নতুন করে পথ চলা...

21158

জ্ঞানের গভীরতা ও কোন মানুষকে বদলানোর মনস্তাত্ত্বিক দর্শন কেমন হওয়া উচিত। নতুন করে পথ চলা…

পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল’ দিন বদলে যায় রাত আসে, ভোর আসে, সকাল হয়,আবার রাত হয়ে যায়, আবার আসবে দিন। আমাদের এই চলমান জীবন অভিধানে সময়ের ঘড়ির কাটায় বেঁধে দেয়া সময় বদলে সময় আসে’ মানুষগুলো তাদের জায়গা থেকে মানুষই থেকে যায় তবে তাঁদের রঙ বদলায়। কিছু কিছু মানুষ তার জীবনের সত্য নীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে না পারলেও অন্য কেউ বদলানোর চেষ্টা করবে। তবে সর্বক্ষেত্রে বোঝা যায় যে, মানুষের প্রয়োজনে মানুষই পণ্যসামগ্রীর মত ব্যবহৃত হয়।

আমাদের মানুষ সমাজ’ কিছু কিছু মানুষের মধ্যে যখন কোন কিছুর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন আবার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার নানান কলাকৌশল চলতে থাকে। এসব মানুষের জীবনযাত্রা বিষয়ে আমি খুবই গভীর ভাবে অবলোকন করি তাদের অন্তর তুষ্টির কথা! আদতে তারা কি কখনো সুখী ছিল? সুখী হয়েছিল? সুখী জীবনের কোন চিন্তা করে কী, তাদের ভিতরে কোন সুখি ভাবনা রয়েছে নাকি তারা শুধুই মরীচিকার পিছে ছুটে চলে?

এর পেছনের উত্তর কি হতে পারে সেটা আপনাদের কে আর খোলাসা করে বলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না। আশা করছি আমার এই লেখা শব্দগুলোর ভেতরেই তাদের চিন্তাভাবনার উত্তরগুলো রয়েছে যা নতুন করে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। জীবনের এই চক্র মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত ঘটে, ঘটে চলে এটা চলমান থাকবে এটা জারি থাকবে থাকবে। যে সমাজ ব্যবস্থায় যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যে পরিবার ব্যবস্থায় মানুষের সততা, মানুষের বিশ্বাস’ মানুষের মর্যাদার কোন মূল্য নেই, সেই সমাজ পরিবারও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এর পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না তবে আমরা আশায় বুক বাঁধি স্বপ্ন দেখি সবকিছু পরিবর্তন হবে সবকিছুতে নতুনের ছোঁয়া লেগে জীবনের এই চলমান গতি নতুন করে শুরু হবে সমাজ পরিবার রাষ্ট্র নীতি তে কিংবা অর্থনীতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

এই সমাজ ব্যবস্থায় এই পরিবার ব্যবস্থায়। যারা দুই দিনের আলোয় এসে নিজেকে আলোকিত বলে দাবি করে, যারা দুই দিনের জীবন বিধানের পথে হেঁটে নিজেকে অনেক জানেওয়ালা বোঝানোর চেষ্টা করে আসলে তাঁরা একটি ক্ষুদ্র চিন্তার ভেতরেই নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছে বলেই মনে করি। এইটুকু ক্ষুদ্র চিন্তার মাধ্যমে যখন কোন মানুষ অন্যকে বদলানোর প্রয়াস করে তারা কি প্রকৃত মানুষ? প্রকৃত সত্যের চর্চা করে? প্রকৃত জ্ঞানের চর্চা করে? প্রকৃত ঈশ্বর ভাবনার চর্চা করে? তবে আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থায় একজন খারাপ মানুষ কখনোই একবারে হঠাৎ করে বদলে যায়না। পেছনে একটা রিজন থাকে রহস্য থাকে এমনকি অনেক চড়াই-উতরাই পার করে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যের পথে প্রত্যাবর্তন করেন এটা কে আমি সাধুবাদ জানাই।

