মানবতা মুক্তি পাক।
নিউজিল্যান্ডের
মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের পাহারা দিচ্ছেন মানবতার সেবা করা মানুষ। আসলে সেবাই পরমধর্ম” এই শব্দ থেকে অনেককিছু শেখার আছে” ধর্ম যার যার প্রকৃতপক্ষে সবাই মানুষ। মানবতা মুক্তিপাক সকলের নষ্ট চিন্তা থেকে কট্টরপন্থী মনোভাব থেকে সকল প্রকার বৈষম্য থেকে সকল প্রকার বিশ্বাস অবিশ্বাস থেকে এই হোক কামনা।
এখন আসল কথায় ফেরা যাক….
ধর্ম যার যাঁর আসলে সবাইতো মানুষ- সেবাইতো প্রকৃতির পাওয়া শ্রেষ্ঠ ধর্ম এখন মানুষ যার আশ্রয়ে প্রার্থী হোক না কেন যাঁর সেবাই করুক না কেন। যাঁর ইশারায় চলুক না কেন। মানুষের সাথে মানুষের কোনো পার্থক্য আছে কি। চামড়ার চেহারার পার্থক্য কোনো পার্থক্য নয় বর্ণ কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করার কথা নয়
কারো শরীরের চামড়া সাদা কিম্বা কালো তাতে কি? তাঁর ভিতরের হাড় মাংস রক্ত শিরা উপশিরা সবইতো এক। সবার রক্তের রং তো একই। পার্থক্য থাকতে পারে কর্মে ধর্মে বিশ্বাস থাকতে পারে একেক রূপ তাতে কি পার্থক্য থাকতে পারে পোশাকের অর্থের বাড়ি গাড়ির কিন্তু কেউ তো ছোট নয়। কেউ তো মানুষ থেকে অন্য কোন প্রজাতির নয়। মানুষের কর্মে পশুর আচরণ থাকতে পারে বৈষম্য থাকতে পারে সেটিই প্রকৃত সমস্যা। চিন্তা চেতনা আর শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে যে মানুষ নিজেকে উজানে নিয়ে যাওয়ার সাধনা করে সেই আসলে সেই বৈষম্যের প্রথম উত্তরসূরী।
মানুষের কর্ম ঘৃণিত হতে পারে তবে মানুষ ঘৃণিত নয়। পৃথিবীর সকল মানুষ সমান সেখানে জাতিভেদ থাকতে পারে সম্প্রদায়ের ভেদ থাকতে পারে কিন্তু দিনশেষে সবাই তারা মানুষ। সবার রক্তের দাগ এক। কেউ কাফের না কেউ মোনাফেক না সন্ত্রাসী না খুনি না এরা সবাই তাঁর কর্মের তাঁর নিজ নিজ কর্মের প্রতিশব্দ নিয়ে এগিয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয় আছে তাঁর প্রপার ব্যবহার যখন হয় তখনই মানুষ শ্রেষ্ঠ হয় সুন্দর হয় সনামধন্য হয়।
মানুষ কজন মানুষকে চেনে মানুষ তাঁর নামে পরিচিত হয়। মানুষ তাঁর কর্মে পরিচিত হয়। ধনি গরিবের এই শব্দের ব্যবধান মানুষকে ছোট করতে পারেনা। অর্থসম্পদের বৈষম্যের জন্য মানুষ দারিদ্র্পিড়ীত হতে পারে একজন ক্ষুধার্ত মানুষও মানুষ- আবার একজন ধার্মিক ও মানুষ।মানুষ মানুষকে পার্থক্য করতে পারেনা। জাতপাতের আবরণ মানুষকে পার্থক্য করতে পারেনা ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো ধার্মিক মানুষের পার্থক্য করতে পারেনা। শক্তিশালী মানুষও যেমন মানুষ দুর্বল রোগভোগে থাকা মানুষও মানুষ। হাজার কোটি টাকাওয়ালাও মানুষ আবার দিনমজুর ভিক্ষুকও মানুষ।
মানুষ তাঁর কর্মের জন্য শব্দের তর্জমায় বিভক্ত বলেই তারা তাদের মনুষত্যবোধের বোধিসত্ত্বায় আবর্তিত বোধিধর্মকে ভুলে যায়। যাঁর ফলপ্রসূতঃ আমরা এই আজকের পৃথিবীতে নিসংশয় নৃশংসতা বর্বরতা সাদাকালোয় ভেদাভেদ ধনি গরীবের ভেদাভেদ জাতপাতের ভেদাভেদ। যা কিছু ভেদাভেদ তাঁর সবই জাহির করে শ্রেষ্ঠত্ব। এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই যেদিন থেকে মানুষের ভিতরে আর থাকবেনা সেদিন থেকেই মানুষ মানুষকে মানুষ বলেই অনুসন্ধান করবে। সেদিন থেকেই আর কোনো দেশ থাকবে না। জাতি ও বর্ণের পার্থক্য থাকবে না। মানুষ মানুষের জন্য এই সত্যিটাইই পৃথিবীর বুকে ফলাতে পারেন নতুন এক আলোর দিগন্ত।
______________________
মার্চ ১৯, ২০১৯ বিকালঃ ৪:১৫ মি.
loading...
loading...
ধর্ম যার যাঁর সবাই আসলে সবাইতো মানুষ- সেবাইতো প্রকৃতির পাওয়া শ্রেষ্ঠ ধর্ম এখন মানুষ যার আশ্রয়ে প্রার্থী হোক না কেন যাঁর সেবাই করুক না কেন। যাঁর ইশারায় চলুক না কেন। মানুষের সাথে মানুষের কোনো পার্থক্য আছে কি। চামড়ার চেহারার পার্থক্য কোনো পার্থক্য নয় বর্ণ কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করার কথা নয়। অসাধারণ।
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আমার প্রিয়জন
loading...
মানুষ মানুষের জন্য এই সত্যিটাইই পৃথিবীর বুকে ফলাতে পারেন নতুন এক আলোর দিগন্ত।
loading...
মানবতা মুক্তি পাক সকলের নষ্ট চিন্তা থেকে; সকল প্রকার বৈষম্য থেকে।
loading...
মানবতা মুক্তিপাক।
loading...
মানুষের কর্মে পশুর আচরণ থাকতে পারে বৈষম্য থাকতে পারে সেটিই প্রকৃত সমস্যা।
loading...
আমরা এই পৃথিবী নামক গ্রহটি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ পৃথিবী মানবকূলের সকল ধর্মের অনুসারীরা মিলেমিশে থাকতে চাই।
loading...