ফেসবুকে কী লিখবেন কী লিখবেন না

শেষ পর্বঃ
যা লিখবেন নাঃ
ফেসবুকে যেমন আপনার লেখার স্বাধীনতা রয়েছে, তেমনি এমন কিছু না লেখারও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চান না তার কোন ইউজার পোস্ট করে বিপদে পড়ুক। শুধু ফেসবুক কেন, কেউ চান না আপনি বিপদে পড়ুন। কারণ আপনার একটি পোস্ট বা লেখা সর্বাধিক মানুষের যেমন উপকার হতে পারে, আবার তার বিপরীতে চরম বিপদও ডেকে আনতে পারে। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী, কটূক্তি, নগ্ন ছবি প্রকাশ, ব্যক্তিগত আক্রোশ, আবেগতাড়িত কোন পোস্ট, মিথ্যা প্ররোচনা, তথ্য বিম্ভ্রাট জাতীয় কোন পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করবেন না।

সতর্ক থাকতে অনুভূতি প্রকাশেঃ
হয়তো মনে হতে পারে ফেসবুকে আবার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কেন সতর্ক থাকতে হবে? প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে যেমন ধারণা থাকতে হবে, তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কেও আপনাকে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। তা নাহলে আপনাকে যেকোন সময় বিপদে পড়তে হতে পারে। ফেসবুকে যে আপনি কমেন্ট, লাইক, শেয়ার, রিয়েক্ট বাটন ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, অন্যের পোস্টে কমেন্ট, লাইক, শেয়ার ও রিয়েক্ট এর মাধ্যমে আপনার রূচিবোধ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। কোন ধরণের পোস্ট বা লেখা আপনি পছন্দ করেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোন বিতর্কিত পোস্ট আপনি লাইক,শেয়ার কিংবা রিয়েক্ট দিয়ে সমর্থন করলেন। এই পোস্টের সমর্থনের কারণেও আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।

অসতর্কতায় ফেঁসে যেতে পারেন সাইবার অপরাধেঃ
ফেসবুকে মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক কিছু পোস্ট করলে, ছবি বা ভিডিও আপলোড করলে, কারও নামে একাউন্ট খুলে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট দিলে, কোন স্টেটাস দিলে কিংবা শেয়ার বা লাইক দিলেও সাইবার অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন। আবার মেসেঞ্জারে মেসেজ, ভিডিও কল, অডিও কলে অশালীন বাক্যালাপ, হুমকি, দেশবিরোধী কোন কিছু করলে, ভাইরাস ছড়ালে সাইবার অপরাধ হতে পারে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৭ ধারায় বলা আছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কোন মিথ্যা, বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃংখলার অবনতি হয় অথবা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, তাহলে সাইবার বা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত হবে। যার শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং সর্ব নিম্ন ৭ বছর এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

কী করবেন সাইবার অপরাধে ফেঁসে গেলেঃ
আপনি যদি সাইবার অপরাধে গুরুতর শিকার হন এবং এর প্রতিকার চান তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আশ্রয় নিতে হবে আপনাকে। এ জন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ থানায় এজাহার/জিডি দায়ের করতে পারেন। আপনার ফেসবুক একাউন্ট কেউ হ্যাক করলে, ফেসবুক কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে হ্যাক হলে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করলে কিংবা অন্য কোন অপরাধের শিকার হলে দেরি না করে নিকটস্থ থানায় জানিয়ে রাখতে হবে। যদি সাইবার অপরাধের অভিযোগে মিথ্যাভাবে ফেঁসে যান, তাহলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বুঝিয়ে বলতে হবে আপনি পরিস্থিতির শিকার। যদি আদালতে আপনাকে প্রেরণ করা হয় তাহলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে যেতে হবে।

ফেসবুকে কী লিখবেন কী লিখবেন না-১ম পর্ব।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৪ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৪ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৭-১০-২০১৮ | ১২:৪৭ |

    'আপনার একটি পোস্ট বা লেখা সর্বাধিক মানুষের যেমন উপকার হতে পারে, আবার তার বিপরীতে চরম বিপদও ডেকে আনতে পারে। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী, কটূক্তি, নগ্ন ছবি প্রকাশ, ব্যক্তিগত আক্রোশ, আবেগতাড়িত কোন পোস্ট, মিথ্যা প্ররোচণা, তথ্য বিভ্রাট জাতীয় কোন পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করবেন না।'

    আমরা যারা ফেসবুক ইউজার রয়েছি, আমাদের সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. রিয়া রিয়া : ১৭-১০-২০১৮ | ২০:২৮ |

    বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করলাম দোয়েল দা। ধন্যবাদ আপনাকে।

    আপনার ধারাবাহিক লেখা আবারও নিয়মিত চাই।

    GD Star Rating
    loading...
  3. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ১৭-১০-২০১৮ | ২১:৪৮ |

    সতর্কতার সাথে ফেসবুক ব্যবহার করা উচিত।

    GD Star Rating
    loading...
  4. মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন : ১৭-১০-২০১৮ | ২৩:৩৮ |

    * সংরক্ষণে রেখে দিলাম সুপ্রিয়… https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...