অণুগল্প: স্বপ্নপোড়া গন্ধ // রুকসানা হক

পকেটে মাত্র একশ’ পঁয়ত্রিশ টাকা। নিটোলকে বিয়ে করতে কাজী অফিসের সামনে এসে রিকশা থেকে নামলো অর্ণব। সাথে বন্ধু সুদীপ।

প্রায় বিশ, পঁচিশ মিনিট আগে নিটোল এসেছে। একাই এসেছে সে। অফিস বারান্দার এককোণে ওড়না দিয়ে মাথায় আধখানা ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে আছে। শুকনো মুখ, টেনশন, দুশ্চিন্তায় হয়তো গলা দিয়ে কিছু নামেনি।

এতটুকু সাজগোজ ও করেনি নিটোল। তার একটা ব্যক্তিগত প্ল্যান রয়েছে, বাসরেই সে প্রথম সাজবে। আজ এমনিতেই বিক্ষিপ্ত মন তার। মাকে বার বার মনে পড়ছে। আজকের এ ঘটনা জানাজানি হলে সবচেয়ে বেশি মূল্য মাকেই দিতে হবে। বাবা মাকে ছেড়ে কথা বলবেন না।

নিরুপায় নিটোল। বিয়েটা আজ অথবা কালই তাকে করতে হবে। দেরি করা চলবে না, তাহলে অঘটন এড়ানো সম্ভব হবে না।

অর্ণবকে দেখে কোনরূপ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি সে। বেশ নির্বিকার ভাবেই শুধু বললো
ঃ আজো তোমার দেরী !
ঃ বিশ্বাস করো সকাল থেকে ছুটাছুটি করছি।
ঃ টাকার জন্য ?
ঃ হ্যাঁ।
ঃ ম্যানেজ হয়েছে?
ঃ না।
ঃ তাহলে দেরি কেনো? সমস্যা নেই, আমার সাথে টাকা আছে।
ঃ চলো ভেতরে যাই। আজ একটা শাড়ি পরলে পারতে।
ঃ না পারতাম না। সমস্যা হতো।

কাজী অফিসের ভেতরে যেতে যেতে সুদীপকে লক্ষ্য করলো নিটোল। বেশ পরিপাটি পোশাক আশাক। পান্জাবী পরেছে, ক্লিন শেভ। পায়ের স্যান্ডেলটাও নতুন। হাতে একটা পলিব্যাগ। মনে হচ্ছে আজ অর্ণব বর নয়, বরং সুদীপই বর।
অর্ণবের উসকোখুসকো চুল, ঘামে ভেজা শার্ট, মুখে খোঁচাখোঁচা দাড়ি। চোখে মুখে স্পষ্ট ক্লান্তির ছাপ। কে বলবে সে আজ নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে !

নিটোল, অর্ণব দু’জনকেই উদ্ভ্রান্তের মতো লাগছে এখন। এমন বিয়ের জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না মোটেই। কথা ছিল পড়াশুনা শেষ করে দু’জন চাকরী বাকরী করে খানিকটা স্থিতিশীল হয়ে বিয়ে করবে।
কিন্তু উপায় ছিল না। প্ল্যান মাফিক কখনোই জীবন চলে না। নিটোলের একটা বিয়ের কথাবার্তা চলছে। দু’দিনের মধ্যেই বাড়ি যেতে হবে। এদিকে গরীবঘরের ছেলে অর্ণব নিজের আর্থিক অসংগতি নিয়ে কখনোই নিটোলের পরিবারের মুখোমুখি হবার সাহস রাখে না।

আজকাল অর্ণব তথাকথিত নৈতিকতার বুলিগুলোকেই ফাঁকা মনে করে। অর্থ যে কখনোই অনর্থের মূল নয়, বরং অর্থহীনতাই অনর্থের মূল তা হয়তো খোদ নীতিবাক্য রচয়িতা নিজেও ভালো করে জানতেন।

মানুষের কথা ও কাজের মাঝে বিস্তর ফারাক থাকে একথাটাও তার দারিদ্রতার অভিজ্ঞতা দিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে সে।

নিটোলের পরিবার অর্ণবকে মেনে নিতে পারবে না এ সত্যটা ওরা দু’জনই ভালো করে জানে। অগত্যা বাড়ি যাওয়ার আগেই বিয়েটা সেরে ফেলার পরিকল্পনা করে ওরা। অর্ণব চেয়েছিল মাসের শুরুতে বিয়েটা করতে। তাহলে টিউশনির টাকাটাও হাতে আসতো। একজন ছাত্রের মায়ের কাছে এডভান্স দু’হাজার চেয়েছিল। মহিলা মুখের উপর না করে দিয়েছেন।

