প্রকৃতি বিচারের ক্ষেত্রে অন্ধ নয়। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে দ্বিগুণ আকারে ফিরিয়ে দেয়। প্রকৃতির মাঝে বিচরণ করে জুলুম করে প্রকৃতিকে ঘুষ দিয়ে থামানোর কোন উপায় নেই, অন্যায়-অপরাধ অপকর্ম করে ক্ষমা চাওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে নিরুপায় নয়। প্রকৃতি সর্বদাই প্রতিশোধ পরায়ণ। প্রকৃতি যেভাবে অপরাধের বিচারের দায়ভার নেয় মানুষ এভাবে কখনোই নিতে পারে না। প্রকৃতি তার সময়ের অপেক্ষা করে দ্বিগুণ আকারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। ভালো কিংবা মন্দ প্রকৃতি দুয়েই খেয়াল রাখে দুটোই ফিরিয়ে দেয় অনেকগুণ।
প্রকৃতিকে ঘুষ কিংবা উপঢৌকন এর মাধ্যমে পাশে রাখা যায় না পাশে পাওয়া যায় না। কিংবা প্রকৃতির কোন সহমত ভাই নেই। প্রকৃতির নিরব মারণাস্ত্র অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। প্রকৃতি কোন ভ্রম নয়, খেয়াল নয়। প্রকৃতির উপর বিশ্বাস অন্য কেউ হারালেও আমি কখনো হারায় না। কারণ আমি বিশ্বাস করি প্রকৃতি আমাদের জীবনকে দারুন ভাবে সাজিয়ে দেয়, বেঁচে থাকার জন্য।
বিশ্বাসী বন্ধু কিংবা প্রতারকগণ সর্বদা পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। কিছু ভেবে যদি ক্ষমা করেও দেন সারাজীবন আপনার পাশে থাকলেও বিশ্বাসী হয়না। হৃদয়ে তার জন্য ঘৃণা ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই থাকে না। ঘৃণা এমন একটা জঘন্যতম স্থান। কাউকে যদি একবার সেই ঘৃণার স্থানে রাখা হয় কোনদিনও সেই মানুষ তার সুন্দর জায়গা তৈরী করে নিতে পারেনা।
তাই বলবো বিশ্বাস অর্জন করে ধোঁকা দেয়ার পরিণাম খুব ভয়ংকর হয়। এমনকি তা জীবিত থেকে উপভোগ করা মানে মৃত্যুর চেয়েও নোংরা এবং জঘন্যতম। এর চাইতে আত্মসম্মান হীন জীবন আর হয় না। এখানে বেঁচে থেকেই নরক যন্ত্রণার তিরস্কার উপভোগ করা মানে নিকৃষ্ট জীবন ছাড়া কিছু নয়। এরচেয়ে নামে-বেনামে প্রাণীর জীবন সুন্দর।
পারিবারিক দায়বদ্ধতা ও বন্ধনের মধ্যে থেকে মানুষ যে আত্মসম্মান তৈরি করতে পারে স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে শ্রদ্ধা স্নেহ ও ভালবাসায় সর্বদা তাঁদের আগলে রাখে। সে হোক নারী কিংবা পুরুষ সমাজে কেউ কোনভাবেই ঊশৃংখল আচরণ কিম্বা অশ্লীলতা ছড়াতে পারে না।
নারী কিংবা পুরুষ তাদের ভাষা ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরী সেটা হোক পরিবারে হোক সমাজে হোক পরিচিত অপরিচিত আলোচনা-সমালোচনায়। প্রত্যেকটা মানুষ একজন আরেকজনের প্রতি সবার সাথে সুন্দর আচরণ ভালো ব্যবহার অবশ্যই কাম্য তার পরেও তাদের ভেতরে যদি অশ্লীল বাক্য উচ্চ কণ্ঠস্বর কিম্বা ঊশৃংখল আচরণ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তবে তার ভেতরে কোনো লজ্জা বোধ নেই। এরা সর্বদা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের যে আচরণ সেটাই করে থাকে।
এরা যেকোন পরিবারের জন্যই বিপদজনক সমাজ এদের জন্য কোনভাবেই জায়গা ছেড়ে দেয় না। কারণ সমাজে যখন ঊশৃঙ্খলা দেখা দেয় তখন সমাজ সেই ঊশৃঙ্খলা থামানোর জন্য সেই ঊশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করে। সমাজের সিদ্ধান্তের বাইরে কেও যেতে পারে না কেউ যদি তা ভঙ্গ করে সমাজ তাকে তার অবস্থান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
loading...
loading...
সমাজের সিদ্ধান্তের বাইরে কেও যেতে পারে না কেউ যদি তা ভঙ্গ করে সমাজ তাকে তার অবস্থান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ___ পূর্ণমত প্রিয় শামীম বখতিয়ার।
loading...