ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান

ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান।

ধর্ম নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার মানে এই নয় যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
ধর্মের মধ্যে ভালো দিক আছে যেমন তেমনি বিপরীত দিকও বিদ্যমান। তবে অধিকাংশ মানুষ বিপরীতমুখি চিন্তাচেতনা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। এর সঠিক কি তা বিজ্ঞানের যুগে কারো অজানা নয়।
তবে বিপরীতমুখী চিন্তা আপনি না করলেও আরেকজন যে করবেনা তা কিন্তু নয়। অবশ্যই একজন মানুষের বিপরীতমুখী চিন্তা করার অধিকার আছে এবং তার কথা বলার হক আছে। যে অধিকারটা আসে সেটা অসঙ্গতিপূর্ণ বার্তা বাদানুবাদের উপর ভিত্তিকরে।

একজন ব্যক্তি কি বলছে কিংবা সে কি বলতে চায় আগে তার কথাগুলো শোনো এবং বোঝার চেষ্টা করো তারপরেই তুমি তোমার জানা অজানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করো। বা শেয়ার করতে পারো। তুমি কি জানো এবং সে কি জানে এই সম্বন্ধে তার কি ধরনের জ্ঞান আছে তার ওপরই নির্ভর করতে পারে সেই সমস্ত জানা অজানা বিষয়ের ওপর কথা বলা। কারো এমন কোনো একটি বিষয় সম্বন্ধে কম অভিজ্ঞতা থাকলে সেই বিষয়ের উপর পান্ডিত্য ফলানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা যায়। তবে সেই অজানা বিষয়টা যদি না জানা মানুষটি জানতে চায় তবে সে জানতে পারে এতে কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা তখনই সৃষ্টি হবে কিংবা হতে পারে যা জানিনা তার উপর অযাচিত একটি মন্তব্য করা, এধরণের মন্তব্য মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত না করাই শ্রেয় পন্থা বলেই আমি মনে করি। যা আপনাকে জানার জন্য ভবিষ্যতে অনেক অনেক গুনে সাহায্য করবে। শিক্ষা নেয়া এবং জ্ঞান অর্জন করা নিজের চেতনাশক্তিকে এগিয়ে নেয়া এবং তার বিকাশ করা। প্রত্যেক মানুষের অনশ্রীকায্য

যুক্তি-বিজ্ঞান “দ্বান্দ্বিকবাদ”

দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান হচ্ছে প্রজ্ঞাও অলংকার শাস্ত্রের ব্যবহার যা ধর্ম বিশ্বাসের সত্যটাকে প্রতিষ্ঠিত করে তাই ইবনে খালদুস বলেন। দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যার ন্যায় একটি সহায়ক বিজ্ঞান মাত্র। যাকে অবহেলাও করা যায়না এমনকী ছুড়ে ফেলেও দেয়া যায়না।