পকেট খালি। নতুন বউকে একটা কিছু গিফট ও করতে পারবে না। লজ্জায়, হীনমন্যতায় মাথা হেট হয়ে আসছে তার। নিটোল অর্ণবকে বুঝতে পারছে। তার নিজের ও কষ্ট হচ্ছে। চালচুলোহীন একটা ছেলের সাথে পুরোটা জীবন জড়িয়ে নিচ্ছে। ভালোমন্দ হিসেবটুকু করার ন্যুনতম সময় ও হাতে নেই।

মায়ের কোমল মুখটা মনে পড়ছে, সাথে একটি কঠিন বাক্য।
ঃ মেয়েদের জন্য দেখতে হয় ভাতের ঘর আর ছেলেদের জন্য জাতের ঘর।
অর্থাৎ মেয়েদেরকে বিয়ে দিতে হয় ধনী পরিবারে, যাতে অন্নবস্ত্রের জন্য কষ্ট না পায়, আর ছেলের বউটা আনতে হয় বংশ দেখে, কারণ এই মেয়ের দ্বারাই ছেলের সংসার গড়ে উঠবে।

কিন্তু নিটোল তো জাত ভাত কোনটির ঘরেই হাত দিচ্ছে না। সে অর্ণবের মতো একটি খাঁদহীন প্রেমিকের জীবনে হাত দিচ্ছে। মানুষটাই তো আসল, যাকে নিয়ে সারাজীবন চলতে হবে তাকেই তো খাঁদহীন হতে হবে ! একটা পরিপূর্ণ জীবনের প্রথম শর্ত পারষ্পরিক বুঝাপড়া। এই ক’ বছরে অর্ণবকে বুঝতে বাকি নেই নিটোলের। কত মান অভিমান গেছে, কত সুখ দুঃখ !

সবসময়ই অর্ণবকে দেখেছে চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে।

পুরুষের ধৈর্য্যের বিকল্প কিছু নেই। বাবাকে আজীবন ধৈর্য্যহীন দেখে দেখে অর্ণবকে সে তুলনায় অনেক বেশি পারফেক্ট মনে হয়েছে তার কাছে।

পান্জাবীর পকেট থেকে একটা চকোলেট বার বের করে সুদীপ নিটোলের দিকে এগিয়ে দিলো
ঃ দু’জন ভাগ করে খাও। গলায় জল আসুক।

নিটোলের নির্লিপ্ত চোখ। চকোলেট হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে রইলো।
রাজ্যের ক্লান্তি অর্ণবের উদাস দৃষ্টিতে।
ঃ তুমি কি ভয় পাচ্ছো? নিটোলই নীরবতা ভাঙলো।
ঃ না, ভয় নয়, দুশ্চিন্তা।
ঃ আমার বোঝাটা খুব ভারী হবে না
ঃ যত ভারীই হোক, বয়ে নেয়ার সাহস রাখি
ঃ পাশ করার পর আমরা দু’জন মিলে একটা সংসার ভালোভাবেই চালাতে পারবো।

নিটোলের স্বপ্নভরা চকচকে চোখের দিকে তাকিয়ে ভীষণ মায়া হলো অর্ণবের। মেয়েটা হয়তো ভুল করছে একটা ভুল জীবনকে ভালবেসে। সংসারে টাকার বিকল্প কিছু নেই। জন্ম থেকেই অভাবের কুৎসিত রূপ দেখেছে সে। শুরু থেকে জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল তার, যে কোন উপায়ে অধিক অর্থোপার্জন। মানুষের লক্ষ্য সবসময় কি ঠিক থাকে। গতরাতে বাড়ি থেকে ফোন এসেছে মায়ের শরীর ভালো নেই। দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত মাকে ন্যুনতম চিকিৎসা দিতে পারেনি তারা। জীবনযুদ্ধে পরাজীত এক হতভাগী মায়ের সন্তান সে। সে নিজেও কি কোনভাবে জয়ী? হয়তো জয়ী। নিটোলের মতো একটি চমৎকার মেয়ের মন জয় করে নিতে পেরেছে। এর চেয়ে বড় জয় আর কি হতে পারে।

