চিন্তার জগত
•
সোফিস্ট “বুদ্ধি বিক্রেতা’ আর সোফির ভিতরে পার্থক্য কি আপনি যদি তা না জানেন তাহলে আপনি প্রথমে ভুল করবেন, সোফিগণ বিনামূল্যে তাঁদের দর্শন জ্ঞান ছড়িয়ে দিতো আর সোফিস্টরা সেই জ্ঞান বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন। আজকের দিনের বুদ্ধিজীবী যারা তারা তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
সেদিনের সেই সোফিস্টরা তাদের জাগতিক কল্যাণকর জ্ঞান বিতরণ করতেন টাকার বিনিময় এবং খুবই চিন্তাশীল বক্তব্যই দিতেন যা মানুষের বিবেককে নাড়া দিত যা মানুষকে চিন্তার বাস্তবতায় পৌঁছে দিত। এমনকি সোফিস্টরা খোলা মজলিসে কিংবা খোলাবাজারে দাঁড়িয়ে তাদের জ্ঞান প্রচার করতেন যার ভালো লাগতো সে কিছু উপহার দিতেনI। কিংবা আরও জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য লোকজন তার কাছে ছুটে আসতেন এবং টাকার বিনিময়ে সমস্যা সমাধান করে দিতেন।
আজকের দিনের “বুদ্ধিজীবী” তারা বিভিন্ন পত্রিকায় আর্টিকেল লিখে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান বিক্রি করে। তারপরও সেদিনের সোফিস্টদের চেতনাগত বিষয়াদি ছিল অত্যন্ত গতিশীল এবং গভীর জ্ঞানতত্ত্বের আধার নিয়েই তারা সেই বুদ্ধিগুলো বাজারের জনসমাবেশের সরাসরি বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিতেন।
কিন্তু আজকের দিনে যে সকল বুদ্ধিজীবীদের আলোচনার টেবিলে দেখা যায়, বুঝা যায় তারা কারও কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাদের কোন চিন্তাগত আদর্শ নেই, তবে তারা কারো পক্ষে কাজ করে কারো বিনিময় হয়ে কাজ করে। সেই শ্রেনীর জন্য যে বুদ্ধিটা কাজে লাগানো যায় পক্ষে-বিপক্ষে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা সমালোচনায় লিপ্ত থাকে কিন্তু তাদের সেই অনৈতিক জ্ঞানগুলোর জন্য তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নৈতিক জ্ঞান খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি তারা চাইলেও ব্যক্ত করতে পারে না ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের বক্তব্যের ভেতরেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় তারা কারো কাছে তাঁরা বিক্রি হয়েছে।
তাই দার্শনিক Plato দার্শনিকদের থেকে sofhists সোফিস্টদের আলাদা করতে চেয়েছিলেন:
Plato sought to distinguish sophists from philosophers, arguing that a sophist was a person who made his living through deception, whereas a philosopher was a lover of wisdom who sought the truth.
প্লেটো সোফিস্টদের দার্শনিকদের থেকে পৃথক করতে চেয়েছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে একজন সোফিস্ট এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রতারণার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেছেন, অন্যদিকে একজন দার্শনিক সত্যের সন্ধানকারী জ্ঞানের প্রেমিকা ছিলেন।
•
A sophist is someone who makes good points about an issue — until you realize those points aren’t entirely true, like a political candidate who twists an opponent’s words or gives misleading facts during a speech. … It comes from the Greek word sophizesthai, meaning “to become wise or learned, deceive.”
আমার বারবার একটি কথাই মনে পড়ে জাগতিক জ্ঞান যদি মানব জীবনের বিকশিত পথ না হয় তাহলে সেই জ্ঞানকে কোন জ্ঞানী বলা যায় না। মানুষ আজ সভ্যতার এক চরম উচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন।
এখন দর্শন থেকে বিজ্ঞানের চর্চা অনেক গুণে বেড়ে গেছে, কিন্তু তার “দর্শন জ্ঞানের” গুরুত্ব মানুষ ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পেরেছি। দার্শনিকদের চিন্তার জায়গা শুধু সমাজকে বদলে দেয়ার জন্য ছিল না তাদেরকে অনেকদূর পৌঁছে দিয়েছেন।
আমরা আজকের সভ্যতায় যা কিছু জানতে পারি, যা কিছু জেনেছি তা তাদেরই বিশেষ অবদান বলে উল্লেখ করা হয়। তবুও আমরা কারো মতাদর্শকে ধারন করি না। আমরা সেই চিন্তার গভীরে প্রবেশ না করার কারণেই এই পৃথিবীতে এত ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজমান। আজ আমরা এমন একটি সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি যে সময়ে আমাদের এই দৈনন্দিন জীবন যাপন করছি। তা আমাদের আরো ভালো হতে পারতো।
আজ আমরা আমাদের চিন্তার মূল অবকাঠামো থেকে সরিয়ে আসছি। আজ আমরা আমাদের সেই নৈতিক আদর্শ নৈতিক গুণাবলী নৈতিক চেতনাবোধ গুলোকে গোপন করি এবং অনৈতিক যা কিছু আছে তার সকল অপব্যবহার গুলোকে ব্যবহার করে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হই যা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরূপ।
•
The actual number of Sophists was clearly much larger than 30, and for about 70 years, until c. 380 bce, they were the sole source of higher education in the more advanced Greek cities.
