গণ চিতায় জ্বলছে ভারত। পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ! আমাদের অসতর্কতা আমাদের গাফিলতি আমাদের কেউ কি এমন নির্মম পরিণতির শিকার করবে? আমরাও কী তবে মাটিচাপা পড়বো? করোনা আপনার কাছে আপনাআপনি আসবেনা একে বাইরে থেকে আমরাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের অসতর্কতা অসচেতনতা গাফিলতি হেঁয়ালিপনা’ই মহামারীতে রূপ দিচ্ছে।
আমরা যদি আমাদেরকে সতর্কতার সহিত নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলেই করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাবো, নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। অতএব বাইরে যেখানেই যান মাস্ক ব্যবহার করুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর ব্যবহার করুন। নিজের প্রটেকশন ছাড়াও আপনার আশেপাশের যে সকল গরিব মানুষ অসহায় মানুষ আছে তাদেরকেও এসব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন, সহযোগিতা করুন এতে আপনার সামাজিক দায়িত্বটিও পালন হবে।
বিনা কারণে বিনা প্রয়োজনে বাইরে অকারণে ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী চারপাশের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতাই পারে একটা পরিবারকে রক্ষা করতে। মনে রাখবেন কোন জীবনী ছোট নয় মূল্যহীন নয়, অপ্রয়োজনীয় নয়, জীবন অতি সহজলভ্য বস্তু নয় যা অকারণে হারাবে।
রাষ্ট্রের এই বিপদে যার যার জায়গা থেকে যার যার অবস্থান থেকে যার যার সামর্থ্য থেকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে পারেন। জীবন বাঁচাতে জীবন রক্ষা করতে জীবনের মূল্য দিতে। এই বিপদ কেটে গেলে অবশ্যই আমরা আবার মিলিত হব, সবাই হাতে হাত রেখে চলতে পারবো, প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারবো, নতুন একটা জীবন নিয়ে আবার নতুন করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
আপনার পরিবার আপনাকে নিয়ে যেভাবে চিন্তিত তেমনি চিন্তিত ওই গরীব অসহায় দিনমজুর মানুষের পরিবারটিও। আপনি যেমন আপনার পরিবারের হিরো সেই গরীব অসহায় পরিবারের একজন পিতা একজন ভাই একজন মাথা একজন বোন। এই করোনা মহামারী নিশ্চয়ই আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছে দুনিয়াতে অর্থ সম্পদের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বড় কিন্তু এই করোনা মহামারীর কাছে আপনার জীবনের মূল্য একদম বেকার। করোনা ধনী গরিব দুঃখী অসহায় মানুষ দেখে আসে না, আমাদের অসহায়ত্ব আমাদের দুর্বলতাগুলো আমাদের হেঁয়ালিপনা আমাদের ছোট ছোট ভুল করো না আমাদেরকে আক্রমণ এর জন্য দায়ী।
আমরা চাইলেই একে প্রতিরোধ করতে পারি। আসুন জীবনের মূল্য দিতে জীবনের জন্য এগিয়ে আসি। এই মহামারী হেরে গেলে নতুন একটা জীবন পাবো আমরা। এই মহামারী যদি তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আমরা হেরে যাবো। আমরা অতীতে বহু যুদ্ধ জয় করেছি এই যুদ্ধ একইসঙ্গে লড়ি; এই যুদ্ধ আমরা জয় করব এই যুদ্ধ থেমে গেলে আমরা আবার নতুন করে শ্বাস নেবো। সবাই সতর্ক থাকুন সবাই সবার কে সহযোগিতা করুন, সবাই সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।
