কী লিখি তোমায়!
সুহৃদ,
মনটা গত কিছুদিন যাবত বিক্ষিপ্ত ভাবনায় কখনও অস্থির, কখনও এলোমেলো থাকছে। মন কিছুতেই বশে আসছেনা। এই যে লাগাতার অস্থিরতা এটা মনের দোষ বা গুণ নয়, মনের উপর লাগাতার সময় পরিবেশ পরিস্থিতির বিভিন্ন মাত্রার যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতেই মন বেচারা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
মন যখন আমার বশে থাকেনা, আমি নিজেকে তখন বশে আনার চেষ্টা করি। সারাক্ষণ কথা বলি মানুষটা কথাবার্তায় সংযমী হয়ে উঠি, দিনের বেশির ভাগ সময় নীরব থাকি। তাতে মনের খোলা জানালা দিয়ে এলোমেলো ভাবনারা আসে ঠিকই, তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ীত্ব পায়না।
এই যে আমি এতক্ষণ ধরে লিখে চলেছি, দিকভ্রান্ত শব্দগুলোই জানান দেয় মনের অস্থিরতার কথা। এমন এলোমেলো কথা আমি সাধারণ অবস্থায় বলিনা, ভাবিওনা। বেশি কথা বলি, সারাক্ষণ কথা বলতে ভালো লাগলেও কথা বলার সময় কথা গুছিয়ে বলা আমার অভ্যাস। মন যখন বশে থাকেনা, চাইলেও কথাগুলো গুছিয়ে উঠতে পারিনা বলেই নীরব থাকাকেই শ্রেয় মনে করি।
নীরব থাকারও তো নিয়ম কানুন আছে। চাইলেই নীরব থাকা যায়না। নীরব থাকাকে অনেকে ‘গরিমা, অহঙকার, দম্ভ’ ভেবে মাঝে মাঝে ভুলও করে। এটা নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি।
খুব ছোটবেলায় আমি শান্ত চুপচাপ থাকতেই পছন্দ করতাম। নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাসের বন্ধুদের অনেকেই আমাকে পেছনে ‘ দেমাকি, অহঙ্কারী’ বলতো। পেছনেই বলতো, কারণ মিথ্যে কথা সামনাসামনি বলা কঠিন। তাছাড়া আমাদের ছাত্রজীবনে ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল, ফার্স্ট বয়দের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ ভালোবাসতেন, প্রশ্রয়ের চোখে দেখতেন। ফলে তাদের সম্পর্কে যখন তখন বাজে কথা বলে, ‘অহঙ্কারি দেমাগি’ ডেকে কেউই শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরাগভাজন হতে চাইতোনা।
তারপরেও কথা থেমে থাকতোনা। পেছন থেকে যে বলে, সে তো জানেনা পেছন থেকে ফিসফিসিয়ে বললেও সেই কথা সামনের দিকে যায়। কথা পেছন দিকে যায়না। স্বভাব শান্ত থাকাতো আমার দোষ ছিলনা, কিন্তু এই স্বভাবের কারণে সমবয়সীদের কাছে ‘দেমাগি, অহঙ্কারী’র খেতাব পেয়ে মন খারাপ হতো, শান্ত মুখচোরা আমি আরও নীরব হয়ে যেতাম। কিন্তু এভাবেই কতকাল, মানুষ মাত্রেই পরিবর্তন চায়। আমি পরিবর্তিত হতে চেষ্টা করি। শান্ততার বেড়া ভাঙতে চেষ্টা করি, অশান্ত, চঞ্চল হয়ে ওঠার জন্য কিশোরী মনে প্রতিজ্ঞা করতে করতেই একদিন চঞ্চল, কথাবার্তায় কলকল হয়ে উঠি। এবং স্বভাবে এই উত্তরণ ঘটেছিল নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবার পর।