একসময় লক্ষ্য ছিল টাকা উপার্জন, যদিও সে লক্ষ্যে বিচ্যুতি ঘটেনি এখনো, তার সাথে যোগ হলো নিটোলকে পাওয়ার ইচ্ছে। মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল নিটোল।

এরপর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা। একটি সার্জারী, কয়েকটি ক্যামো কিংবা মাকে ভালো রাখার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা। এখন লক্ষ্যটা একমাত্র মা। খবর এসেছে মায়ের অবস্থা ভালো না। আজকের এই বড় ঘটনা না হলে ঘুম থেকে উঠেই বাড়ি চলে যেতো সে। আজকের দিনে নিটোলকে মায়ের কথা জানানো সমীচীন মনে করেনি অর্ণব। নতুন জীবনের স্বপ্ন ভরা দু’টি চোখে কি করে নোনাজল ঢালবে সে ! অসহ্য যন্ত্রণা বুকে চেপে কাজী অফিসে এসেছে আজ।

বিয়ের জন্য প্রস্তুত হতে কাজী সাহেব নির্দেশ দিলেন। ওদের প্রস্তুতি আর কি ? তারা তো প্রস্তুত হয়েই এসেছে। সুদীপ হাতের পলিব্যাগটা নিটোলের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো
ঃপাশের রুমে যাও। রেডি হয়ে এসো।
ঃ কি এটা?
ঃ খুলে দেখো।
ত্রস্ত হাতে ব্যাগটা খুলে একটা শাড়ির প্যাকেট, আংটির বক্স, একটা পান্জাবী আর কিছু প্রসাধনি দেখতে পেলো নিটোল। বিস্ময় বিস্ফোরিত চোখে অর্ণবের দিকে চেয়ে অস্ফুট বললো
ঃ তুমি আমাকে অবাক করেছো। এখন এসবের প্রয়োজন ছিল না।

অর্ণব কোন কথা বলেনি। মাথাটা আরো কিছুটা যেন হেট হয়ে এলো তার। নিজের অক্ষমতার গ্লানি তাকে যেন মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছিল। বন্ধুর দানে কৃতজ্ঞতার বদলে চরম অপমান বোধ হচ্ছিল তার, তবুও নিটোলের ভুল ভাঙাতে সাহস হলো না কিছুতেই।

আচমকা অর্ণবের ফোন বেজে উঠলো।
কাজী সাহেব পূণরায় তাগাদা দিলেন।
ফোন রিসিভ করতেই তার সারা অবয়ব কষ্টে ছেয়ে গেলো। হাতের মুঠি প্রচন্ডভাবে শক্ত হয়ে এলো যেন। নিটোলের একটা হাত জোর করে চেপে ধরলো।
ঃ কোন দুঃসংবাদ ? উদ্বিঘ্ন নিটোল জানতে চাইলো।

অর্ণব কোন কথা বললো না। নিটোলের পাশ থেকে উঠে বারান্দায় গেলো। খোলা আকাশের দিকে তাকালো। এই ভর দুপুরেও সারা পৃথিবীতে এত অন্ধকার কেনো ! মাঝে মাঝে অন্ধকারের শক্তি এত প্রবল হয় যে গনগনে সূর্যের উপস্থিতিতেও অন্ধকার দূর হয় না। অর্ণবের ও তেমনটি মনে হলো। বারান্দা ছেড়ে বড় রাস্তায় নেমে এলো সে। এই পথটা জুড়েও গভীর অন্ধকার। কোথায় দিনের আলো ! কোথাও কোন আলো নেই, ছোপ ছোপ অন্ধকার শুধু। নিটোলের কথা মনে হলো। সেখানেও প্রবল অন্ধকার। একসময় এক কোটি তারা জ্বলতো নিটোলের মুখে, এককোটি জোনাকীরা নেচে বেড়াতো নিটোলের সারা শরীর জুড়ে, অথচ আজ এত এত অন্ধকার।

এখন তার লক্ষ্য টাকা উপার্জন নয়, নিটোল নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।

বাড়ি ফেরার বাস ধরাটাই হয়তো এখন একমাত্র লক্ষ্য তার।

অনেক্ষণ হয়ে গেছে। কাজী সাহেব আবার ডাকলেন। নিটোল সুদীপকে বললো অর্ণবকে ডেকে আনতে। সুদীপ মাথা নিচু করে বসে আছে। একটু আগে অর্ণবের সাথে ফোনে কথা হয়েছে তার।

ঃ কি হলো সুদীপ ? অর্ণবকে ডাকছো না কেনো?

