হ্যাপী কাওয়াজা

হ্যাপী কাওয়াজা

“La célébration annuelle de Kwanzaa Célébrée du 26 décembre au 1er janvier, Kwanzaa est une fête familiale, culturelle, spirituelle et historique des Africains et Afrodescendants. Elle a pour but de réaffirmer les liens indestructibles entre l’Afrique et toute sa diaspora à travers le monde.”

কাওয়ানজা একটি অ্যাফ্রো আমেরিকান উৎসব। যা প্রতি বছর উদযাপন করা হয় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত। কাওয়ানজা আফ্রিকান এবং আফরোডিসেন্ডেন্টদের পরিবার, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক উদযাপন। কাওয়ানজা একটি সোয়াহিলি ‘mutunda ya Kwanzaa’ শব্দ যার অর্থ “প্রথম ফল”। কাওয়ানজা মূলত কৃষি উৎসবকে ঘিরে এবং পরিবার পুনর্মিলন, পূর্বপুরুষদের স্মৃতি, মৌলিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির প্রকাশকে বাড়ায়। অনেকটা আমাদের নবান্ন উৎসবের মতো।

দক্ষিণ আফ্রিকায় southern solstice এর সময় first fruits festival উৎসব হয়। মৌলানা কারেঙ্গা একজন আমেরিকান black power activists and secular humanist. তাকে Ronald McKinley Everett হিসেবেও জানা যায়। মৌলানা কারেঙ্গা ১৯৬৬/৬৭ সালে এই উৎসবের সূচনা করেন। যেটা আফ্রিকান আমেরিকান ছুটির দিন হিসেবে পালন হয়। কারেঙ্গা কিছুটা first fruits festival থেকে উৎসাহিত হয়েছিলেন। কারেঙ্গা তখনই এই উৎসব নিয়ে আগ্রহ দেখায় যখন তিনি জুলু উৎসব ‘Umkhisi Wokweshwama’ সম্বন্ধে পড়েন। যেটা একটি বার্ষিক harvest festival জুলু সম্প্রদায় এর মধ্যে।

তারপর থেকে এটি নিয়মিত পালন করা হয়। সাতটি মোমবাতি একটি ‘কিনারার’ মধ্যে সাজানো হয়। এই উৎসব এর সাতটি নীতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।তিনটে লাল মোমবাতি ‘কিনারার ‘ বাঁ দিকে থাকবে, তিনটে সবুজ ডানদিকে আর মাঝে একটা কালো মোমবাতি থাকবে। ‘kinara’ একটি সোয়াহিলি শব্দ যার অর্থ মোমদানী। এই সপ্তাহে প্রতিদিন একটা করে নতুন মোমবাতি জ্বালানো হয়। কালো রঙের মোমবাতি দিয়ে শুরু হয়, তারপর বাঁ দিক থেকে ডানদিকে এক একদিন এক একটা মোমবাতি জ্বালানো হয়। কালো রঙের মোমবাতি আফ্রিকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। লাল রঙের মোমবাতি প্রতিনিধিত্ব করে ওদের জীবন সংগ্রাম। আর সবুজ রঙের মোমবাতি প্রতিনিধিত্ব করে ওদের ভবিষ্যত ও আশা যা সেই সংগ্রাম থেকে তারা পেয়েছে।

সাতটি মৌলিক নীতিকে কেন্দ্র করে এই উৎসব গড়ে উঠে যাকে সোয়াহিলি ভাষায় Nguzo Saba বলা হয়; এই নীতিগুলি হল:

১. উমজা বা ইউনিটি – এই নীতিটি পরিবার, সম্প্রদায় এবং জাতির মধ্যে ঐক্য তৈরি এবং বজায় রাখতে আমন্ত্রণ জানায়।

২. কুজিচাগুলিয়া বা আত্মনিরূপণ : এই নীতি অপরিহার্য; সবাইকে সংজ্ঞায়িত করা এবং নিজেদের জন্য কথা বলার সমস্ত সাহস, নিজেদের জন্য ভাল বা মন্দ বলার অধিকার বোঝায়।

৩. উজিমা (যৌথ কাজ ও দায়িত্ব) : ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায় গড়ে তুলতে এবং বজায় রাখা শিখতে সাহায্য করে; ভাই ও বোনদের সমস্যাগুলো নিজেদের সমস্যা মনে করে সমাধান করা।

