বায়োলজিক্যাল উয়েপন পার্থিব জগতের জন্য এবং মানবাধিকারের খেলাপ সভ্যতার জন্য হুমকি। মানবসৃষ্ট এই জৈব রাসায়নিক উয়েপনের হাত থেকে সভ্যতার বিশ্ব দরবার রক্ষা পাবেতো? ঠিক আছে ধরে নিলাম আমরা এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।
আবার নতুন করে সূর্যোদয় হবে, নতুনভাবে আবার সূর্যাস্ত যাবে, প্রকৃতিতে বসন্ত আসবে, গাছে গাছে ফুল ফুটবে, আবারও একদিন সভ্যতার বুকে অন্ধকার ছেয়ে যাবে, মানুষ অতীতের পথ ধরে আবারও হাঁটা শুরু করলো “করোনা” এর চেয়ে ভয়ংকর জৈব মারনাস্ত্র পৃথিবীর বুকে “তৈরি করলো” বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানলো। নতুন করে শুরু হতে চললো সভ্যতার পতন।
মানুষ তাঁর কর্মের দ্বারা নিজেদের বিলুপ্তি নিজেই ডেকে আনলো। এভাবেই চলতে থাকলো বিনাশের এক মহাযজ্ঞ। তখন মানবের এই জৈবাস্ত্র দেখার আর কেউ থাকবে না। প্রকৃতির এই প্রাণকেন্দ্রে ধার্মিক অধার্মিক নাস্তিক সন্দেহবাদী, নিরাঈশ্বরবাদী, বৈজ্ঞানিক অবৈজ্ঞানিক প্রকৃতি প্রেমি অপ্রকৃতিপ্রেমী রাজনৈতিক অপ-রাজনৈতিক অপরাধী নিরাপরাধী সাধারণ অসাধারণ কেউতো আর বিচরন করতে পারবে না?
তাহলে কিসের জন্য এই উয়েপন? কিসের জন্য এই মানব সভ্যতার আগ্রাসী আগ্রাসন চালানোর মতো উয়েপন? এসবের কি কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে? আর কোনো ক্ষমতার দ্বন্দ্বে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন মারনাস্ত্রের? (The biological threat).
আমরা কেনইবা পরিকল্পনা করি, যে মারনাস্ত্র হতে পারে সভ্যতার সমাপ্তকারী “বিলুপ্তকারী” এমন অস্ত্রের কি প্রয়োজন? ক্ষমতাই যদি সভ্যতাকে টিকে রাখতে পারে তবে, তাহলে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষ কেন? আমাদের হাতে কি অন্য কোনো পৃথিবী এসে গেছে যা ছিনিয়ে নেবার আশায় আমরা আমাদের তাবৎ জ্ঞান মানব হত্যার কাজে ব্যাবহার করছি? আমরা কি একবারের জন্যেও ভেবেছি যে এটি ভুল না ঠিক? ঠিক হলে প্রশ্নঃ আমরা এই উয়েপন কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছি?
আমরা কি আমাদের নিজেদের অজান্তেই সভ্যতার পতনের দ্বার অতীব দ্রুতগতিতে উন্মোচন করছি না !! তবে তাই যদি হয় সেটা কি প্রয়োজনে? এই পৃথিবীতে যদি মানব সভ্যতাই না টিকে তাহলে কি দরকার এই মারনাস্ত্রের? আমরা কি এমন একটি পৃথিবী বস্তুত তৈরি করার কোনো ক্ষমতা রাখি?
আমরা কি প্রস্তুত ধ্বংস হওয়ার জন্য?
আমরা কি প্রস্তুত নিজেদের অস্তিত্বকে নিজেদের অজান্তে ধ্বংসের জন্য?
আমরা একবার ভেবে দেখেছি যে, আমরা কি করছি?
কিসের প্রয়োজনে করছি?
আমরা কি সত্যিই বুঝতে পেরেছি টিকে থাকার লড়াইয়ে ক্ষমতাই সব?
বেঁচে থাকার মুলমন্ত্র?
তাহলে আমরা ভুল!
আমরা ক্ষমতাকে গুলিয়ে ফেলেছি আরেকটি উচ্চতর ক্ষমতা বিশিষ্ট ক্ষমতার সাথে! আমরা এই দুইয়ের ক্ষমতার পার্থক্য বুঝতে পারিনি অথচ দাবী ধরে বসে আছি আমরা সভ্য জাতি! আমরা এই দাবি ত্যাগ এখনও করছি না কেনো যে যোগ্যতা আমরা নিজেদের ধ্বংস করার জন্য অর্জন করে থাকি সেই যোগ্যতা কিভাবে সভ্যরূপ হয়? এটি সভ্যতার সাথে নেহাতই ধোঁকা, নেহাতই প্রতারণা। এই প্রতারণার জাল যতক্ষণ পর্যন্ত ছিন্ন করা হবে ঠিক ততোটা পর্যন্ত আমরা নিজেরাই নিজেদের নিজেকে কোনো ভাবেই সভ্য বলে দাবি করতে পারিনা।
(What is the history of biological weapons and what is the meaning of biological weapons). আমরা কার সভ্যতা রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের তৈরি ফাঁদে নিজেরাই আটকা পড়ছি? হে বিশ্ব বিবেক আমরা কি তা একবারের জন্য হলেও ভেবে দেখেছি?
যদি তা না করে থাকে তাহলে এখনি ভেবে দেখার সময় আমরা কি করতে যাচ্ছি আমরা কি করছি আর আমরা কি করব। শুধু এটুকু মনে রাখতে হবে (The world’s most dangerous biological weapon).
loading...
loading...
বায়োলজিক্যাল উয়েপন পার্থিব জগত সহ মানবাধিকারের খেলাপ। পাশাপাশি সভ্যতার জন্যও মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। সহমত শামীম বখতিয়ার।
loading...
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ভাইয়াI ভালো থাকুন নিরন্তরI ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, ভালো থাকুক বাংলাদেশ "দেশ হেরে গেলে হেরে যাবে 18 কোটি মানুষI "
loading...
loading...
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন
দেশ হেরে গেলে হেরে যাবে 18 কোটি মানুষ
loading...