বিখ্যাত ব্যাক্তিদের পছন্দের জলখাবার
১৬৬২ সালের আগে ইংরেজরা চা পান করত না। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের স্ত্রী ক্যাথেরিন ডি ব্রাগ্যাঞ্জা ব্রিটেনে চায়ের প্রচলন ঘটান। পর্তুগালের মেয়ে ক্যাথেরিনের ছিল চায়ের নেশা। পর্তুগালের রাজদরবারেও চা ছিল প্রিয় পানীয়। সে যাই হোক রানীর চা পানের খবর সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই ব্রিটেনেও চায়ের প্রচলন শুরু হয়।
লেখক চার্লস ডিকেন্সের জলখাবারে পছন্দের আইটেম ছিল ক্রিম দেয়া দুই টেবিল চামচ রাম। এছাড়া কেটলি থেকে ঢালা ধোঁয়া ওঠা গরম চা তাঁর প্রিয় ছিল।
চতুর্থ এডওয়ার্ড জলখাবার খেতেন কেবল কর্নফ্লেক্স দিয়ে। রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড আবার জলখাবারে পছন্দ করতেন পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা মুরগির কলিজা, ক্রিম আর ব্রান্ডি। এছাড়া দিনে ২০টি সিগারেট আর ১২টি চুরুট লাগত তাঁর। এত বেশি ধূমপান করার পরও ৬৪ বছর বাঁচে এডওয়ার্ড।
১৯৫৪ সালের কথা। বিমানে ভ্রমণ করছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টোন চার্চিল। জলখাবারের জন্য তাকে মেন্যু পছন্দ করতে বললে তিনি কি বলেছিলেন কাদাখোঁচা পাখির মাংস। অনেকে মনে করতে পারে, তিনি মজা করেছিলেন। আসলে তিনি সত্যি সত্যিই কাদাখোঁচার মাংস পছন্দ করতেন। দিনের প্রথম খাবারটা তিনি শুরু করতেন নিজের পছন্দের বিশেষ মেন্যু দিয়ে। কয়েক বছর আগে তার হাতে লেখা খাবার মেন্যু নিলামে ওঠার পর ভোজন রসিক চার্চিলের সকালের খাবারের তালিকা দেখে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হয়। কাদাখোঁচার মাংস তো কেবল শুরু! দুটি আলাদা আলাদা ট্রেতে সাজানো থাকত নানা পদের জিভে জল আসা খাবার প্রথম দফায় থাকত ডিম পোচ, টোস্ট, মাখন, জ্যাম আর মাংস। দ্বিতীয় দফায় থাকত পাকা আঙ্গুর, এক বাটি মিষ্টি, হুইস্কি, সোডা আর প্রিয় সিগারেট।
নানা পদ দিয়ে জলখাবার পছন্দ করতেন বিখ্যাত পপ গায়ক এলভিস প্রিসলি। মাখন আর অতিরিক্ত লবণ দিয়ে রান্না করা ছয়টি ডিম, এক পাউন্ড বেকন, আধা পাউন্ড সসেজ বা পিনাট বাটার আর ব্যানানা স্যান্ডউইচ ছিল তার সকালের খাবারের নির্ধারিত মেন্যু।
ফুড জার্নালিস্ট সেভ এমিনা তার ‘দ্য ব্রেকফাস্ট বাইবেল’ গ্রন্থে এই সব তথ্য তুলে ধরেছেন। বইটিতে নানান বিখ্যাত ব্যক্তিদের পছন্দের জলখাবারের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
loading...
loading...
শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু রিয়া রিয়া।
loading...
কৃতজ্ঞতা প্রিয় বন্ধু। খুশি হলাম।
loading...
১। ভূনা খিচুরি, কড়া করে ভাজা ডিম, মুরগির ঝোল।
২। খুদের ভাত (বৌভাত), কড়া করে ভাজা ডিম, আলু ভাজি।
৩। পান্তা ভাত, , কড়া করে ভাজা ডিম, শুকনা মরিচ ভাজা, ঘী দিয়ে আলু ভর্তা।
তোফা।
loading...
বাহ্ ছবি দা। এটা দেখছি আমারও প্রিয় খাবার।

loading...
রিয়াদি,
আপনার লেখা পরে আশার একটা আলো দেখতে পাচ্ছি বিখ্যাত হবার!
আমার জলখাবারের অভ্যেস তো দেখছি অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে মিলে যাচ্ছে! কবে যে বিখ্যাত হয়ে যাই! পর্তুগালের মেয়ে কুইন ক্যাথিরিনকে কিন্তু খুব পছন্দ হলো আমার। সকালে উঠে কড়া এককাপ কফি না খেলে তো আমার হয়না। আর স্নো পড়া দিনগুলোতে সারাদিন জাকের সময় লাঞ্চ না খেলেও আমার চলে, কিন্তু ডার্ক রোস্ট কয়েক কাপ কফি আমার লাগবেই।
মজার হয়েছে লেখা, দিদি। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
loading...
হাহাহা। কবি খন্দকার ইসলাম দা।
নেই কাজ তো খৈ ভাজ। পোস্ট সিরিয়াস কিছু নয়। কিছু একটা শেয়ার করার তাগিদ থেকে দিয়েছি। ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। 
loading...
ভালো পোস্ট। বিখ্যাত অবিখ্যাত মানুষ মাত্রেরই পছন্দ অপছন্দ আছে। যেমন আমার পছন্দ কালা ভুনা।
শুভেচ্ছা নিন প্রিয় ব্লগার।
loading...
এটা ফানি পোস্ট প্রিয় লেখক অর্ক দা।

loading...
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
সকল টেষ্টি খাবারই খেতে ভালো লাগে ……কিন্তু ……

loading...
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় মন দা। অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম।
loading...