যে মানুষ যত বেশি এর ব্যবহার কিংবা প্রকাশ করতে পারবে সে ততো-বেশি অগ্রসর হবে। এবং মানব মনের মধ্যে বন্ধ থাকা সভাব-সুলভ অপরিপক্ক অকায্যকর অভিজ্ঞতাহীন মস্তিস্কের কোষগুলো ধীরে ধীরে জেগে উঠবে এবং তা বিস্তির্ন হতে হতে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায় যার চিন্তা চেতনা আর সাধারণ মানের থাকেনা, হয় অনেক উচ্চমানের। যে এই বিষয়টাকে তাচ্ছিল্যরুপে দেখবে এবং খারাপ দৃষ্টিকোন থেকে অবজ্ঞা করলো সে কখনোই তার মেধা যাচাইয়ের অপরিসীম ফল উপভোগ করলোনা বরং সবকিছু না জেনে অন্ধকারের মধ্যে থেকে নিজের ভুল চিন্তা চেতনার কারণে বঞ্চিত হলো।এবং নিজের চিন্তাচেতনার বাইরে আর কিছুই সে জানলো না, বুঝলোনা উপলব্ধি করলোনা যা সম্পূর্ণরুপে জানার প্রয়োজন সে তার সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জিদ্দিধরা শিশুর মতো করলো অথচ এই মহাপৃথিবীতে জানার কোনো শেষ নেই বোঝার কোনো শেষ নেই বলার কোনো শেষ নেই তেমনি না জানা মানুষেরও কমতি নেই, পৃথিবী যেভাসে অগ্রসর হচ্ছে তাতে করে কোনো কিছুকে না জানা বা অবহেলা করা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ নয় এটা সত্যিই তার নিবুদ্ধিতার কাজ এর চর্চা যে যতবেশি করবে সে ততই সেকেলে জীবনযাপনের আদীঅন্তপথগুলো অনুস্মরণ করলো। যা একজন মানুষের জন্যে কখনোই সহায়ক ভুমিকা পালক করেনা এবং এমনটি হওয়ার সঠিক কারণ হচ্ছে ধর্মের কোনো বিষয় বস্তু না জেনে না বুঝে ধর্মের প্রতি আনুগত্য থাকা যা সত্যিই উচিৎ নয়। আর থাকলেও কট্টরভাবে চিন্তা করা যুক্তি সঙ্গত নয়। তাই বলা বাহুল্য যে কোনো কিছুর উপর সঠিকভাবে আস্থা অর্জন করতে হলে সেই বিষয়ের উপর সামান্যতম জ্ঞান না রাখলে সেই ধর্মভিরু মানুষটা পথেপ্রান্তে বিভিন্নধরনের
ফতোয়ার শিকার হবে এবং একজন ব্যক্তি ফতোয়ার কবলে পড়েছে কি কারণে কিসের ভিত্তিতে তার সঠিক তথ্য সঠিক ব্যাখ্যা কি ধরণের হতে পারতো সেসমস্ত বিষয়াদি থেকে সেই মানুষটা অজানা থেকে গেলো যা সত্যিকার অর্থেই তার জন্যে এটা খুব একটা ভালো দিক নয়। “যুক্তিবিজ্ঞান” এধরণের মেধা মানুষকে অনেক বিপদের হাত থেকে খুব সহজ ভাবে রক্ষা করতে পারে। যার ভাবধারা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে থাকা আজকের এই সমাজে অত্যান্ত প্রয়োজন বা জরুরী। তাই এই বিজ্ঞানটাকে তাচ্ছিলের দৃষ্টিকোন থেকে না দেখে খুব সহজভাবে দেখাই উত্তম। যুক্তিবিজ্ঞান শুধু ধর্ম নয় সবদিক দিয়েই মেধা রাখে এর পরিব্যপ্তি অত্যন্ত বিশাল পরিসরে অগ্রসরমান। এই বিজ্ঞান মানুষ যখন জ্ঞান অর্জন করেছে তার পর থেকেই প্রচলন। এর চিন্তাধারা অত্যান্ত প্রাচীন। যাকে মানব জীবনের অংশ বললে একটুও ভুল বলা হবেনা। প্রত্যেকটা মুহূর্তে প্রত্যেকটা স্থানে প্রত্যেকটা সময়ে যার ব্যাবহার অবসম্ভাবি একে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নাই। এসমস্ত জ্ঞানের ফল সবাই ভোগ করতে পারে যার শিক্ষা নাই সেও ভোগ করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষাও মানুষের জীবনে কল্যানকর কিছুই বয়ে আনতে পারেনা তারমানে এই নয় যে শিক্ষা ব্যাবস্থার কোনো প্রয়োজন নাই এটা নিহায়েত ভুল ধারনা। নারীদের ক্ষেত্রে ধর্মে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ঘরের মধ্যে বন্ধকরে রাখা আছে শুধু ঘর কেন্দ্রিক হলে তো জীবন চলবেনা তাহলে জীবনের প্রত্যেকটা পথে তাকে অবহেলার শিকার হতে হবে যা অত্যান্ত দুঃখজনক কিন্তু সেটা নারীদের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে ? এটা কি ধর্মের নিষ্ঠাবান মানুষেরা জানেন? যদি জানতো তাহলে এই ধরণের আমল তারা কখনোই করতো না কিংবা করার চেষ্টাও করতোনা। এখনকার যুগে শিক্ষা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনিবায্য এর কোনো তুলনা নাই। একে হাছিল না করতে পারলে বেশিরভাগ মানুষই জীবন সংসারে এসে অধপতনের স্বীকার হবে। যার দায়ভার সেই ব্যক্তি মানুষটি এবং সমাজ দুইয়েই ভোগ করবে। শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বিশ্বকে এবং নিজের দেশকে বা তার অবস্থানকে কখনো পূর্ণগঠিত করতে পারেনা। সেখানে নারীপুরুষ দুটি লিঙ্গেরই প্রয়োজন। তাই বেঁচে থাকা আর মৃত্যুবরণ করা এই দুটি চিন্তার মধ্যে থেকে মানুষ কোনো ক্রমেই চিন্তাহীনভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারেনা। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের এই পৃথিবী শাসন করতে হলে একজন মানুষের মধ্যে থাকা চাই বহুমাত্রিক জ্ঞান। যা সত্যকে জানার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।

বখতিয়ার শামীম
বুকঃ
Religious thought
The idea of ​​God
And Science.
ধর্ম চিন্তা ঈশ্বর ধারণা ও বিজ্ঞান
সংক্ষেপিত!।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৩ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৮-০১-২০১৭ | ১০:০০ |

    এটা সত্য যে, যে কিনা মনের অবচেতন বিষয়টাকে তাচ্ছিল্য রুপে দেখবে এবং খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে অবজ্ঞা করবে সে কখনোই তার মেধা যাচাইয়ের অপরিসীম ফল উপভোগ করলো না বরং সবকিছু না জেনে অন্ধকারের মধ্যে থেকে নিজের ভুল চিন্তা চেতনার কারণে বঞ্চিত হলো।

    সংক্ষিপ্ত আলোচনাটির জন্য ধন্যবাদ প্রিয় শামীম। শুভ সকাল।

    GD Star Rating
    loading...
  2. মামুন : ১৮-০১-২০১৭ | ১০:১৩ |

    ধর্ম নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার মানে এই নয় যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।-সহমতে আছি।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
  3. মোঃ খালিদ উমর : ১৮-০১-২০১৭ | ১৮:২৫ |

    “মনের অবচেতন বিষয়টাকে তাচ্ছিল্য রুপে দেখবে এবং খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে অবজ্ঞা করবে সে কখনোই তার মেধা যাচাইয়ের অপরিসীম ফল উপভোগ করলো না বরং সবকিছু না জেনে অন্ধকারের মধ্যে থেকে নিজের ভুল চিন্তা চেতনার কারণে বঞ্চিত হলো।”
    আমিও এই মত পোষন করি। সংক্ষিপ্ত অথচ সুন্দর আলচনা। ধন্যবাদ!

    GD Star Rating
    loading...