সেই থেকে বলি, কথা বলি, ভাল কথাও বলি মন্দ কথাও বলি। ধর্মের কথা বলি, অধর্মের বিপক্ষে বলি। ন্যায়ের পক্ষে বলি, অন্যায়ের বিপক্ষে বলি। বলতে বলতে বলতে বলতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সেই ক্লান্তিই একসময় আমার মাঝে শিশুকালের শান্ততা, নীরবতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। ফিরিয়ে আনার কিছু নেই, ওগুলো তো ছিলই আমার মধ্যে, চারিত্রিক কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়েই মানুষ জন্মায়। জন্মের সময় নিয়ে আসা বৈশিষ্ট্য হারায়না, নষ্ট হয়না আড়ালে চলে যায় মাত্র। প্রয়োজনে আড়াল সরিয়ে আবার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমার নীরবতাগুলোও আজকাল আড়াল সরিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বলেই আমি নীরব থাকি। যে আমি ফেসবুকে ঘন্টায় ঘন্টায় বড় বড় স্ট্যাটাস লিখে কথার ঝড় তুলতাম, সেই আমি এখন লিখবার মত কোন কথা খুঁজে পাইনা। আগে বিষয় না পেলে নিজে বিষয় বানিয়ে নিতাম। নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে লিখতে না পারলে ওয়ালমার্টে আট ঘন্টা কাজ করতে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হলো, তা দিয়েই তিন পৃষ্ঠা লিখে ফেলতাম। সে এক সময় ছিল, তিন চার বছর আগের কথা বলছি, নাওয়া খাওয়া ভুলে লিখতে বসে যেতাম এত ভাল লাগতো লিখতে।
বললাম যে, এখন মন অস্থির তাই নীরব থাকি। অস্থিরতার কারণগুলো খুব স্পষ্ট, আমি শান্তি ভালোবাসি, শান্তিতে আমি একা থাকবো তা নয়, আশেপাশে সকলেই শান্তিতে থাকবে, তবেই আমি শান্তিতে থাকতে পারবো। কথা হচ্ছে, আশেপাশে কেউই শান্তিতে নেই। পৃথিবীর কোন দেশেই নয়, কম বেশি অশান্তি সব দেশে বিরাজমান। আগে শান্তিতে থাকতো বিদ্বান, জ্ঞানী, নিঃসম্বল এবং ধনবানেরা। এখন মূর্খ মার্গ, ধনী দরিদ্র কেউই নিশ্চিন্ত আরামে একটা রাত অন্তত ঘুমাতে পারেনা। যে মানুষটির কোন শত্রু নেই, কোথা থেকে যেন তাকেও শত্রু এসে আঘাত করে। মানুষ শত্রু না পেলে প্রকৃতিই শত্রু হয়ে যায়। হঠাত জলোচ্ছ্বাস, টর্ণেডো, কালবোশেখি ঝড়, বজ্রপাত, ভূমিকম্প সুনামি— প্রকৃতিই কি কম কায়দা জানে শত্রুতা করার!
মানুষ শত্রুর কথা যত কম বলা যায় তত ভাল। কিন্তু আজকাল কারো বলাবলির অপেক্ষায় কেউ থাকেনা। সকলের জীবন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। একদল মানুষ রাস্তা বরাবর নিশ্চিন্ত মনে হাঁটছে, ঠিক সে সময় বলা নেই কওয়া নেই অচেনা শত্রু এসে হাজির। চলন্ত ট্রাকটা হয়তো তাদের উপর তুলে দিল, শত্রুর চেহারা দেখার আগেই তারা ট্রাকের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে মরে গেলো। অথবা হয়তো অফিসে বসে কাজ করছে সকলে, কোম্পানির জিএম থেকে শুরু করে গেটের দারোয়ান, এর মধ্যেই কখন বোমা ফাটলো, দারোয়ান থেকে অফিসের জিএম আগুনে ঝলসে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলো।
এই তো কয়েক মাস আগের কথা রাজীব নামের বাপ মা মরা ছেলে, টিউশনি করে লেখাপড়া করে, কলেজ যাওয়ার পথে বাসে ঝুলন্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কোথা থেকে আরেক বাস এসে এমন চাপা দিল যে হাতটাই ছিঁড়ে গেলো, সেই থেকে সে মারাও গেলো। এগুলো তো অচেনা শত্রুর কথা বললাম, চেনা শত্রুর কথা উঠলে তো আর কথাই নেই। এই ফেসবুকে এসেই অভিজ্ঞতা হয়ে গেলো শত্রুতা কত রকমের হতে পারে! একজনের সাথে মতে মিলেনা, শুরু হয়ে গেলো শত্রুতা। একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে, তা কি করে হয়! শুরু হোক শত্রুতা, ধুয়ে মুছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক সকল জনপ্রিয়তা।
