চিঠি (১)
প্রিয় আলেয়া,
অনেক দিন হয় তোমার খবর থেকে আমি বঞ্চিত। সেই গ্রীষ্মকালীণ ছুটি হলো! আশা করি মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় ভালো আছ। এরপর যা বলতে চাই আলেয়া, আমি প্রাণের গোপন গহিন থেকে, ভালোবাসী তোমাকে। কেনো ভালোবাসী তোমাকে তা কী জানো? বিষয়টি আমি খোলাসা করেই বলি, তুমি শোনো। আমি চোখে দেখেছি তোমার আল্লাহ ভীতি, অপূর্ব ও অতুল তোমার চলা-ফেরায় ও ওঠা-বসায় বলিষ্ঠ নীতি। শুধু কী তাই? পোশাকে-আশাকে তোমার যে অতুল পবিত্রতা তা প্রসংশনীয় এবং সর্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। সব কিছু মিলিয়ে, আমি যার পর নাই মুগ্ধতা নিয়ে আছি তোমার প্রতি। দেখেছি তোমার জ্ঞানদ্বীপ্ত চোখের স্বচ্ছ জ্যোতি। এর পর আরো যা বলতে চাই তা হলো, নিজের আত্মশক্তিকে ও মর্যাদাকে সংযমি রাখতে চাই বিধায়, যতটা সম্ভব নিজেকে তোমার কাছে থেকে আড়াল করে রাখি! এভাবেই তোমাকে কাছে পাওয়ার সদিচ্ছাকে হিসেবের স্বচ্ছ খাতায় পাকা করে রাখি তাও মনে মনে এবং একান্ত সংগোপনে, এমন কি অন্যদেরও চোখের আড়ালে।
আলেয়া, সেদিন তুমি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তোমার বক্তব্যের সময় যখন সূরা ফাতিহার চমৎকার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলে এবং নামাজে আল্লাহর সাথে কথপকথনের বিষয়টি বিষদভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে তুলে ধরছিলে, তখন দেখলাম উপস্থিত প্রায় সকল লোকই যেন মহান প্রভুর আসক্তিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে কাঁদতে ছিলো! লোকগুলো ভাবছিলো, এ দুনিয়া আর ক’দিনের? এক্কেবারেই ক্ষণস্থায়ী! তাই মানুষ এই দুনিয়ার লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষের কলুষতা বা ক্লেদাক্ততা এবং সম্পদের অলিক প্রত্যাশা দূর করে সম্পদ না পাওয়ার অতৃপ্তি মন থেকে সমুলে মুছে ফেলে পবিত্রতা আনার প্রত্যাশায় মগ্ন ছিলো। এ কারনেই তোমার প্রতি আমার প্রেমের আসক্তি এতটা দৃঢ়-গ্রাঢ়-প্রগাঢ়। এখানেই শেষ নয় আলেয়া, এরপর আরো যা দেখলাম, তুমি জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে যখন বক্তব্য উপস্থাপনা বা অবতারণা করছিলে তখনও লোকগুলো আল্লাহ ভীতি ছাড়া অন্য কিছুই অন্তরে ধারণ বা পোষণ করতে পারে নি! তুমি এত মহৎ গুণের অধিকারী! এর পরও কী বলতে পার যে তোমার ন্যায় অশেষ গুণবতীকে আমি ভালো না বেসে নিজেকে দূরে সরে রাখতে পারি? না পারি না।
প্রিয় আলেয়া, আমি তোমাকে চলার পথে দূর এবং কখনো কখনো খুব কাছে থেকে যতটুকু পরখ করেছি, তাতে দেখেছি তুমি সদা সর্বদা মুখে উচ্চারণে ‘সুবহানাল্লাহী’,‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে মহান আল্লাহর দরবারে সতত একমাত্র তাঁরই প্রসংশা কর, ফলে তোমার মনে তিলমাত্র হতাশা বা নিরাশা নেই। সবচে’ তোমার প্রতি আমার অগাধ-অফুরন্ত ভালোবাসার উৎস স্বরুপ বললে অত্যুক্ত হবে না যে, তুমি যেভাবে আল্লাহর উপর আত্মসমর্পণ কর তা তুলনাহীন ও অনন্য! মহান আল্লাহর উপরেই সম্পূর্ণ ভরসা। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তোমোকে পূর্ণ হেদায়াত দেন, অন্তরে তাকওয়া আরো বাড়িয়ে দেন এবং বরকতময় জীবন দান করেন।
ইতি শাফি
loading...
loading...
আরে দাদা প্রেমের চিঠিতে এত্ত উপদেশ থাকলে কেমনে প্রেম হয়?
রঙ নাই তামশা নাই এইডা একটা পেরেমের চিডি হইল?
loading...
দাদু, প্রেমে যদি সততা-পবিত্রতা নাই থাকে তা হলে কিসের প্রেম? প্রেমে যদি প্রেয়সিকে পেতে বিষয়টি অত সহ্জ হয় তা হলে সে তো প্রেম হলো না। যে প্রেমে পবিত্রতা নাই, সে প্রেম কলঙ্কিত হয় দাদা। তাই আমি আমার প্রেমিকাকে এভাবেই দেখতে চাই। তোমাকে ধন্যবাদ ভাই।
loading...
যেমনটা তুমি ভাবো … তেমনটাই তোমার কল্পনায় উঠে এসেছে।
পাঠক হিসেবে পড়লাম বন্ধু। ধন্যবাদ।
loading...
বন্ধু, তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
loading...
টগবগে প্রেমের শান্ত বহিরপ্রকাশ !
loading...
আনিসুর রহমান ভাই,
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আলেয়া আপনার ভাবি।
loading...