এই জগতে কারো যদি কোন বদ অভ্যাস থাকে সেটাকে কোন মানুষই একদিনে সংশোধন করতে পারেনা, যখন কোন মানুষ একজন মানুষকে সামান্য একটা কথার মাধ্যমে হঠাৎ করে বদলানোর চেষ্টা করবে তখন বুঝতে হবে তার চিন্তার পরিধি কতটুকু বা কতটা অসম। যে কোনো বিষয়ে একজন মানুষকে বদলানোর প্রয়োজন বোধ করলে তার খারাপ গুন গুলো ধরে ফেলুন তার সাথে একটু একটু করে কথা বলুন প্রতিদিন একটা করে কথা বলুন প্রতিদিন একটা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ দিয়ে শুরু করুন প্রতিদিন একটা তথ্য নিয়ে হাজির হন সেখানে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে অবশ্যই সময় নিয়ে বদলানোর ভাবনা রাখতে হবে এর পেছনে অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে। একটা মানুষের জীবনে সাধনা ব্যতীত কোন কিছুর সফলতা অর্জন হয় না। সৎ চিন্তা সৎ ভাবনায় সৎ উপাসনায় সমাজের কিছু বদল ঘটাতে গেলে অবশ্যই সমাজকেও সেই সময় টা দিতে হবে।

বদলানোর যদি কোন রিজন থাকে তাহলে তার পিছে লেগে থাকতে হয়। ভালো কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে একজন মানুষ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সমাজে এমন অনেক খারাপ কাজ হয় পরিবারে এমন অনেক জঘন্য অপরাধ হয় সেগুলোকেও পরিবর্তন করা দরকার। আপনি যদি কোন কিছু বদল ঘটাতে চান তবে অবশ্যই আপনার পরিবার থেকে বদলটা শুরু করতে হবে। তার আগে কোনভাবেই অন্যকে জ্ঞান দেওয়া যায়না তার আগে কোনো ভাবে অন্যকে বদলানোর চিন্তা মাথায় আনা যায় না।

যখনই আপনি আপনার ঘর থেকে বদলানোর চিন্তা না করে অন্যকে বদলানোর চিন্তা করবেন তখন আপনাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। ভালো কাজে অবশ্যই প্রশংসার যোগ্যতা রাখে কিন্তু এক দিনের ভিতরে জগতের কোন কিছু পাল্টানো অসম্ভব। আমাদের জগতের এই সিস্টেম একদিনে কেউ পাল্টাতে পারবে না। আর এই জগতের সিস্টেমটাও একদিনের আসেনি মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও একদিনে গঠন হয়নি মানুষের বুঝ পরামর্শ একদিন শুরু হয়নি মানুষের অনুধাবন, চিন্তা, একদিনে উন্মোচন হয় না। অতএব, যা কিছুই করেন সেই চিন্তার বিষয়বস্তুকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।

আমাদের পরিবার পরিজনের অসহায়ত্বকে একদিনে বদলাতে পারবেন না আমাদের জীবনের মনস্তাত্ত্বিক ভাবনাকে কেউ একদিনে বদলাতে পারে না। তার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন সেজন্য ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে, প্রত্যেকটা মানুষের; যারা সমাজের সেই বদলানোর দায়িত্বটা নিয়েছেন তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয়। যারা পরিবারের সেই দায়িত্বটা নিয়েছেন তাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয়।

যারা সমাজের সেই দায়িত্বটা নিয়েছেন তাঁদেরকে ধৈর্যশীল হতে হয় এমনকি ধৈর্যশীল হতেই হবে। ধৈর্যশীল না হওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। পরিবর্তনশীল মানুষদের জন্য পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে খুবই কৌশলী হতে হয়। তাছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। কাউকে যদি বদলানোর প্রয়াস থাকে তাহলে তার হৃদয়ে প্রবেশ করতে হবে, অন্তর থেকে অন্তরের গভীরে তার অবস্থান করতে হবে। তাদের অতীত ভাবনা, তাদের বর্তমান ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও একটা মানুষের পেছনে যদি কেউ লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বদলাতে পারে’ বদলে যায়, বদলাতে হয়।

সেটা আপনজনের জন্য পরিবারের জন্য অন্য কোন শ্রেণীর জন্য কিংবা সমাজের জন্য কিংবা রাষ্ট্রের জন্য কিংবা এই পরিবর্তনটা করতেই হবে। কিন্তু আমরা কি সত্যিই পরিবর্তন করতে চেষ্টা করি? আমাদের মত এই সমাজের মানুষদের প্রতি আমার একটি প্রশ্ন?

