বেলী,
আজ আদুরী দৃষ্টি ফিরে পেলো,
বেশ কিছু দিন যাবৎ এমনটাই ভাবনা চিল শকুনের মতো
হঠাৎ করে বললে হয়তো ভুল হবে
সময়ের স্রোতেই অপেক্ষার প্রহর ফুরালো
আঁধারকে আধার করে চলে গেলো।
মনের বাগানে জল ঢেলে
শুষ্ককে সবল করতে জোর তাগিদ দিচ্ছিলাম
কিন্তু ফলাফল; নামি দামি সুগন্ধি বাউরা সংস্রব
আসলে সতেজ বৃক্ষের দিকে দৃষ্টি না পড়লেও চলে
কিন্তু মৃত বৃক্ষের দিকে তা হবার নয়
ঝরে পড়া বাকল প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলে
সে সংস্কৃতের ইস্পাত ভাষা
জলোচ্ছাস, সুনামী, নাসরিন গর্জন করে চলে সর্জরস
যা কখনো কল্পনাতেও ভাবিনি
আদুরী
একবারও কি মৃত্যুর কথা মনে পড়ে?
ভালোবাসি শুধু মুখে বললেই হবে না
বলতে পারো ভালোবাসার মুখটা কেমন?
লাল, নীল, বেগুনী গাঢ় আঁধার তাও নয় আরজিবি কিংবা সিএমওয়াইকে
ওষ্ঠের নিন্মভাগে তিল অথবা ঘোমটায় ঢাকা মুখ
আমি নিশ্চিত বলতে পারি
ভালোবাসা নিজে যেমন তুইও তেমন জানিস না
বেলীকে দেখেই আমি বুঝেছিলাম
ভালোবাসা কাকে বলে, কেমন হয় তার দৃষ্টি
আদুরী চলে গেলো হাসতে হাসতে চাঁদ সুরুজের অপেক্ষায়
বেলীর স্পর্শ পেলাম না আদুরীর ভালোবাসায়
জুঁই, চামেলী, শিউলি, গোলাপ সবাই তো একটি গাছের ফল
আজ ভালোবাসতে সাহস পাই না, কি করে দেখবো
নিজের মৃত্যু নিজের চোখে,
বেলী,
আজ সাহস মরে গেছে।
উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, রাত: ১:৩০, ১৩০৩২০১৬।
loading...
loading...
বেশ আন্তরিক শব্দ গাঁথার সাথে লিখাটি এগিয়েছে। অনেক সুন্দর।
তবে লিখায় ছোটখাটো দুই একটি প্যারা থাকলো মানাতো ভালো।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি রুদ্র আমিন।
loading...