আজ আর কাল কোনো খেলা নেই…একটু পড়াশোনা করি এই ফাঁকে …
মানুষ প্রতারণা করে কেন?
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এর ধারণা, যখন প্রতারণা করার পরও আপনি কাউকে মাফ করে দেবেন, তখন সে আবার সুযোগ পেয়ে যায় এবং এটি তার অভ্যাসে পরিণত হয়। প্রতারণা করা একটি অভ্যাস, যা সে বারবারই করে। এর কারণ হলো, যদি প্রতারণা করার পর সে একবার কোনোভাবে বেঁচে যায়, তাহলে তার মধ্যে ধারণা তৈরি হয়—এভাবেই হয়তো বারবার সে বেঁচে যাবে।
প্রতারণা করা কি মানসিক সমস্যা?
সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলররা প্রতারণাকে মস্তিষ্কের একটি ব্যাধি বলে আখ্যা দিয়েছেন। সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলররা মনে করেন, ‘ঘোরের মতো প্রতারণাও একটি মানসিক রোগ, যেখানে এই রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি আবেগ দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে আনন্দ পায়।’
একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এর কাছে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ২৭ বছর বয়সী এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘গত বছর যখন আমি বিয়ে করি, তখন ধারণাই করতে পারিনি যে আমার জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে। আমার স্বামী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। বিয়ের পর সে তার অতীতের সম্পর্কের সব কথা আমাকে খুলে বলে এবং আশ্বস্ত করে যে বিয়ের পর তার সঙ্গে আর কোনোরকম যোগাযোগ নেই। কিন্তু কয়েক মাস পরই আমার সন্দেহ হতে শুরু করল। অনেক রাত পর্যন্ত সে ফোনে কথা বলে এবং যখনই তার কাছে আমি এই বিষয়ে জানতে চাই, তখনই সে বলে, কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলছে। সত্যিটা আমি তখনই জানতে পারি, যখন সেই রাতে আমার স্বামী যার সঙ্গে কথা বলেছিল, তার সঙ্গে আমি কথা বলি। সে আমাকে জানায়, সে তার সাবেক প্রেমিকা এবং সে তাকেও বোকা বানাচ্ছে। আমার স্বামী তাকে এক বছর ধরে বিয়ে করবে বলে ঘোরাচ্ছে।’
তিনি বলেন আমার মতো এমন অনেক স্ত্রী আছেন, যাঁরা তাঁদের স্বামীর দ্বারা বা প্রেমিকের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন। অথচ এ বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেন না। এ কারণেই এ ধরনের প্রতারিত স্বামীরা বা প্রেমিকরা সুযোগ পেয়ে যায় বারবার প্রতারণা করার। এটা কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। এই বিষয়কে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, নারীরাও পুরুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে!
প্রতারণার প্রবণতা দূর করবেন যেভাবে …
প্রতিনিয়ত আপনার কাজ পরীক্ষা করা, নিজের প্রতিটি মুহূর্ত লক্ষ করুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি কি প্রতারণার পথেই হাঁটছেন?
প্রতারণার পেছনের কারণ খুঁজে বের করুন। কারণটি নিয়ে নিজে নিজেই বিশ্লেষণ করুন যে কেন প্রতারণা করছেন? এটি আপনাকে এ সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে। যদি এই বিষয়টিকে আপনি নিছক আনন্দ মনে করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনাকে এর জন্য খেসারত দিতে হতে পারে।
নিজের মান-সম্মানের কথা চিন্তা করুন। প্রতারণার কারণে শুধু নিজের সঙ্গীর বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভরসাই হারাবেন না, বরং আপনি প্রতিমুহূর্তেই সঙ্গীর সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। এর ফলে মানসিকভাবে আপনি কখনোই শান্তিতে থাকতে পারেন না।
আপনার মনের শান্তি বিনষ্ট হওয়া মানে শুধু এই নয় যে, আপনার সঙ্গীই শুধু কষ্টে আছে। এর ভয়ংকর প্রভাব থেকে আপনিও কিন্তু রেহাই পাবেন না। এটি আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে।
সবশেষে এর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, যখন আপনার কাছের মানুষজন আপনার আচরণ সম্বন্ধে জানবে, তখন কোনোভাবেই সে বিশ্বাস আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।
loading...
loading...
আত্মবিশ্লেষনী পোস্ট। এখান থেকে যাদের নেবার তারা নেবে বাকিরা দেখবে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া। আত্ম সংযম বিশেষ একটি গুণ বটে।
loading...
ধন্যবাদ আপনাকেয়ো প্রিয় বন্ধু। শুভ সকাল।
loading...
অতি প্রয়োজনীয় একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য এবং সমাধানের কৌশল জানানোর অসংখ্য ধন্যবাদ!
শুভেচ্ছা নিরন্তর প্রিয় কবি ও লেখক রিয়াকে
loading...
সুন্দর পোষ্ট, জানার ছিলো অনেক কিছু।
loading...
সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলররা মনে করেন, ‘ঘোরের মতো প্রতারণাও একটি মানসিক রোগ, যেখানে এই রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি আবেগ দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে আনন্দ পায়।
মনস্তাতাত্ত্বিকতার দারুণ ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয় বন্ধ কবি রিয়া রিয়া।
loading...