কং সি ফা চাই
চন্দ্র বর্ষের প্রথম দিনটিকে চীনারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে।
এই উৎসবকে বলা হয় ‘চুন জি’। ইংরেজিতে যা ‘স্প্রিং ফেস্টিভাল’ নামে পরিচিত। চীনারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। নতুন বছর আসলে কোন তারিখ থেকে শুরু হবে এর কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কারণ এই তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তন হয়! এই বছর আজকের দিন থেকে শুরু হচ্ছে ওদের নতুন বছর। অর্থাৎ ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে।
ওদের নববর্ষ আর বসন্ত দু’টোরই আগমন হয় একই সময়ে। উৎসব শুরু হয় বছরের শেষ মাসের মাঝামাঝি, শেষ হয় নতুন বছরের প্রথম মাসে। এই উৎসবকে তারা বসন্ত উৎসবও বলে থাকে। চীনের নববর্ষ তাদের নিজস্ব রীতিতে হয়। নতুন বছরকে তারা একটি প্রাণীর নামে নামকরণ করে থাকে। নির্দিষ্ট ১২টি প্রাণীর নাম ঘুরেফিরে রাখা হয় একেক বছর। এ বছরকে চীনা ক্যালেন্ডারে শূকর বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাকি ১১টি প্রাণী হচ্ছে: ইঁদুর, ষাঁড়, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ভেরা, মোরগ, কুকুর এবং ভল্লুক। গত বছর ছিলো কুকুর বর্ষ।
নববর্ষের আনন্দ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রাণীর যোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে চীনা নববর্ষে। চীনে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছর উদযাপনের জন্য বহু পথ পাড়ি দেয়। বছরের এই সময়টাতে চীনে এতো মানুষ ভ্রমণ করে যে এটাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় বার্ষিক মনুষ্য ভ্রমণ বলে আখ্যা দেয়া হয়। দীর্ঘদিন জমজমাট বসন্ত পালনের পর যে যার স্থানে ফিরে যান। একে বলা হয় চুনইয়ুন। উৎসব শুরুর আগে নিজেদের বাড়িঘর পরিষ্কারের ধুম পড়ে যায় চীনের ঘরে ঘরে। অনেক বাড়িতে বিশেষ করে দরজা, জানালায় লাল রঙের নতুন প্রলেপ দেয়া হয়। লাল রঙের গৃহসজ্জা সামগ্রী, বিশেষ ঐতিহ্যবাহী প্রবাদ, উপদেশ ও ধর্মীয় বাণী বা চিহ্নসংবলিত লাল ব্যানারে ভরে ওঠে চীনের বাড়িঘর।
বেইজিংয়ের হোইহাই হ্রদে মন্দিরের মেলায় ভিড় জমান উৎসাহীরা। নববর্ষের প্রথম দিনে ধর্মীয় আচার দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসব গড়ায় ১৫ দিন পর্যন্ত। শেষ হয় ১৫তম সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন উৎসবের মধ্যে দিনে। চীনারা বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। যেমন – সিংহ নাচ, ড্রাগন নাচ, লাল লণ্ঠন, পটকা, আতশবাজি, লাল কাপড় আর বিভিন্ন রকমের খাবার থাকে উৎসব উদযাপনে। বিশাল ভোজ, পথঘাট সাজসজ্জার পাশাপাশি দেশটির অধিবাসীরা নতুন সাজে নিজেদের সাজিয়ে নেন। লাল খামে করে বাচ্চাদের টাকা দেয়া হয় বর্ষবরণ উৎসবে। লাল প্যাকেটে কমলা লেবু উপহার দেয়া হয় পরস্পরকে। আর বাজি পোড়ানো হয় ভূতপ্রেত তাড়ানোর জন্য৷ চিনের প্রাচীরের একটি অংশে এই দিন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
loading...
loading...
চন্দ্র বর্ষের প্রথম দিনটিতে চীনাবাসীদের প্রতি আমাদের শুভকামনা। আনন্দন এবং ভ্রাতৃত্তে মিলে মিশে থাক সমগ্র পৃথিবী। ___ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে রিয়া।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
loading...
দারুণ লাগলো লেখাটি। আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
loading...
সত্যিকারার্থেই অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় অর্ক দা। ধন্যবাদ।
loading...
সুন্দর বর্ণনামূলক পাঠে মুগ্ধ হলাম। অভিনন্দন রইল।
প্রিয় লেখিকাকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
loading...
ধন্যবাদ কবি দা। আশীর্বাদ দিন।
loading...
eএবার সিডনীর বাঙ্কসটাউনে চীনাদের নতুন নববর্ষ পালন করা হলো । এখানে চীনা কমিউনিটিরাই এই আয়োজন করেছে । ভালোই লেগেছে ।
ওরা লাল গোল বল তৈরী করে ঝুলিয়ে দেয় রাস্তায় । আর নানান রকম ট্রাডিশনাল খাবার , ফুল ,ফল আর চাইনিজ মেয়েদের সুন্দর করে সেজে গুজে ঘুরে বেড়ানো ছিলো মেলার মূল বৈশিষ্ট্য । ভালো লাগছে খুব ।
loading...
কী মজার তাই না দিদি ভাই।
ধন্যবাদ।
loading...
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আমি সবসময়ই আগ্রহী হই। মন দিয়ে পড়লাম। আপনার উপস্থাপনা দক্ষতায় এই জানার স্বাদ পূর্ণতা পেয়েছে দিদি!
loading...
খুশি হলাম মিড দা। আদাব।
loading...
লেখাটা ভীষণ ভালো লেগেছে প্রিয় কবি বন্ধু।ভালো লাগা রেখে গেলাম।রিয়া দি ' ভাই শুভেচ্ছা সতত।
loading...
ধন্যবাদ রানু দি।
loading...