ধর্ম নিয়ে শত্রুতা এখন চরমে, এই শত্রুতা মানুষের জীবন মরণের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে। এই শত্রুতার জের ধরে একজন মারবে, অন্যজন মরবে। আমি আমার ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, সেও তার ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। এখানে শত্রুতা হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু তবুও শত্রুতা, প্রাণঘাতী শত্রুতা। কি নিয়ে? দুজনের ধর্মীয় মূল্যবোধ, চিন্তাভাবনা, প্রেক্ষাপটে মিল নেই বলে।
দুজন চিন্তা করে দুভাবে, এটাই শত্রুতার জন্য যথেষ্ট। আমি যে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, তোমাকেও তা করতে হবে। তুমি যদি তা না করো তাহলে একদম নীরব থাকবে নয়তো মারা পড়বে। যুক্তি তর্ক করা, যুক্তি খন্ডন করার ভদ্র নীতি রীতি এখানে চলবেনা। হয় মেনে নাও, নয় সরে যাও, মাঝামাঝি কোন অবস্থান বলে আর কিছু নেই বর্তমান সময়ে।
তোমার যুক্তি শোনার ধৈর্য আমার নেই, আমি যে তোমাকে পালটা যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করবো সেই সময়, জ্ঞান, বিদ্যা, ধৈর্য্ কোনটিই আমার নেই। কাজেই উড়ুক ঘুড্ডি আকাশে, চলুক কাটাকুটির খেলা।
এখানেই আমার সমস্যা। পয়সা দিয়ে ঘুড্ডি কিনেছি, সূতোয় মাঞ্জা দিয়েছি, আমার বাড়ির সীমানার আকাশে ঘুড্ডি উড়াচ্ছি। শুধু কাটাকুটি খেলবে বলেই তুমি গায়ে পড়ে এসে আমার ঘুড্ডিটাকে ভোকাট্টা করে দিয়ে উল্লাস ধ্বনি দিতে দিতে চলে যাবে, আর আমি কিনা লাটাইয়ে ছেঁড়া সূতো পেঁচাতে পেঁচাতে ঘুড্ডির জন্য শোক করবো! কেন, কী ক্ষতি হতো তুমি তোমার আকাশে তোমার খুশিতে ঘুড্ডি উড়াতে, আর আমি আমার আকাশে। আমাদের বন্ধুত্বতা না হোক, শত্রুতা তো হতোনা! শত্রু বাড়িয়ে লাভ কি! আমার ঘুড্ডি ভোকাট্টা করে দিয়ে তুমি কি পেলে!
একজন বাষট্টি বছর বয়সী লেখক, পুস্তক প্রকাশককে নিরস্ত্র অবস্থায়, বিনা প্রতিরোধে গুলী করে হত্যা করে কি লাভ হলো! মানুষটা জীবনের অর্ধেকের বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন, বাঁচলেই আর কয় বছর বাঁচতেন। বড় জোর কুড়ি বছর, কী ক্ষতি হতো তাঁকে কুড়িটা বছর নিজের মত করে নিজের আকাশে ঘুড়ি উড়াতে দিলে?
এই কথাগুলোই বুকের মাঝে তোলপাড় করে, মাথার ভেতর ভন ভন করে। কেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এত হত্যা, কেন আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশ্বের সকল দেশের এমন বৈরী মনোভাব, কেনইবা বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর বর্তমান- ভবিষ্যত নিয়ে আমেরিকা অযথা মাতবরি করে অশান্তির আগুন বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছে! কেনোইবা খোদ আমেরিকার পথে ঘাটে, শপিং মল, স্কুল কলেজে বন্দুক হাতে আততায়ী প্রবেশ করে, কেনইবা নিরপরাধ বাচ্চা বুড়ো শিশুদের হত্যা করে, কী আনন্দ পায়! এগুলো ভেবে খুব কষ্ট হয়, অশান্তি লাগে। অজানা মৃত্যু ভয়ে বুকে কাঁপন ধরে।
আগেও অশান্তি হতো মনে নানা কারণে, ফেসবুক ওপেন করে বসলেই মন ভাল হয়ে যেত। আজকাল আর তা হয়না, আমার আনন্দভুবনে কেমন করে যে এত বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে!