সুদীপের অসহায় দৃষ্টি দেখে এক লাফে চেয়ার ছেড়ে বারান্দায় গেলো নিটোল। অর্ণবকে না পেয়ে ফোন দিলো। ওপাশ থেকে কেউ একজন বললো “এ মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না”।

ফিরে এসে ধপাস করে চেয়ারে বসলো নিটোল। দু’জনই নীরব। এভাবেই কতটা সময় কেটে গেলো কেউ টের পেলো না। অবশেষে সুদীপই বললো
ঃ চলো ফিরে যাই।
ঃ না।

শাড়ির প্যাকেট নিয়ে পাশের রুমে গেলো নিটোল। পরিপাটী সাজগোজ করে বেরিয়ে এলো। নিটোলকে এমন অভূতপূর্ব রূপে জীবনেও দেখেনি সুদীপ। সে কেঁপে উঠলো।
ঃ অর্ণব আজ আসতে পারবে না নিটোল
ঃ জানি।

নিটোলের চোখে ভিসুবিয়াস জ্বলছে। এই কিছুক্ষণ আগে যে চোখে রাজ্যের স্বপ্ন ছিল সেখানে এখন ভয়ঙ্কর দাবানল। এতদিনের জমানো রঙিন স্বপ্নগুলো পুড়ে পুড়ে ছাই হচ্ছে যেন। এমন স্বপ্নপোড়া গন্ধে সুদীপ আঁতকে উঠলো।

নিটোল দু’চোখে দাবানল নিয়ে সুদীপের চোখে চোখ রাখলো। সে আগুনে সুদীপ পুড়ে ভস্ম হতে চলেছে। নিটোলের গায়ে জড়ানো লাল শাড়িটা আগুনের লেলিহান শিখা হয়ে কাজীঅফিসের প্রতিটা কোণ পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। নিটোল পুড়ছে, সুদীপ পুড়ছে, স্বপ্ন পুড়ছে। আর জীবনের ঘন অন্ধকারে লক্ষ্য ভ্রষ্ট অর্ণব নিজের কষ্টগুলোকে জীবনের কঠিন লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়ি অভিমুখে এগিয়ে চলেছে।

তার পকেট ভারি হয়ে আছে নিটোলের পোড়া স্বপ্নগুলোর ধূসর গন্ধে।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১৭ টি মন্তব্য (লেখকের ৯টি) | ৮ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২৩-০৯-২০১৮ | ১০:৫৮ |

    অণুগল্পে রূপায়িত তিনটি চরিত্রের মধ্যে প্রধান দুটি চরিত্রের কথোপকথন এবং কঠিন এই বাস্তবতা হৃদয় ছুয়ে গেলো। ___ ধন্যবাদ আপনাকে অণুগল্পের জন্য।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৩-০৯-২০১৮ | ১৩:০৭ |

      আপনার ভালো লাগায় কৃতজ্ঞ আমি।  সবসময়ই পাশে থেকে উৎসাহিত করেছেন।  ধন্যবাদ আপনাকে। 

      GD Star Rating
      loading...
  2. রিয়া রিয়া : ২৩-০৯-২০১৮ | ১২:৫১ |

    নিটোল আর অর্ণবের গল্প। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম সত্য তবে মনটা আর্দ্র হয়ে রইলো। আপনার জন্য অপেক্ষা করি ঠিকই, অথচ শব্দনীড় এ আপনার উপস্থিতি খুব কম। Frown

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৩-০৯-২০১৮ | ১৩:১১ |

      আমি ব্যক্তিগত কারণে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে কোথাও খুব একটা সময় দিতে পারি না দিদি। এ আমার  অক্ষমতা । 

      আশা করি খুব শীগগির ব্যস্ততা কাটাতে পারবো।

      অনেক ভালবাসা।

      GD Star Rating
      loading...
  3. মোঃ খালিদ উমর : ২৩-০৯-২০১৮ | ১৪:৩৯ |

    এমনি করে কত নিটোল কত অর্নবের মত কলি কোথায় হারিয়ে কেও তার খবর রাখেনা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৮:৫০ |

      জীবন তো এমনি কিছু ঘটনাবলীর যোগফল।  পাওয়া না পাওয়ার বেহিসেবি ক্ষণ।

      ধন্যবাদ আপনাকে ।

      GD Star Rating
      loading...
  4. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ২৩-০৯-২০১৮ | ১৪:৫৪ |

