আবারও অবিশ্বাসের কাঁটাগাছ দরজায় টোকা দিয়েছে। ভালো করে দেখতে চায় মানদণ্ড সোজা আছে কিনা। এতটুকু হেরফেরে ছেড়ে যাওয়া ভালোবাসার বাসভূমি। চলে যাব বলাটা নতুন নয়। শুনে চলা ছোটো থেকেই। তবুও বার বার একই কথার আবর্তে ঘোরা। আবার চিতার দহন।
নীল আকাশে কখনো ওড়া হয়নি। বারবার ডানা ভেঙেছে। যেতে চেয়েছে। যেতে দিয়েছি বিনা তর্কে, জিজ্ঞেস করিনি কেন এই শাস্তি? কেন এতো অবিশ্বাস? স্বপ্ন এঁকেছি আবার বিসর্জন দিয়েছি অশ্রুনদীতে।
যে ভালবাসা ভালোলাগার ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিল আলো মেখে, বাসা বাঁধতে চেয়েছিল ভালোবাসার বুকে, সেও বিশ্বাস অবিশ্বাসের মানদণ্ডে পরীক্ষা করতে চেয়েছে। ডানাজোড়া কেটে রেখে দিয়েছে তারই কাছে।
আজও আমি গুণে রাখা তারাদের মাঝে মাঝে দেখি, কেউ যদি ভুল করেও চিনতে পারে। কেউ যদি সত্যিই বোঝার চেষ্টা করে!
খুব ভোরে হালকা ঠান্ডা বাতাসে চাদর টেনে নিই গায়ে। বিগত দিনগুলোর কথা বড় বেশি মনে পড়ছে। তোমাকে মনে পড়ছে। ফুসফুসে জমে থাকে অনেকটা কথা, তোমার কথা। মনের কুলুঙ্গিতেই শুধু নয়, মগজের অলিতেগলিতে শুধু নয়, ফুসফুসের কুঠুরিতে, কুঠুরিতেও শুধু নয়, আমার প্রতিটি শিরায় উপশিরায় রেখেছিলাম তোমাকে ন্যায্য দাবীতে, পরম বিশ্বাসে, ভালবাসায়।
ফাগুনের চোখেও বর্ষা! মনে জ্বলছে আগুন। তবুও বর্ষা নেমেছে দু’চোখে। একটা একটা করে ফোঁটা ঝরে পড়ছে আর সেই ফোঁটা নিয়ে বিন্দু বিন্দু করে মনকে সাজিয়েছি বিরহিণী রাধার মতো। আজ মৃত্যুকে মনে হয় চিরসখা,
“মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান”
loading...
loading...
বার বার একই কথার আবর্তে ঘোরা। আবার চিতার দহন।
loading...