বৃন্ত থেকে একটি
কুঁড়ি ঝরে গেলে
গাছের আরও
পুষ্পদল মেলে।
কিন্তু তা বলে
ঝরে যাওয়া
ফুলের ব্যথা
মেটেনা কোনো কালে।
এরা বন্ধু হয়ে ঝরে যায়,
এরা ভালোবেসে সরে যায়,
এরা ঘর বেঁধে দলে পায়,
এতে এরা খুব ভালো পায়।
আমার মনের অপার করুণা,
সব ঝরে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪২ বার দেখা
| ৪৮ শব্দ ১টি ছবি
মানুষকে ভালোবাসতে গিয়ে
যখন নিজেকে নিঃস্ব করে তুলি,
ঠিক তখনি তারা নিজেকে দেবতা ভেবে,
নিজের উচ্চতার চেয়ে উঁচু হতে গিয়ে,
হুড়মুড় করে ভেঙে খানখান হয়ে পড়ে।
আমি তখন লজ্জায় মাটিতে মিশে
যেতে যেতে, অযত্নে পড়ে থাকা এক
বীজের থেকে অংকুরিত হয়ে,
মহীরুহের সতেজ ডালপালা
মেলে
এই মহামারীর ভয়াল দিনে-
তোমার ফ্রীজের এককোনা
নয় রইলো এবার একটু খালি,
খালি পেটের একটি মানুষ
তা দিয়ে মাংস-ভাত খেলো
ক’দিন পেটপুরে এক থালি।
ইব্রাহিমের পুত্র ইসমাঈল
যখন গিয়েছিলো কুরবানীর
প্রথম ছুরির তলে,
ডীপফ্রীজের নামখানি কেউ
শুনেছিলো সেই কালে?
তাহলে কুরবানী দিয়ে
সেটি ভরে রাখা আজ,
জায়েজ
রাত্রির চেয়ে নিঃশব্দ
কিছু সময় আসে,
তখন কথারা চুপিসারে
ঝরে যায় গাছের পাতার
মতোন, কেউ তা শোনে না।
এসব ঝরে যাওয়া
কথাগুলো একা কাঁদে
খুব আনমনে, যেন কেউ
জানতে না পারে, বুঝতে
না পারে কোনোভাবে।
জীবনের ঘূর্ণিপাকে
যার যার না বলা কথারা
ঘুরপাক খায় অবিরত,
তারপর
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৪ বার দেখা
| ৫০ শব্দ ১টি ছবি
💦💦💦💦💦
চাঁদ মুছে যায়
বৃষ্টি ধারায়,
পাখিদের ডানা
হয়ে আসে ভার।
এসবের কারণ বুঝি,
বুঝি না কেবল
মন খারাপের মানে।
মন তুমি উদাস কেন
মধুর বাদল দিনে?
কে ছিলো তোমার?
কে নেই আর?
কবে কার কথা ভেবে
বেঁধেছিলে ফুলহার?
এমন তো কোনো
পদধ্বনি তুমি
শোনো নি মনের মাঝে।
মনে রাখো নাই যদি,
তাহলে ও চোখ কেন
আমারই কথা বলে?
মেঘের আড়ালে চাঁদ
ঢেকে গেলে জোছনা
দেখার ছলে?
“মনে নাই আর” বলে
কাহারে বোঝাও? নিজেকেই
নাকি আমারে? আমি কেন তবে
আমাকেই পাই তোমার যাপিত
প্রহরে?
খুব করে হাসি, খুব করে
কাঁদি, এ প্রহসন দেখে তোমার।
আসলে চোখে চোখে জেনে
গেছি আমি, যে কথা ছিলো
জানিবার!
আমি কাহারে কি যেন
বলিতে চাই! সে কথা থাকে
চোখে, মনের গভীরে,
বুকের গোপন ভাঁজে।
কিছু বলি তার আনমনে,
কিছু শোনাই মেঘ পাখিদের,
কিছু দিয়ে গাঁথি মালা গল্পের।
তবু ফুরোয় না!
এরা রয়ে যায় না বলা কথা হয়ে,
না পাওয়া স্বপ্ন হয়ে, না দেখা
ভোর হয়ে। তবু ঘুরেফিরে কি কথা
যেন আমি কাহারে বলিতে চাই!
কাহারে