অনুভূতি বিবশ করা শব্দগুলো যখন চামড়ায় গেঁথে যায়,
সুনসান জীবনের গল্পে নুয়ে আসে মধ্যযুগ,
মানুষের কাতরতা স্পর্শ করে জঘন্য অশুচি।
কত কি বলার থাকে,
তবু বোধের ভেতরে চমকায় খানিকটা প্রত্যয়,
ভাবি বলে আর কি হবে,
পরাজিত শব্দগুলো ভাঙা কাঁচের গুঁড়োর মত রক্তক্ষয়ী তো হবেই।
ঠিক তখনি প্রবল সুখে একশ’টা বৃষ্টির ফোটা নিলামে তুলি,
একশ’টা কসমের গিঁট খুলে দেই,
একশ’টা উৎসবের আয়োজন ধরে রাখি,
এবং একশ’টা গাছের সহনশীলতা এঁকে নেই।
আমার প্রাতঃবিশ্বাসে আচমকা দৃঢ়তার দেখা পাই,
এসব শব্দেরা কত আর তীক্ষ্ণ হবে?
চামড়া পাল্টে নেবো নাহয় ক্ষতগুলি মুছে দিতে !
যদি হতাম দর্পভরা অহংকারী,
এই কুৎসিত শব্দের বিকাশ কবেই মাড়িয়ে যেতাম,
সব পরশ্রীকাতরতা উড়িয়ে দিতাম হিম ভোরে,
গুঁড়িয়ে দিতাম অলিতে গলিতে পচাগলা জিভের কুরুচি।
অথচ আমি আকাশ দেখি, সমুদ্র ও পাহাড় দেখি
মাটির বুকে কান পেতে তার পুঞ্জিভূত ব্যথা শুনি,
মুহূর্তেই কলুষিত শব্দগুলোতে আমার করুণা জমা হয়,
আর আমি হই চামড়ায় ক্ষত পুষে রাখা এক প্রবাল শরীর।
loading...
loading...
প্রকৃত একটি কবিতা যে গড়নে অথবা শব্দকাঠামোর মেধাশ্রমে পড়ে সেটা আপনার কবিতায় পাওয়া যায়। মুগ্ধ হলাম এই সাত সকালেই। অভিনন্দন প্রিয় কবি।
loading...
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। ভালো থাকবেন।
loading...
সুন্দর লাগল কবিতা অনেক শুভেচ্ছা নিবেন আপু
loading...
আপনাকেও অাংখ্য ধন্যবাদ।
loading...
সত্যিকারার্থে কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি ভাই। নমষ্কার।
loading...
উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যটি পেয়ে ধন্য হলাম দি'ভাই। ভালো থাকুন।
loading...
* কবিতাখানি শিল্পরসোত্তীর্ণ বলা যায়।
ভালো থাকুন কবি।
loading...
শিল্পরসবোধ সম্পন্ন একজন পাঠক পাওয়াও একটি কবিতার সৌভাগ্য । ভালো থাকুন।
loading...