ফেসবুকে এখন আমার আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। কেমন যেন অচেনা লাগে সব কিছু, অচেনা লাগে সবাইকে। ফেসবুকেও শত্রুতা, ফেসবুকেও ঝগড়া। সব কিছুতেই দুই গ্রুপ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এ বলে, আমাকে দেখ, ও বলে, আমাকে দেখো। দুই পক্ষই শক্তির তেজ দেখিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরীয়া হয়ে যাচ্ছে।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভুত মানুষ মারা যাচ্ছে, রাজনৈতিক মতবিরোধ চরমে, কেউ কাউকে সম্মান করেনা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে যার যেমন খুশি নরমে গরমে কথা বলেই যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি, ধর্ষণ ঘটনায় এক দল ধর্ষিতার পক্ষে, আরেকদল ধর্ষকের পক্ষে বলছে, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য একদল ফান্ড রেইজ করছে, আরেক দল তাতে বাধা দিচ্ছে, এই থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে একে অপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির কুৎসিত প্রতিযোগিতা।
ফেসবুকে এখন আর সুবাতাস বহেনা, এখানে এখন আর পাখি ডাকেনা, নদী কুলকুল শব্দে বয়ে যায়না। ঈদ পূজা নিয়ে প্রাণ খুলে আনন্দ কথা লিখা যায়না, আইডি ব্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে মনের কথাটুকু প্রকাশ করা যায়না।
এখানে ভয়ের বাদশারা রাজত্ব করে, চারদিকে ছোট ছোট ভয়েরা খেলা করে। যারা মানবতাবাদী ছিল তারাও ভালর পক্ষে কথা বলতে ভয় পায়, মন্দের বিপক্ষে কথা বলতেও ভয় পায়। তারা ধর্ষিতার পক্ষে দাঁড়াতেও ভয় পায়, ধর্ষণের বিপক্ষে কিছু বলতেও ভয় পায়।
আমার শৈশবের শান্ততা, নীরবতারা ফিরে ফিরে আসে, ছোটবেলায় অচেনা জায়গায় যেতে ভয় পেতাম, অচেনা মানুষকে ভয় পেতাম। এই ফেসবুক আমার কাছে অন্যরকম লাগে, প্রায়ই অপরিচিত লাগে। অপরিচিতের মাঝে আমি স্বস্তি পাইনা, অচেনার ভীড়ে নিজেকে খুঁজে পাইনা, তাই বোধ হয় আজকাল শৈশবের নীরবতাকেই আঁকড়ে ধরেছি। ব্যথায় মন ভারী হয়ে থাকে, গুছিয়ে কথা বলতে পারা আমিও আর গুছিয়ে বলতে পারিনা আমার কিসের ব্যথা। কবিগুরুর গানের কথাটুকুই মনের ভেতর কেঁদে মরে, “যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা, তোমায় জানাতাম”।
loading...
loading...
আপনার লেখা মানে একরাশ মুগ্ধতা। অসাধারণ এবং সহজ ভাব প্রকাশ দিদি ভাই।
loading...
ধন্যবাদ রিয়া। সময় পেলে আপনার ব্লগটাও ঘুরে আসবো।
loading...
আপনার একটি অসাধারণ গুণ আছে বন্ধু। সরস লিখা গুলোন পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। মন ভরে না।
loading...
ধন্যবাদ আজাদ ভাই।
loading...
loading...
ধন্যবাদ মান্নান ভাই।
loading...
চিঠি চালনার যুগ আমিই দেখেছি অর্ধমৃত অবস্থায়। অতঃপর তো এখন নাই। কিন্তু প্রিয় মানুষদের জন্য পত্র লেখার একটি স্বাদই অন্যরকম। যেখানে কত কথা সুতিকাগারে আবদ্ধ থাকে। আজকে আপনার পত্রটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছ। কত সুন্দর শব্দ চয়নে মনের আকুতি-“এই যে লাগাতার অস্থিরতা এটা মনের দোষ বা গুণ নয়, মনের উপর লাগাতার সময় পরিবেশ পরিস্থিতির বিভিন্ন মাত্রার যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতেই মন বেচারা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
মন যখন আমার বশে থাকেনা, আমি নিজেকে তখন বশে আনার চেষ্টা করি। সারাক্ষণ কথা বলি মানুষটা কথাবার্তায় সংযমী হয়ে উঠি, দিনের বেশির ভাগ সময় নীরব থাকি। তাতে মনের খোলা জানালা দিয়ে এলোমেলো ভাবনারা আসে ঠিকই, তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ীত্ব পায়না।”
খুব ভাল লাগলো।
loading...
চুম্বক সংযোজন। ধন্যবাদ সাইদুর রহমান ভাই।
loading...