নভেম্বর ১৬,২০১৮
“দুর্বল চিত্ত নিয়ে বিজয়ী হওয়া যায়না। দুর্বলরা তাই বরাবরই ভুল করে সেজন্য বলবো আপনি কি দুর্বল! তবে এটি আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। কতদিন এমন থাকবেন কতদিন অন্যের উপর ভরসা করবেন কতদিন অন্যের আশায় বেঁচে থাকবেন। বিবেচনা করুন আপনার প্রতি যেটি পারে আপনাকে পথ দেখাতে। সঠিক পথে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে বদলাতে হবে নিজেকে নিজে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে”
অস্পষ্ট চেতনাবোধ অদৃষ্ট চিন্তা অদৃশ্য কল্পনা কিম্বা অদৃষ্ট মনোভাবনা যখন আপনার মধ্যে জেগে উঠবে তখন আপনি কোনভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আপনার জীবনে অদৃষ্ট কোনো প্রাপ্তি নেই যা আপনার পথিকৃৎ হবে। দূর্বল চিত্তের মানুষ বরাবরই এই ভুলগুলো করে।
বুদ্ধিমানরা সংশোধিত হয় কোনো না কোনো সময় তাদের চিন্তাধারায় ভুলগুলো উঠে আসে। আপনাকে এইজন্যই জানতে হবে অজ্ঞতা কি? অজ্ঞতা সম্পর্কে না জানলে আপনি কোনোদিন জানবেন না। আপনার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যে আপনার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আপনি নিজেই।
এগিয়ে যাওয়ার জন্য কি শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হোন? এগিয়ে থাকার জন্যই কি শুধু অতিক্রম করেন অন্যকে? আচ্ছা আপনি কি কারণে সামনের দিকে যাচ্ছেন? আপনার সামনে কি কেউ আছে নাকি আপনি বারবার আপনাকে অতিক্রম করে চলেছেন?
কখনও কি আপনি নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিবেচনা করেছেন আপনাকে ?
কখনও কি আপনি আপনার চিন্তাশক্তি দ্বারা বিবেচিত হয়েছেন অন্যের কাছে কিম্বা স্যাটিস্ফাইড হয়েছেন আপনার কাজে আপনি নিজেই ?
যদি এমনটি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনাকে ভুল পথে চালিত করেছেন।
আর এটি সবসময় যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি কখন যে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন কিম্বা আস্থাশাল ছিলেন সেটা আপনি নিজেই নিশ্চিত না।
তাই বলবো,
অন্যের বুদ্ধিতে আপনি যখন কথা বলবেন তখন আপনি আপনার বিচারগুন দেখতে পাবেন না। নিজের বুদ্ধি জ্ঞান খুঁজতে হলে আপনাকে জানতে হবে। বুঝতে হবে শুনতে হবে শিখতে হবে। ঠিক সেই একই কারনে এখন থেকেই অন্যকে গুরুত্ব দিন।
অন্যের কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে শুনুন সে কি বলছেন কি আলোচনা করছেন। বিষয়টি যদি আপনার জানা হয় তবুও গুরুত্ব সহকারে শুনতে থাকুন সে কি বলতে চায়। আর সে কি বলছে যা ববলছে কিঠ না বেঠিক সেটা আপনি নিজেই ক্যালকুলেশন করতে পারবেন।
তবে কোনো একটি সুন্দর
ভাবনাগুন বিচারই পারে আপনার মধ্যে বিশেষত্তগুলি তৈরি করে দিতে।
সময়ের বিরামবনাগুলো আপনার জীবনে বিরামচিহ্নের সৃষ্টি করতে পারে অতএব সময়কে গুরুত্ব দিয়ে আপনার অক্ষাংশের নির্মাণ করুন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পরে নির্মাণের মাধ্যমেই বিনির্মাণ করতে হয়। তবেই না আপনি সামনে আসবেন। তবেই না আপনি আপনার পথে অগ্রগামী হবেন।
সেখানে আপনার গুরুত্ব আরও বাড়বে যখন আপনি অন্য একজনকে গুরুত্ব দিবেন, গুরুত্বপূর্ণ ভাববেন। প্রত্যেকটি মানুষ দামি। প্রত্যেকটি মানুষ জগতে মুল্যবান। আপনার বিশেষত্ব দিয়ে অন্যকে মাপবেন না। অন্যের গুন আপনার চেয়ে বেশি বা কমও থাকতে পারে সেজন্য কখনও অহংকারী আচরণ নয়। এটি মানুষকে নির্বুদ্ধিতার দিকে নিয়ে যায় ভুলপথে পরিচালনা করে। কোনো মানুষ ছোট না এটিই চরম সত্য।
আপনার যখন অন্যের যুক্তি শুনবেন সেটা অবশ্যই আপনার খন্ডনের অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। যদি তা না হয় যদি অভিজ্ঞতা খন্ডন না করে একজন ব্যক্তি ভাবনার বিশেষ বিশেষত্বের উপর নজর দেন তবে সেটা হবে আপনার জন্য দুর্ভাবনার।
“যে বিষয়গুলো আপনার জীবন দুরুহ করতে পারে ”
১) অন্যের বুদ্ধিতে চলা।
২) অন্যের আলোচনা সমালোচনার ধ্যানধারণা থেকে বুঝার চেষ্টা করা। এমনকি তাঁর বিষয়টির উপরে সত্যতা খুঁজে বের না করা।
৩)অন্যের কথা শুনে নিজেদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি করা।
৪) যখন তখন যা ইচ্ছা তাই বলে সম্পর্কের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা।
আপনি যখন আত্ম জ্ঞান প্রয়োগ করবেন চিন্তা চেতনায় তখন আপনাকে কেউ একটি কথা নির্ভরযোগ্য না তা কখনও বলতে সাহস পাবেনা।
এই বিষয়গুলো মানুষের জীবনে বরাবরই সম্পর্কের অনিশ্চয়তা তৈরি করে যখন এই অনিশ্চয়হীন উন্মাদনায় নিজেকে খামখেয়ালিপনা করে তুলবেন তখন আপনি নিজের সুখী সুন্দর ভাবতে পারবেন না। সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে আপনি যখন তাঁর পারিপার্শ্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করবেন তখন অবশ্যই আপনার স্বাভাবিক জীবন বাঁধা মুক্ত থাকবে।
loading...
loading...
“দুর্বল চিত্ত নিয়ে বিজয়ী হওয়া যায়না। দুর্বলরা তাই বরাবরই ভুল করে সেজন্য বলবো আপনি কি দুর্বল! তবে এটি আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। কতদিন এমন থাকবেন কতদিন অন্যের উপর ভরসা করবেন কতদিন অন্যের আশায় বেঁচে থাকবেন। বিবেচনা করুন আপনার প্রতি যেটি পারে আপনাকে পথ দেখাতে। সঠিক পথে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে বদলাতে হবে নিজেকে নিজে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে।”
___ সহমত পোষণ করছি প্রিয় শামীম বখতিয়ার।
loading...
যথার্থ রচনা। ভালো লাগলো। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম প্রিয় শামিম ভাই।
loading...
নিজের বুদ্ধি জ্ঞান খুঁজতে হলে আপনাকে জানতে হবে। বুঝতে হবে শুনতে হবে শিখতে হবে।
loading...
দুর্বল চিত্ত নিয়ে বিজয়ী হওয়া যায়না। হুম।
loading...