তথ্যসূত্র গুগোল, উইকিপিডিয়া।
আজ আমরা নানা কারণে নানা অপ্রয়োজনে বিভক্ত। আজকের দিনে আমরা শিক্ষিত হতে পেরেছি কিন্তু জ্ঞানার্জন করতে পারিনি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারিনি প্রকৃত সমাজব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারিনি প্রকৃত নৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি প্রকৃত রাষ্ট্রব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি। প্রত্যেকটি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনের মূল উদ্দেশ্য গুলোকে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেনি যা একটি দেশকে একটি সমাজকে একটি রাষ্ট্রকে একটি পরিবারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আজ আমরা সততাই বিভক্ত অসততায় বিভক্ত আজ আমরা আমাদের নিজেদের থেকেই অনেক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।
এই জায়গা থেকে বেড়িয়ে এসে মূলনীতিতে কি ফিরে আসতে পারবো সেটা জানি না তবে সময় বলে দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ কি!
তবে আমরা প্রত্যেকে আমাদের মানব জীবনে নিজেদের জন্য পরিবারের জন্য সমাজের জন্য রাষ্ট্রের জন্য নৈতিক আদর্শের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে না পারলে কোনদিনও মুক্তির সেই কাঙ্খিত পথটি বা পথের দরজাটি দেখতে পাবো না, সেটা প্রথমে নিজের থেকেই শুরু করতে হবে।
বখতিয়ার শামীম
৩রা অক্টোবর ২০১৯ রাত ২ টা ৪০।
loading...
loading...
মানব জীবনে নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, এমনকি রাষ্ট্রের জন্য নৈতিক আদর্শের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে না পারলে কোনদিনও মুক্তির কাঙ্খিত পথের দরজা আমরা দেখতে পাবো না। প্রথমে নিজের থেকেই শুরু করতে হবে।
___ শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ছোট ভাই শামীম বখতিয়ার।
loading...
ধন্যবাদ ভাইয়াI প্রতিদিন একটি করে লেখা দেয়ার ইচ্ছা জাগে কিন্তু সময়ের অভাবে সেটা সম্ভব হয় না তারপরেও কখনো কখনো যদি দেই সেখানে কমেন্টের আনসার দিতে পারিনা বলে অনেক অভিযোগ সৃষ্টি হয়I তারপরও বলবো সকল সহনশীল বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যI
loading...
শব্দনীড় থাকুক বা না থাকুক আমি সবসময়েই পাশে আছি ভাই।
loading...
ধন্যবাদ ভাইয়া, পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
loading...
শুভেচ্ছা শামীম ভাই। খুব কঠিন বিষয়ের আলোকপাত করেছেন। তবে হ্যাঁ, শুরুটা হতে হবে নিজ থেকে। মন্তব্যে পাশে থাকলে তো ভালো কথা। স্বাগতম জানাই।
loading...
খুব কঠিন বিষয় কিন্তু নিজের মত করে চিন্তা করলে খুব সহজেই হবে সুমন ভাই
ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা আপনার জন্য
loading...
এভাবে আপনার সার্বিক উপস্থিতি চাই কবি বখতিয়ার শামীম ভাই। ভালোবাসা।
loading...
ধন্যবাদ সৌমিত্রদাI আপনারা আমার পাশে আছেন, আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমিও যথাসাধ্য চেষ্টায় থাকবোI আপনাদের ভালোবাসা সেটা সহজ করিয়ে দিবে অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য
loading...
পড়লাম ভাই।
loading...
ধন্যবাদ আপা ভালো থাকুন সবসময়
loading...
কঠিন এই সাবজেক্ট। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
loading...
কঠিন সবকিছু প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, এই কঠিনেরে নাড়াচাড়া করতে করতে যখন আপনি ভালোলাগা তৈরি করতে পারবেন তখনই সবকিছু আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবেI একটি কঠিন এর বাস্তবতা এরকমই বহন করে ওটা কঠিন হলেও এর শেষ অনেক সুন্দর হয়
loading...
অনেক অনেক শুভকামনা এবং ধন্যবাদ আপু ভাল থাকুন সবসময় ভালোবাসার শহর
loading...
loading...