আমরা কি জানি, সেই পরিবর্তন করতে গিয়ে আরো খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছিনা তো আমরা? পরিবর্তনের রীতি নীতি দৃঢ় হতে হয়। রাগ কিম্বা বদ মেজাজ অথবা নিজের মস্তিষ্কের সুস্থ ব্যবহার না করে আপন গতিতে হুংকার দিয়ে জগতের কোন সিস্টেমকে পরিবর্তন করা যায়না। কোন মানুষকে পরিবর্তন করা যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে মানুষটা আপন বিবেকের মধ্যে পরিবর্তনের বিশ্বাসটা অর্জন করতে না পারবে। এর জন্য চাই সুকৌশল সাদৃশ্য মান চিন্তা চেতনা, এসব ব্যতীত অন্য কোন কিছু দিয়ে সমাজ পরিবারের কোনো মানুষকে পরিবর্তন করা যায়না।

এসব কোনো কাজের বিষয় নয়। আমরা যখন কোন অবস্থান থেকে সরে আসার প্রমোদ বাসনা অন্তরে ধারণ করি লালন করি কিংবা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই তখন একজন মানুষের ভেতরে অনেক ধরনের ভুল চিন্তা কাজ করে, ভুল ভাবনা কাজ করে, একজন মানুষের দীর্ঘ বছরের চিন্তাভাবনাকে যখন আপনি একদিনে পরিবর্তন করতে যাবেন তখন বুঝতে হবে আপনার কোনো যোগ্যতা নেই অন্যকে জ্ঞান দেবার। আমি জানি ভালোবাসা দিয়ে জগতে মানুষ অনেক কিছুকেই জয় করে, যদি আপনি ভালোবেসে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, অবশ্যই সময় নিয়ে সেই বিষয়টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। যদি কারো মাঝে সেই যোগ্যতাটা না থাকে তবে সেই মানুষটা কোন ভাল কাজ করেও সাফল্য অর্জন করতে পারে না।

পরিবর্তনের বিষয়টি টোটালি একজন মানুষের সম্পূর্ণ অন্তর্দৃষ্টির ব্যাপার। অন্তরের গভীর থেকে একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের যখন শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয় তখন সেই মানুষটা অবশ্যই চাইবে সে মানুষটার জীবন ভালো কাটুক সুন্দর কাটুক পরিবর্তনের অমোঘ স্পৃহা যখন হিংস্রতায় পরিণত হয় তবে তাকে অবশ্যই কোন সফল মানুষ হিসেবে পরিগণিত করা যায় না। যে মানুষ অন্যকে বুঝাতে অক্ষম কিন্তু তার রাগ অশ্লীল বাক্য ব্যবহার কিংবা ঊশৃংখল আচরণের মাধ্যমে সবকিছুকে পরিবর্তন করতে চায় সেই মানুষটা অবশ্যই সমাজের অযোগ্য মানুষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আমাদের জগৎ জীবন তখনি সুন্দর হয় তখনই উজ্জ্বল হয় তখনই ঊর্ধ্বগামী হয় যখন মানুষের হৃদয়ে মানুষের বিবেককে মানুষের চিন্তায় মানুষের প্রজ্ঞা, মানুষের ভাবনায় সৃষ্টিশীল চিন্তার অস্তিত্ব বিদ্যমান বলে উপলব্ধি হয়।
আমরা কি আদৌ এই পৃথিবীর সিস্টেমকে বদলাতে পারবো? আমরা কি সাধারণ মানুষ হয়ে একটি দেশের সিস্টেমকে বদলাতে পারবো? আমরা সাধারন মানুষ হয়ে এদেশের চিন্তাশীল মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে পারব?

