টিকটিকি বৃত্তান্ত
সেই প্রাচীনকাল থেকে টিকটিকির সঙ্গে একই ছাদের নিচে আমাদের বসবাস। এমনকি কুসংস্কার বশত দৈনন্দিন জীবনের অনেক শুভ-অশুভ বা সত্য-মিথ্যার বিচারক হিসেবে টিকটিকিকে মেনে নিয়েছি আমরা। তবে সেসবের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো আলোচনায় এখন আমরা যাব না। আলোচনা করব মসৃণ খাড়া দেয়ালে টিকটিকি ফসকে পড়ে না গিয়ে কিভাবে চলাফেরা করে?
ছোটবেলা থেকেই এই প্রশ্নটা আমরা শুনে আসছি এবং করেও আসছি। সবার মাথায়ই এক সময় না এক সময় এই প্রশ্নটা আসে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটাই যে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানীদের কম কষ্ট করতে হয়নি। এরিস্টটলও এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন। বেশ বিতর্কও হয়েছে অনেক এটা নিয়ে। যাই হোক এখন ব্যাপারটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে যে টিকটিকির দেয়ালে আটকে থাকার পেছনে আমাদের চেনা পরিচিত একটা বল দায়ী যার নাম হচ্ছে ভ্যান ডার ওয়ালস ফোর্স।টিকটিকির পায়ের নিচের অংশকে যখন অনেক ম্যাগ্নিফাই করে দেখা হয় দেখা যায় এতে খুব সরু সরু চুলের মত লাখ লাখ (প্রায় ১ মিলিয়ন) তন্তু আছে। এদেরকে setae বলে। এখানেই শেষ না।প্রত্যেকটা setaর মাথায় আরো চিকন এবং আরো অসংখ্য তন্তু আছে। এরকম অনেক তন্তু থাকায় যে সুবিধা হয় তা হচ্ছে দেয়ালের সাথে কনটাক্ট পয়েন্টের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় এবং সারফেস এরিয়াও বেড়ে যায়। ভ্যান ডার ওয়ালস ফোর্স হচ্ছে বিভিন্ন সমযোজী যৌগের (এমনকি জৈব যৌগগুলোর) অণুর মধ্যে ক্রিয়াশীল অত্যন্ত দুর্বল মানের বল। অণুগুলো পরস্পরের কাছাকাছি হলে তখনই এই বল কাজ করে। একটু দূরে চলে গেলেই আর কাজ করেনা। অণুর সংখ্যা যত বাড়বে এই বলও ততই শক্তিশালী হতে থাকবে।
এখন যেহেতু কন্টাক্ট পয়েন্ট অনেক বেশি তাই দেয়াল আর টিকটিকির পায়ের মধ্যে বিদ্যমান অণুর সংখ্যাও অনেক বেশি। তাই তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল ভ্যান ডার ওয়ালস বলও এখন আর নগন্য নয়। তাই টিকটিকিও দেয়ালের সাথে আটকে থাকে। বিশ্বাস করা কষ্ট হলেও সত্যি যে একটা টিকটিকি তার পায়ের সবগুলো spatulae ব্যবহার করলে ২৮০ পাউন্ড বা ১২৭ কেজি ভর নিয়েও দেয়ালে আটকে থাকতে পারে যেখানে একটা টিকটিকির ভর ৫০ বা ১০০ গ্রামের কাছাকাছি।
যতোই মনকে বোঝানোর জন্য টিকটিকি বৃত্তান্ত বলি না কেন, একে আমি মনে মনে ডায়নোসর ভেবে ভয় পাই।
loading...
loading...
যতোই মনকে বোঝানোর জন্য টিকটিকি বৃত্তান্ত পড়ি বা শুনি না কেন, আমিও মনে মনে ডায়নোসর ভেবে ইহাকে ভয় পাই। আমার এই অর্ধ শতাব্দী বয়সেও আমি ডরাই।
loading...
হাহাহা। আপনিও আমার মতো প্রিয় বন্ধু।
loading...
আমিও কম জানিনা দিদি, আমি জানি টিকটিকির পায়ে খুবই নরম তুলতুলে প্যাড এর মত আছে তাই তারা দেয়ালে চলতে পারে।
loading...
আপনার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে খালিদ দা। আমার প্রণাম নিন।
loading...
ছোড়দির প্রনাম হামেশাই নিয়ে আপ্লুত হই এবং আশীর্বাদ করি অবিরত। সুখকামনা।

loading...
loading...
হঠাৎ করে টিকটিকি মহাশয় লম্প দিয়ে নিজের গায়ে পর পড়লে চমকে চাই। কিছুক্ষণ পর হয়তো ভয়টা চলে যায়। যাই হোক দিদি টিকটিকি বিষয়ক আপনার লেখনী পড়ে বিস্তারিত জানা হলো। তবে কথা হচ্ছে এসবের মহা কারিকর হলো মহান সৃষ্টিকর্তা। তিনি করেছেন সৃষ্টি। আমরা মানুষ ভেবে মরি।
loading...
ঈশ্বরের পরম ইচ্ছা। ঠিকই বলেছেন নিতাই দা।
loading...
* জানা গেলো অনেক কিছু। ধন্যবাদ প্রিয় কবি দি…

loading...
ধন্যবাদ কবি দা।
loading...
ইন্টারেস্টিং পোস্ট।
loading...
ধন্যবাদ মিড দা।
loading...
Nice!
loading...
ধন্যবাদ কবি কালাম দা।
loading...