৪. উজামা (অর্থনৈতিক সহযোগিতা) : এই নীতিটি মৌলিক কারণ নিজেদের ব্যবসা, বাজার গড়ে একসাথে গড়ে তোলা এবং সেখান থেকে লাভ করা; অর্থাৎ যৌথ অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা সমগ্র সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য।

৫. নিয়া (লক্ষ্য ) : পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা। এটি সম্প্রদায়ের সবার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং এই মিশনটি সমগ্র সম্প্রদায়কে কীভাবে উপকৃত হবে তা নির্ধারণ করা।

৬. কুম্বা (সৃজনশীলতা) : সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃ‌ষ্টিশীল কাজ, সৌন্দর্য এবং সম্পদ নির্মাণের জন্য যে ব্যক্তিগত প্রতিভা এবং কল্পনা তা সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করা।

৭. ইমানি (বিশ্বাস) : সকল বাধাবোধ, সমস্যা, সত্ত্বেও সবাইকে হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করা। বাবা মা, শিক্ষক শিক্ষিকা, নেতা নেত্রী, অর্থাৎ সবাইকে ঠিকমতো মূল্যায়ন করা, তাদের জীবন সংগ্রাম থেকে জয়ী হওয়াকে বিশ্বাস করতে শেখায়।

কোয়ানজাকে যে যে সিম্বল ব্যবহার করা হয়, তা হলো –
১. Mkeka অর্থাৎ মাদুর। যার ওপরে বাকি সিম্বলগুলো রাখা হয়।
২. Kinara অর্থাৎ মোমদানী
৩. Mishumaa Saba অর্থাৎ সাতটি মোমবাতি
৪. Mazao অর্থাৎ ফসল
৫. Muhindi অর্থাৎ ভুট্টা যে প্রাথমিক সিম্বল খাবার সাজানোর জন্য।
৬. a Kikombe cha Umoja অর্থাৎ ঐক্য কাপ, যা কিনা স্মরণ করতে সাহায্য করে এবং shukrani বা ধন্যবাদ জানানোর জন্য আফ্রিকান পূর্বপুরুষদের।
৭. Zawadi অর্থাৎ উপহার।

_________
রিয়া চক্রবর্তী।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৬ টি মন্তব্য (লেখকের ৩টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. মরুভূমির জলদস্যু : ২৭-১২-২০১৮ | ১৪:৪৭ |

    কখনো হয়তো দেখার সুযোগ হবে না। জানার সুযোগ হলো তাতেই খুশী।

    GD Star Rating
    loading...
    • রিয়া রিয়া : ২৭-১২-২০১৮ | ১৮:৫৭ |

      আসলেই তাই প্রিয় ছবি দা। আমার জন্যও ঐ জানা পর্যন্তই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Razz.gif.gif

      GD Star Rating
      loading...
  2. খন্দকার ইসলাম : ২৭-১২-২০১৮ | ১৪:৫৩ |

    রিয়াদি,
    হাহাহা একেই বলে টেলিপ্যাথিক যোগ ! অনেক বছর আমেরিকায় আমি ।কখনো কোয়াজা নিয়ে তেমন করে পড়িনি ।আজকেই পড়ছিলাম । আজ ছাব্বিশে ডিসেম্বর ১৯৬৬ সালে এই উৎসব পালন প্রথমবার শুরু হয় আমেরিকায় ।আপনিও সেই একই দিনেই লিখলেন এই উৎসব নিয়ে ।অনেক ইনফরমেশন আপনার লেখায় ।অনেকেই কোয়াজা যে একটা উৎসব সেটা জানে কিন্তু খুব বেশি জানেনা এটা সম্পর্কে ।আপনার লেখা পড়ে সবাই অনেক কিছুই জানতে পারবে কোয়াজা সম্পর্কে । ভালো হয়েছে লেখা । ভালো লেখার অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।ভালো থাকবেন ।

    GD Star Rating
    loading...
    • রিয়া রিয়া : ২৭-১২-২০১৮ | ১৯:০০ |

      স্বাগতম খন্দকার ইসলাম দা। খুশি হলাম আপনার মন্তব্যে। Smile

      GD Star Rating
      loading...
  3. মুরুব্বী : ২৭-১২-২০১৮ | ১৮:২৯ |

    হ্যাপী কাওয়াজা and হ্যাপী কাওয়াজাSmile https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • রিয়া রিয়া : ২৭-১২-২০১৮ | ১৯:০১ |

      হ্যাপী কাওয়াজাhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gif

      GD Star Rating
      loading...