না, তা কখনোই সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের যার যার অবস্থান থেকে সেই চিন্তাটা না করবো, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই চিন্তার জায়গাটা আপনার কাছে অন্ধকার বলে বিবেচিত হবে। আপনি যদি সেই চিন্তা শীল মানুষের চিন্তার বিষয় বস্তুকে খনন করেন এবং সেটাকে অন্য কেউ সঠিক বলে বিবেচিত করে অবশ্যই সমাজ নয় সে মানুষটা বদলে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সে মানুষটা তার জায়গা থেকে সরে আসবে, সেই মানুষটার নিকট আপনার সম্মান অবশ্যই বৃদ্ধি হবে। পৃথিবীর এই অন্ধকার মুখী সমাজব্যবস্থায় অনেক কঠিন বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলো কখনোই পরিবর্তন করা যায় না।

আমরা একজোট হয়ে লড়াই করলেও সেই বিষয়টাকে কখনোই পরিবর্তন আনতে পারব না যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জায়গা থেকে সেই মানুষের ও তার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম না হবে। আমাদের অক্ষমতা কখনোই দুর্বলতা নয় আমাদের অক্ষমতা কখনোই বোকামি নয় পৃথিবীতে সবাই অক্ষম মানুষ নয়। আমরা যদি এসবে হাত না দিয়ে প্রথমে ঘর থেকে শুরু করি তবে আপনি বলতে পারেন অন্যের পরিবর্তনে কোন কথা। তবেই আপনি বলতে পারেন অন্যের পরিবর্ধনের কথা। তবে আপনি বলতে পারেন অন্যকে বদলানোর কথা।

কিন্তু আপনি নিজে কতটুকু বদলেছেন কতটুকু বদলে গেছেন ততটুকু দিয়েই কি পরিপূর্ণ হয়েছেন নাকি আপনার জীবনে আরও জানার বিষয় রয়েছে আরও বোঝার বিষয় রয়েছে আরও ভাবার বিষয় রয়েছে? নাকি আপনি অল্পতেই বিদ্বান হয়ে গিয়েছেন? নাকি আপনি অল্পতেই সবজান্তা হয়ে গিয়েছেন? আপনি কতটুকু নিজে জানার চেষ্টা করেছেন দুই দিনের জ্ঞানধর্মের তালিম নিয়ে আপনি যদি সর্ব জ্ঞানী হয়ে যান সে ক্ষেত্রে আমি মনে করবো আপনি ভিন্ন জগতে বাস করছেন। আপনার চিন্তার খোরাক সেই সামান্যতম। এই চিন্তা দিয়ে ফসলের মাঠে কোনভাবেই কোন ফসল ফলাতে পারবেন না। ফসল ফলানোর জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম জ্ঞানের প্রয়োজন ফসল ফলানোর জন্য যে জ্ঞান দরকার সেই জ্ঞান নিতান্তই আলাদা রয়েছে।

মানুষের ভেতরে যদি আপনি জ্ঞান তৈরী করতে চান মানুষের ভেতরে যদি আপনি চিন্তা তৈরি করতে চান মানুষের ভেতরে যদি আপনি পরিবর্তনের কোনো কথা বলার চেষ্টা করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই সর্ববিষয়ে অন্যের চেয়ে সর্বাপেক্ষা জানতে হবে। এমনকি তাদের ভেতরে সেই বোঝার মত জ্ঞান থাকতে হবে। আমরা যারা এডুকেশনাল সার্টিফিকেট কিংবা তার কোয়ালিফিকেশন নিয়ে গর্ববোধ করি আমরা যারা সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রে যাদেরকে মেধাবী বলে পরিচয় দিই বা স্বীকৃতি দেয় তাদের বিষয়ে আপনি যদি একবার ভাবেন বা চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন একটা দুইটা কিংবা তিনটা বই এর উপরেই সর্বোচ্চ ডিগ্রীটি নেয়!