আমাদের সতর্কতা এবং আমাদের সহযোগিতাই পারে আমাদের দেশকে এমন বিপদ থেকে রক্ষা করতে। আমাদের পরিবারকে রক্ষা করতে। আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে। আসুন আমরা হাতে হাত মিলে এই ভয়ঙ্কর মহামারী বিরুদ্ধে লড়াই করি। আমরা বেঁচে থাকলে আগামী প্রজন্ম বেঁচে যাবে। আমরা বেঁচে গেলে আরেকটি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবো। আমাদের এই লড়াইটা নিজের সাথে নয়; অদৃশ্য একটি শক্তির সাথে এই অদৃশ্য শক্তি কে হারাতে গেলে, অবশ্যই নিজের শক্তির সাথে আপোস করতে হবে।
নিজের সামর্থ্যের সাথে আপোস করতে হবে। নিজের চিন্তা ভাবনার সাথে আপোস করতে হবে। নিজের বিবেক বিবেচনাবোধের সাথে আপোষ করতে হবে। নিজে যদি এই আপোষহীনভাবে যাচ্ছেতাই ভাবে ঘোরাফেরা করি, চলাচল করি তাহলে এই যুদ্ধে আমরা হেরে যাবো আর এই যুদ্ধে হেরে যাওয়া মানে এই যুদ্ধ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া। বিশ্বের অন্যান্য লড়াকু জাতির মত ওই আমরা একটি লড়াকু জাতি, আমরা কোন বিপদে দেশের বিপদে, রাষ্ট্রের বিপদে, সমাজের বিপদে, পরিবারের বিপদে অদৃশ্য শক্তির বিপদে পেছনে ফিরে তাকাতে পারিনা।
এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হলে সম্মুখ সারিতে থেকেই লড়াইটা করতে হবে। আসুন করোনাকে ভয় না পেয়ে ধৈর্যের সাথে তার মোকাবেলা করে করোনাকে ভয় না পেয়ে তাকে প্রতিহত করার দুর্গ গড়ে করোনাকে ভয় না পেয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
👍🏿মাস্ক পড়ুন
👍🏿ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
👍🏿হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন
👍🏿খালি চোখে চলাচল বন্ধ করুন
👍🏿শরীরে প্রটেকশন পোশাক পরিধান করুন
👍🏿বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে গোসল করুন
👍🏿অফিস আদালতে কলিগ সহপাঠী সহকর্মী বন্ধু-বান্ধবদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলুন,কথা বলুন।
👍🏿 বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন
👍🏿যে পোশাক পড়ে একবার বাইরে গিয়েছেন দ্বিতীয়বার পরিধান করার চিন্তা না করে বাইরে রাখুন প্রয়োজনে খোলা মাঠে বা বারান্দায়, ছাদে সূর্যের তাপমাত্রায় রেখে দিন এবং দ্রুততার সহিত পরিষ্কার করুন।
👍🏿ঘনঘন গণসমাবেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন
👍🏿যাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার সামর্থ্য নেই অথবা মার্কেটে শর্ট সাপ্লাই হচ্ছে পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে কি করবেন ঘরে ব্যবহারের জন্য আপনি নিজে নিজেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে পারেন।
যেভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাবেন
👍🏿১.৫ লিটার পানির মধ্যে একটি লাইফবয় সাবান, ডেটল সাবান অথবা ব্যাকট্রল সাবান গুলিয়ে নেবেন তারপর কিছুক্ষণ আগুনে জ্বাল করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না সাবান পিকগুলো মিইয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল করে তরল জাতীয় হবে যখন তখন তা যে কোন স্প্রে বোতলে তুলে ব্যবহার করতে পারেন।
দ্বিতীয় নাম্বার অপশন হলো
👍🏿১ মুঠো পরিমাণ ডিটারজেন্ট পাউডার (রিন চাকা হুইল অথবা ফাস্ট ওয়াশ) ডিটারজেন্ট পাউডার ১.৫ লিটার পানির মধ্যে গুলিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
👍🏿নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান নিজে সতর্ক হোন; অন্যকে সতর্ক করুন।
Stay safe stay home.
loading...
loading...
অন্যকে বাঁচাতে নিজে সতর্ক হই, অন্যকে সতর্ক করি। পরিবার বাঁচলে সমাজ বাঁচবে।
Stay safe … stay home.
loading...
loading...
Stay home stay safe
loading...