আজ ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই দিনটি পালন করা হয় নীল রঙের পোশাক পরে।
‘অটিজম’ বা ‘অটিস্টিক’ শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। অনেক পরিবার বা ব্যক্তি আছেন যাঁরা অটিজম বা অটিস্টিক শব্দটির সঙ্গে তখন পরিচিত হয়েছেন যখন তাঁরা জানতে পারেন যে তাঁদের পরিবারে বা তাঁদের কাছাকাছি কেউ এই অটিজম সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে এটাকে রোগ বলে অভিহিত করেন। প্রকৃতপক্ষে অটিজম কোনো রোগ নয়, এটা স্নায়ুগত বা মনোবিকাশ জনিত সমস্যা। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বলে। শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
কিছু মানুষকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয় অটিজম। মূলত আচরণেই তা বোঝা যায়। ভিড়ে মেলামেশার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় কারও। কারও আবার ভাবনার প্রকাশ হয় আর পাঁচ জনের তুলনায় অন্য রকম। অটিস্টিক শিশু মানে বোকা বা অমেধাবী নয়। অটিস্টিক শিশুরা স্কুল-কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে সফলতা অর্জন করার যোগ্যতা রাখে।
অটিস্টিক হওয়া মানে সব কাজেই ব্যাঘাত ঘটবে, এমন নয়। ইতিহাসে এমন বহু বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন, যাঁদের বিভিন্ন আচরণ বলে যে তাঁরাও ‘অটিজম স্পেকট্রাম’-এর মধ্যে পড়েন। জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু মানুষের কথা। আগে অটিজম নিয়ে সচেতনতা তেমন ছিল না। ফলে সে সময়ে হয়তো জানা যায়নি যে তিনি অটিস্টিক। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পরে বুঝেছেন, এই ব্যক্তিরা অটিস্টিক ছিলেন।
বিখ্যাত সংগীত শিল্পী লেডি হাক এবং ডারিল হান্না, ড্যান হারমন,ড্যান আইক্রয়েড, কোর্টনি লাভ, টিম বার্টন,আব্রাহাম লিঙ্কন, মোৎসার্ট, আলবার্ট আইনস্টাইন, এমিলি ডিকিনসন, চার্লস ডারউইন, কার্টুন ছবির আবিষ্কারক সাতসি তাহেরিসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তি অটিস্টিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের সফলতায় অটিজম কোনো বাঁধা হতে পারেনি। অটিস্টিক শিশুদের সুস্থ বিকাশে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সব শিশুরা …
সহানুভূতির নয় বদলে সমানুভূতি আসুক।
বিশ্বজয় করুক পৃথিবীর সব শিশুরা ….
loading...
loading...
ভালো থাকুক পৃথিবীর সব শিশুরা …
সহানুভূতির নয় বদলে সমানুভূতি আসুক।
বিশ্বজয় করুক পৃথিবীর সব শিশুরা ….
loading...