লাইফস্টাইল নিয়ে লেখাগুলোয় কোনো কোনোটা আমার মৌলিক অভিজ্ঞতা থেকে অনুসৃত জীবনাচরণ। কোন কোনোটা আবার নানা সূত্রে প্রাপ্ত। কোথা থেকে এগুলোর প্রাপ্তি, নিজের না অন্যের ভাবনা, তা মাথায় না রেখেই আমি একটি টোটালিস্টিক বা সামগ্রিক কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বলবো “গার্হস্থ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা” নিয়ে। বিষয়টি শুনতে খুবই বোরিং, লিখতেও বোরিং লাগলেও, আসলে এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয় ঘরদোর সামলানোর কাজে।
উন্নত দেশের সিটি করপোরেশনগুলো এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঘর-গেরস্থালীর নিত্যদিনের আবর্জনা গুলোকে তারা ৩ টি ভাগে ভাগ করে কালেক্ট করে থাকে। সেগুলো হচ্ছে —
১. ডাম্পিং বর্জ্য, মানে যেগুলো ল্যান্ড রিফিল এ চলে যাবে। ( Black bag)
২. রিসাইকেলেবল বর্জ্য, মানে যেসব ফেলে দেয়া জিনিস পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। অথবা যেগুলো নতুন কোন সামগ্রী বানানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। ( Yellow bin)
৩. গ্লাস রিসাইকল, মানে কাঁচের তৈরি বর্জ্যগুলোকে তারা আরেকটা চারকোনা খোলা ডাস্টবিনে কালেক্ট করে। যাতে এসব ভঙ্গুর জিনিস অন্য রিসাইকেলেবল জিনিসপত্র ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায়। ( Blue bin) অলরেডি ভেঙে যাওয়া কাঁচগুলোকে তারা প্রথমে কাগজে মুড়িয়ে এবং তারপর প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে বিনে ফেলে। যাতে পরবর্তীতে ভাঙা কাঁচে কারো হাত না কাটে এবং সহজে আলাদা করা যায়।
উন্নত বিশ্বে সিটি করপোরেশনের ময়লা সংগ্রহের গাড়িগুলো কোন এলাকায় বা কোন রোডে সপ্তাহের কোন দিনটিতে ল্যান্ড রিফিল এর বর্জ্য সংগ্রহ করবে তা বছরের শুরুতেই তাদের ছোট্ট এক পৃষ্ঠার ক্যালেন্ডার এ জানিয়ে দেয়। আর রিসাইকল বা গ্লাস এর বর্জ্য সাধারনতঃ ১৫ দিনে একবার ( নির্দিষ্ট দিনে) সংগ্রহ করে থাকে। এভাবে যার যার নিজ নিজ ঘর থেকেই আবর্জনাগুলো আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে সেদেশের সরকারের পক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশ সহজ হয়ে দাঁড়ায়। যে বর্জ্যের জন্য যে নির্ধারিত পাত্র বা ব্যাগ, সেটি ছাড়া ময়লা নিতে অস্বীকার করবে করপোরেশন গাড়ি চালক। So no way, U hv to use it, dear!
যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে মশা-মাছিবাহিত, জীবাণুবাহিত নানা রোগে আমরা আক্তান্ত হচ্ছি এবং সেই সাথে বায়ু দূষণ, পরিবেশ দূষণ, নদী দূষণ এরকম নানাবিধ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় সারা জাতি ভুক্তভোগী হচ্ছি….. তাই আমার নিজস্ব ভাবনা ও অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে এব্যাপারে কিছু বিষয় আমি আগামী ২/১ লেখায় তুলে ধরবো ভাবছি।
কোরবানি ঈদ পরবর্তী দাওয়াত দেয়া ও দাওয়াতে যাওয়া পর্ব এখনো চলমান থাকায় লিখতে ক্লান্তি এসেছে কিছুটা। তবু বিষয়গুলো নিয়ে লিখবো ভেবেছি যেহেতু, তাই কিছুটা ক্লান্তি নিয়েই আবার লাইফস্টাইল নিয়ে লেখায় ফিরে এলাম। একসাথে সবাই মিলে “ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু” বলে আবার ছুটির দিনশেষে যার যার লাইফস্টাইলে সুন্দরভাবে ফিরে যাবার শুভকামনায় আজ এখানে শেষ করছি। ভালো থাকুন সকলে।
loading...
loading...
লাইফস্টাইল নিয়ে লেখাগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুভেচ্ছা আপা।
loading...
এই আইডিয়া আমাদের দেশে প্রচলন হোক এমনটা চাই। শুভেচ্ছা জানবেন।
loading...
ধন্যবাদ
loading...
চমৎকার আইডিয়া! কিন্তু আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলাশহরে এরকম প্রচলন হবে কিনা, তা ধারণা নেই। মনে হয় হবেও না। তবু আপনার পোস্টখান প্রসংশার দাবি রাখে।
loading...
জন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমাদের সবাইকে অভ্যস্ত হতে হবে। ধন্যবাদ কবি বোন।
loading...
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আবর্জনা গুলোকে তারা ৩ টি ভাগে ভাগ করে কালেক্ট করার পদ্ধতি আমি দেখেছি আপা। বাংলাদেশেও এর প্রচলন চালু করা উচিত। এবং সেটা যত দ্রুত ততোই ভালো।
loading...
ময়লার একটা ডিব্বাও যখন চুরি হয়, তখন ভাবি ৩টা থাকলে চোরের দলের ঈদ চলে আসবে।
loading...
দিন পাল্টাবে নিশ্চয়ই।
loading...
আপনার জন্যও শুভকামনা দিদি ভাই। ভাল থাকুন।
loading...
ধন্যবাদ দিদি।
loading...
দারুণ কনসেপ্ট।
loading...
ধন্যবাদ কবি।
loading...