয়। অথচ এই পৃথিবী এই গ্রহে আমরা বসবাস করছি এই মহা ব্রহ্মাণ্ড কতটা বড় কতটা মহান কতটা বিশাল আর কতটা বিস্তৃত তার অসীম সীমা আমাদের বোধগম্য নেই। আমাদের কেন এখন শুধু এই পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ নেই তা বহমান এই মহাজগতের পথে চলমান রয়েছে যেখানে মানুষ পৌঁছেনি কিন্তু পৌঁছে গেছে মানব ইতিহাসের সেই ছায়া মানব রচিত করেছে আমাদের মতই আর একজন মানুষ আজ থেকে ২০০ বা ৩০০ বছর পূর্বেও মানুষ (বিজ্ঞানী) ঘোষণা দিয়েছিল মানুষ কোনদিন আকাশে উঠতে পারবে না।
তবুও সেই মানুষেরা আকাশে ওড়ার স্বপ্নকে বন্ধ করতে পারেনি কিছু জেদি পাগল মানুষই মানুষের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সাধ পূরণ করতে পেরেছেন যাদের কাছে সভ্যতা আজ ঋণী। এখন আমরা চাইলেই অল্পসময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানে যেতে পারি অবস্থান করতে পারি এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে যেতে পারি যেতে পারি যদিও এই অসীম যাত্রা পথের শেষ নেই। এই অবস্থানে পৌঁছাতে মানুষকে মানবসভ্যতাকে কম মূল্য দিতে হয়নি এই অচেনা পথ পাড়ি দিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে মানুষ এখন মার্চে কলোনি স্থাপন করছে চাঁদে কলোনি স্থাপন করছে মানব বসতির জন্য যাদেরকে রেখে আসা হবে তারা আর কখনো পৃথিবীতে ফিরবে না।
আমাদের এই প্রাণচঞ্চল সুন্দর সবুজ শ্যামল পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করবে না প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কাছে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি এখন খুবই ছোট খুবই ক্ষুদ্র খুবই নগণ্য। তবুও এটাই আমাদের প্রকৃত আবাসভূমি এটাই আমাদের আদিভূমি যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে আমরা বেড়ে উঠেছি যেখানকার সবুজ প্রকৃতির মধ্যে খেলাধুলা করে নিজেদের জ্ঞান সঞ্চয়ের করেছি এবং এই মহাকাশের সবকিছুই অবলম্বন করছি। এই মহাজগতে এমন অনেক সূর্য রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক চাঁদ রয়েছে এই মহাজগতে এমন অনেক গ্রহ নক্ষত্র মিল্কিওয়ে ছায়াপথ রয়েছে গ্যালাক্সি রয়েছে প্লানেট রয়েছে যার দ্বারা আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের এই মহাজগতে আমরা শুধু একাই নয়।
দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ দেখছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ ফলো করছে, দূর থেকে আমাদেরকে কেউ না কেউ অনুসরণ করছে। যদিও আমাদের এই বিষয়টি কেবলমাত্র অনুভূতির দাঁড়ায় তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবুও এই সত্যকে কেউ উড়িয়ে দিতে পারেনা তবুও এই মহাবিশ্বকে কেউ বাতিল করতে পারে না যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব বিদ্যমান। এমন অসংখ্য প্লানেট রয়েছে এই মহাজগতে যা আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে যেখানে আমাদের নভোযান এখনো পৌঁছাতে পারেনি সেখানে আমাদের তৈরি কোন মহাকাশ যান আর আকাশ ছুতে পারেনি, মাটি ছুঁতে পারেনি।
এমনকি আমাদের এই সময় ও সময় যাত্রা কোথাও চলমান আবার কোথাও অস্থির আমাদের সবচেয়ে কাছের যে অ্যানড্রোমিডা গ্যালাক্সি (Andromeda Galaxy) রয়েছে যার জন্ম হয়েছে আজ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি সাল পূর্বে সেখানে পৌছাতেও (২.৫৩৭ million light years) লাগে। (আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আলোর গতি পরিমাপ করা হয় যারা জানেন তারা শুনতে পারেন আর যারা জানেন না তারা জানুন। আলো প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে বা ছুটে চলে। যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগে ৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড তাহলে একদিন এক সেকেন্ডে যদি ১,৮৬,০০০ কিলোমিটার গতিতে আলো ছুটে আসে তাহলে এক মিনিট থেকে ১ ঘন্টা এক ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা তারপরে ২৪ ঘণ্টা তারপর মাস তারপরে বছর এই এক বছরে কত কিলোমিটার আলো তার গতিতে ছুটবে তাকে 1 light years. বলা হয়।)
মহাকালের পথ ধরে সেই অতীতে বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে মহাকাশের কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিল এক গ্যালাক্সি অনেকগুলো প্রোটোগ্যালাক্সির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ও সংকোচন এর মাধ্যমে (মিলন) যার জন্ম। তাহলে অন্য গ্রহ নক্ষত্রের পথে যাত্রা করলে আমাদের জন্ম মৃত্যু আর অস্তিত্বের কি হবে সেটা এক সাধারণ জ্ঞানে অনুমেয়।
loading...
loading...
মহাকালের পথ ধরে সেই অতীতে বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে মহাকাশের কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিল এক গ্যালাক্সি অনেকগুলো প্রোটোগ্যালাক্সির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ও সংকোচন এর মাধ্যমে (মিলন) যার জন্ম।
loading...