    অণুগল্প হিসেবে সুন্দর হয়েছে বোন।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৮:৫১ |

      কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা।  ভালো থাকুন। 

      GD Star Rating
      loading...
  5. মিড ডে ডেজারট : ২৩-০৯-২০১৮ | ১৫:০৫ |

    গল্পের মেদহীনতা, না লিখা অংশে এর শক্ত উপস্থিতি মন কেড়েছে।

    অর্ণবের জন্য জীবনের সবকিছুকে তুচ্ছ করা; আবার সাবস্টেন্সিয়াল কোন কারন ছাড়াই সেই অর্ণবকে পেছনে ঠেলে সুদীপকে সামনে আনা কেবল নিটোলের অদ্ভুত সাইকোলোজির পরিচয় বহন করেনা। সম্ভবত হিউম্যান সাইকোলজির প্রায়শঃ প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত একটা অংশ এটা। তবে এখানে বহুস্বরের উপস্থিতিও টের পাওয়া যায়। অর্ণব কী পালিয়ে গেল? নাকি আলোহীন পথে হারিয়ে গেলো? তুলনামূলক পরিপাটি সাজের সুদীপের প্রতি এটা নিটোলের নতুন প্রেম? নাকি অর্ণবের প্রতি গভীর প্রেম থেকে জন্ম নেয়া তার আত্মহননের মতো অভিমান?

    এবং শেষে কি হল?

    সুদীপকে কবুল করলো? নাকি লালশাড়ি পরে সুদীপকে সাথে নিয়ে সে অর্ণবের আরও কাছে যেতে প্রস্তুতি নিলো?

    গল্পটা পড়ে এসবের জবাব নিজের মতো করে বানাই এবং অতঃপর স্বীকার করি, এটা নানামুখি আলো ছড়ানো অণুগল্প!          

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৯:০৩ |

      একটি খাপছাড়া গল্পের বিশ্লেষণ এতটা সুন্দর হতে পারে ভাবিনি। অর্ণবের ভালবাসায় হয়তো কোন  খুঁত ছিল না, জীবন তাকে পথে নামিয়েছে।

      সুদীপের সাথে কি হতে চলেছে তা পাঠকের ভাবনায় ছেড়ে দিলাম । চমৎকার বিশ্লেষণের জবাব চমৎকার করে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু শব্দনীড়ে এলেই কীবোর্ডের বাটন বেঁকে বসে।  খুব সহজে লিখতে পারি না।

       

      ধন্যবাদ।

      GD Star Rating
      loading...
  6. মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন : ২৩-০৯-২০১৮ | ২০:৩১ |

    * খুব সুন্দর একটি গল্প পড়লাম… https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৯:০৪ |

      আপনার চমৎকার অনুভূতিতে ধন্য হলাম।  ভালো থাকুন ।

      GD Star Rating
      loading...
  7. ইলহাম : ২৩-০৯-২০১৮ | ২১:৩০ |

     আপনার লেখার হাত ভালো লেগেছে আমার কাছে প্রিয় কবি ও লেখিকা!

    এর আগে আপনার একটা কবিতা পড়েছিলাম সেটাও অসাধারণ লেগেছিলো!

    শুরু করার পর শেষ না করে উঠতে পারাটাই ছোট গল্পের স্বার্থকতা এটা আপনাকে বলার প্রয়োজন আমি মনে করি না কিন্তু আপনার এই ছোট গল্প পড়তে গিয়ে আমার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে।

    আপনাকে মনে হয় খুব মিস করি শব্দনীড়ে!

    শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৯:১১ |

      আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।  ছোটগল্পের আকার ,আকৃতি ,বিন্যাস, ব্যাপ্তি নিয়ে জ্ঞানীদের অনেক  পর্যালোচনা রয়েছে। আমরা তা মেনে লিখতে চেষ্টা করি মাত্র।

      অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

      GD Star Rating
      loading...
      • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৯:২৪ |

        শব্দনীড়ে আমাকে মিস করেন জেনে ভালো লাগলো । পারিবারিক ব্যস্ততায় থাকি।  অবশ্যই খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে নিয়মিত হবো।  শুভেচ্ছা।

        GD Star Rating
        loading...
  8. শাকিলা তুবা : ২৩-০৯-২০১৮ | ২২:১৭ |

    গল্পটি পড়লাম আপা।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২৪-০৯-২০১৮ | ৯:২২ |

      পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।ভালো থাকুন ।

      GD Star Rating
      loading...