আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। ছোটো বেলায় নানা রকম স্বপ্ন দেখতাম। কিছু স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, কিছু ভুলে গেছি। নানা রকম উদ্ভট ইচ্ছেও ছিলো, যেমন ছোটো বেলায় গুলি খেলতাম আর সেইসব রংবেরঙের গুলি জমাতাম। বাক্স ভর্তি থাকতো নানা রঙের কাচের গুলিতে।
আজ দুটো স্বপ্নের কথা বলি – উস্তাদ জাকির হুসেনের তবলা ভীষণ পছন্দ করতাম, না না ক্ল্যাসিকাল গান বাজনা অতো বুঝি না, ভালো লাগতো জাকির হুসেনকে, তাঁর চুল যেভাবে উড়তো ওই “বাহ্ তাজ বলিয়ে” বিজ্ঞাপনে, কেমন একটা ক্রাশ ক্রাশ অনুভব করতাম। স্বপ্ন ছিলো যদি কখনও তাঁকে সামনাসামনি দেখি। স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেছিলো, ভুলেও গিয়েছিলাম সেই ছোটবেলার স্বপ্ন। জীবনের নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। বহু বছর কেটে গেছে। জীবন ট্র্যাকে দৌড়ে চলেছি। ততদিনে মেয়ে হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। একদিন কলেজ থেকে ফিরেছে, আমিও পড়িয়ে বাড়ি ফিরেছি, রাতের খাবার খেতে খেতে মেয়ে বললো – “শিশির মঞ্চে ওস্তাদ জাকির হুসেন আর পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের যুগলবন্দী হতে চলেছে, দেখতে যাবে?” আহা! সেই ছোটো বেলার স্বপ্ন যেন সামনে এসে দাঁড়ালো, মেয়েকে পরের দিন বললাম একেবারে সামনের সারির টিকিট কেটে আনিস। সেইদিন খুব কাছ থেকে দেখলাম ছোটো বেলার স্বপ্ন ওস্তাদ জাকির হুসেনকে।
আরও একটি স্বপ্নের কথা বলি – উস্তাদ আমজাদ আলি খান যখনই টিভির পর্দায় আসতেন মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, তাঁর শান্ত, স্নিগ্ধ ব্যক্তিত্ব আমার ভালো লাগতো। ইচ্ছে ছিলো যদি কখনও সামনে বসে ওনার সরোদ বাজানো শুনতে / দেখতে পারি! সেই ইচ্ছে বা স্বপ্নও পূর্ণ হয়েছিল হঠাৎই। দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফে একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম যে তারা একটি অনুষ্ঠান করতে চলেছেন যেখানে পণ্ডিত নয়ন ঘোষ, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকছেন আমার সেই স্বপ্নের মানুষ উস্তাদ আমজাদ আলি খান। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে মেলোডিতে। রাতে বাড়ি ফেরার পথে মেলডি থেকে টিকিট সংগ্রহ করে নিলাম। তারপর খুব মন দিয়ে দেখলাম আমার সেই স্বপ্নের মানুষকে।
আহা! সব স্বপ্ন যদি এভাবে সত্যি হতো!
loading...
loading...
আহা! সব স্বপ্ন যদি এভাবে সত্যি হতো!
loading...
সুন্দর কবি আপা ভাল থাকবেন
loading...