আজ অকাল বর্ষণ। বৃষ্টির এসে ভিজিয়ে দিলো আমায়। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসি আমি। আজকাল রোজ একটু একটু করে বদলে যাচ্ছি। হয়তো ইচ্ছে করেই, চিলতে চিলতে বদলাচ্ছি। এখন একটা একটা করে দিন আঁচলে গুটিয়ে রাখি। এক এক পা করে পিছু হাঁটি। ছেড়ে দেওয়া হাত, ছুঁয়ে থাকা আঙুলগুলো হাওয়ায় আঁকে নীল নদ। অভিশপ্ত জীবন নিয়ে নিজের স্বপ্নের শবাধারের পাশে হাঁটু গেড়ে বসি। অবকাশ, অবসর বৃষ্টি আনে চোখের পাড়ে। নিজেকে চিনে নিতে অবাধ্য হই। আজ এই রাস্তার মোড়ে, অগোছালো বৃষ্টিতে, ধোঁয়া ধোঁয়া গাড়ীদের আলোয় মনে হয় ফিরে যাই সেই ছোট্ট বেলার দিনগুলোতে।
অবহেলে মুছে যায় আলো ছবি, বৃষ্টিরা আকাশের চোখে তুলে নেয় অপেক্ষা। বৃষ্টি গন্ধে সোঁদা ছোঁয়া, কানে কানে ফিসফিস করে বলে যায়, “এই আজ কুমির ডাঙা খেলবি”। তারপর অনেকটা জল, হাওয়া আর আলোদের আঁকিবুকি, অনেকক্ষণ চুপ ছবি লেখা। কত ক্ষণ হয়ে গেল মেঘেরা ঘিরে ধরেছে আমায়, ফোঁটা ফোঁটা জল কুড়িয়ে নিচ্ছে আঁচল। আজও আমি বৃষ্টি কুড়োই। রাস্তার চেনা এক মোড়, পরিচিত গাছ, পরিচিত সময়। এই পথে আমি আসি রোজ, উড়ে যাওয়া হাওয়ায় থাকে আমি-আমি গন্ধ আর আমার দিক নিশান। এখন অনেকটা একা হয়ে গেছে, ছোটবেলার সেই কানামাছি খেলা।
মাঝে মাঝে পা-এ টান পড়ে, হোক না অবাধ্য কিছু চলা। কালশিটে যন্ত্রণা হয়ে নীলকণ্ঠে অমৃত মন্থন। কখনওবা গ্রীষ্ম রোদে সুমেরীয় তুষারের ঝড়। কখনও বা হেমন্তে শ্রাবণ। তরল হোক সবটুকু জমাটবাঁধা বিষ। হেমলক অমৃতের মতোই আমার সঞ্জীবনী সুধা। বড় বেশি তৃপ্তি সে ঘুমে, অ-বিশ্রামে শহুরে জীবন। সমানুপাত আজও শিখিনি, মানদণ্ডে জমে উঠল ভার। আরো একটু নিজেকে খোঁজা দৃষ্টি। বৃষ্টি কেন হয় না যে রোজ! ফোঁটা ফোঁটা মাটির গন্ধ আনুক, আর আমি অনায়াসেই লুকোতে পারি আমার চোখে শ্রাবণ।
মনের কুলুঙ্গীতে একটা মাত্র চিঠি। খামের কোনে নীল হয়ে আছে আমার নাম। ঠিকানা জোলো বাতাসে ভেজা। বৃষ্টি! ডাক টিকিটে তুই বোলে দিস ফেরা।
loading...
loading...
"তরল হোক সবটুকু জমাটবাঁধা বিষ। হেমলক অমৃতের মতোই আমার সঞ্জীবনী সুধা। বড় বেশি তৃপ্তি সে ঘুমে, অ-বিশ্রামে শহুরে জীবন।" অসাধারণ কবিবন্ধু রিয়া চক্রবর্তী।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
loading...
"কখনওবা গ্রীষ্ম রোদে সুমেরীয় তুষারের ঝড়। কখনও বা হেমন্তে শ্রাবণ। তরল হোক সবটুকু জমাটবাঁধা বিষ। হেমলক অমৃতের মতোই আমার সঞ্জীবনী সুধা। বড় বেশি তৃপ্তি সে ঘুমে, অ-বিশ্রামে শহুরে জীবন। সমানুপাত আজও শিখিনি, মানদণ্ডে জমে উঠল ভার। আরো একটু নিজেকে খোঁজা দৃষ্টি। বৃষ্টি কেন হয় না যে রোজ! ফোঁটা ফোঁটা মাটির গন্ধ আনুক, আর আমি অনায়াসেই লুকোতে পারি আমার চোখে শ্রাবণ।"
বাহ্ !
loading...
ধন্যবাদ কবি দিদি ভাই।
loading...
আপনি খুব সুন্দরভাবে জীবনের গান গেয়ে যেতে পারেন, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। তাই আপনার লেখাগুলো পড়তেও খুবই ভালো লাগে। এই লেখাটাও অসাধারণ হয়েছে। শুভকামনা থাকলো, দিদি।
loading...
বিশেষ কৃতজ্ঞতা কবি দাদা ভাই।
loading...
শুভকামনা দিদি
loading...
ধন্যবাদ দিদি ভাই।
loading...
মনের কুলুঙ্গীতে একটা মাত্র চিঠি। খামের কোনে নীল হয়ে আছে আমার নাম।
loading...
শুভেচ্ছা কবি দিদি ভাই।
loading...
মনের কুলুঙ্গীতে একটা মাত্র চিঠি। হৃদয়স্পর্শী।
loading...
শুভেচ্ছা কবি সুমন দা।
loading...
বৃষ্টি গন্ধে সোঁদা ছোঁয়া, কানে কানে ফিসফিস করে বলে যায়, “এই আজ কুমির ডাঙা খেলবি”।
loading...
loading...
সমানুপাত আজও শিখিনি, মানদণ্ডে জমে উঠল ভার। আরো একটু নিজেকে খোঁজা দৃষ্টি। বৃষ্টি কেন হয় না যে রোজ! ফোঁটা ফোঁটা মাটির গন্ধ আনুক, আর আমি অনায়াসেই লুকোতে পারি আমার চোখে শ্রাবণ।
* মুগ্ধ, প্রিয় কবিদি….
loading...
loading...
অনেক সুন্দর প্রকাশ।
loading...
loading...