কিন্তু যারা আমাদের এই সমাজে বহুবিধ চিন্তার অধিকারী বহুবিধ ভাবনার অধিকারী বহুবিধ যুক্তিকে খন্ডন করতে পারে বহুবিধ ভাবনার প্রয়াস ঘটাতে পারে এসকল মানুষ তাদের মুক্ত জ্ঞানকোষ এর মাধ্যমে যখন কোন নিত্য নতুন ভাবনার উদ্ঘাটন করে চলেছে যারা বহু জ্ঞানে জ্ঞানানিত্ব আমরা কি তাদেরকে জ্ঞানী বলে আখ্যায়িত করি? আমরা কি তাদেরকে মেধাবী বলে পরিচয় করে দিতে পারি? অবশ্যই না। অবশ্যই না … পারি না। আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যারা একটা বই পড়ে ডিগ্রি নিয়ে মেধাবী হয়ে যায় তারাই সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ।

এখানে আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা নিজেদেরকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। আসলে আমরা জ্ঞানের চর্চা করতে জানিনা বলে আমরা জ্ঞানীর কদর করতে জানিনা। আমরা যদি সমাজের সেই সকল মানুষদেরকে একটু সুযোগ দিতাম কোন কিছু বলার একটু সুযোগ দিতাম কোন কিছু উদঘাটন করার তবে এই সমাজ এই পরিবার এই রাষ্ট্র’ অনেকদূর এগিয়ে যেত বদলে যেত, বদলে যেত পৃথিবীর অবকাঠামো, সমাজব্যবস্থা, জগত সুন্দর ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠত প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে সফলতা অর্জন হতো।

আমরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী কিন্তু আমরা যখন কাউকে কোন কিছু বলার প্রয়াস করি তখন আমরা একবার ভেবে দেখি না যার সঙ্গে কথা বলছি তার সাথে কিভাবে কথা বলা উচিত। কিভাবে কথা বললে তার কাছে একটা সঠিক জায়গা করে নিতে পারব কিভাবে কথা বললে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। তবে আমি এটুকু বিশ্বাস করি জগতের সর্বাপেক্ষা মূর্খ শিক্ষিতরা। অন্ধকার জগতের সেই কুসংস্কারকে এখন পর্যন্ত হৃদয়ে ধারণ করে। তাদের ভেতরে বদলানোর কোন যোগ্যতাই নেই আসলে বদলানোর মতো জ্ঞান যদি থাকতো তারা অবশ্যই সেই জ্ঞানেরই প্রয়োগ করবে। যদি কেউ কোনোদিন কোনভাবে জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে পারে অবশ্যই একজন মানুষ পরিবর্তন হতে বাধ্য।

কারণ সত্য সবার জন্যই সমান ভূমিকা পালন করে সত্য সবার জন্যই গ্রহন যোগ্যতা রাখে, সত্য সবার জন্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে, সত্য সবার জন্যই চমৎকার একটা সমাজ ব্যবস্থা রচনা করে যে সমাজ ব্যবস্থায় আমরা সকলেই সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারব। যেখানে মানসিক প্রশান্তি জীবনের সকল বিষয়বস্তুকে আলাদা করে এক সাইডে রেখে নিজের জীবনকে উন্নত ও একটি শ্রেণীবদ্ধ জীবনের আওতায় এনে সমৃদ্ধ ঘটাতে সক্ষম হয়। এখানে মানব জীবনের পরিস্ফূটিত সুন্দর ভাবনাগুলো রচিত হয়। মানুষ এগিয়ে যায় আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে আর ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে উঠে আলোকিত মানুষ। আমরা সেই আলোকিত জীবনের স্বপ্নই দেখি।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৩ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১১-০৭-২০২১ | ৮:২৮ |

    জীবনের সময় বহমান। একটি একটি নিঃশ্বাস … আমরা ফুরিয়ে যাচ্ছি।
    সেখানে নতুন পথ চলায় মন্দ কী। জীবনী শক্তি বেড়ে যাবে। শুভ কামনা প্রিয় শামীম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. নিতাই বাবু : ১১-০৭-২০২১ | ৯:২৮ |

    সত্যি সকলের চিন্তাই আগামীর দিকে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে পথচলা।
    লেখকের জন্য একরাশ শুভকামনা।

    GD Star Rating
    loading...
  3. ফয়জুল মহী : ১১-০৭-২০২১ | ১০:০২ |

    অসাধারণ _♥♥

    GD Star Rating
    loading...