বৃষ্টি আর তুই
অবশেষে শহরে বৃষ্টি নেমে এলো, যেইরকম মুষলধারা আমি চাই, ঠিক সেই বৃষ্টি হলো! কতোদিন! কতো যে মুখ ভেসে ওঠে চোখে! কতো স্মৃতি! তুমুল বৃষ্টিতে বাড়ির উঠোনে জল জমলে দৌড়ে গিয়ে কাগজের নৌকো ভাসিয়ে দিয়ে আসতাম। বৃষ্টির শব্দ আমাকে পাগল করে দেয়। ঘরে থাকতে না পেরে উঠে যেতাম ছাদে। বৃষ্টির জল মেখে নিতাম ইচ্ছেমত।অবশেষে এলো একটানা বৃষ্টি। আজও জমা জলে দুটো কাগজের নৌকা ভাসিয়েছি। একটা তোর আর একটা আমার। দুটো নৌকো চলুক পাশাপাশি।
বাইরে বৃষ্টির শব্দ বাড়ে। অনেকক্ষণ শুয়ে থেকে একসময় জানালায় গিয়ে দাঁড়াই। বৃষ্টিতে ধুয়ে-মুছে যাচ্ছে শহুরে রাস্তা। এই শহরের সমস্ত ক্লান্তি, জঞ্জাল, পাপ, বেদনা, আর হাহাকার কেন ধুয়ে মুছে যায় না? কী তুমুল, অহংকারী, একরোখা, জেদী এই বৃষ্টি। আজও আমাকে ছাদে নিয়ে ভিজিয়ে দিলো! আমি কেবল একাই ভিজতে থাকি। আজ তুই থাকলে তোকেও ভেজাতাম। তুই যতই বলতিস, উফ ..ছাড়, আমি ভিজবো না, আমি কি অতোই বাধ্য? যে তোর কথা শুনবো? ঠিক টেনে নিয়ে তোকে ভেজাতাম। এইসব ভাবি আর মন চলে যায় উদাসপুর -আমার আজ বড্ডো তোর কাছে যেতে ইচ্ছে করছে।
loading...
loading...
লিখাটি পড়ে চোখ দুটো স্বপ্নাতুর হয়ে এলো প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া রিয়া।
loading...
বৃষ্টিজলের কাব্য! বেশ ভালো। শুভেচ্ছা, কবি।
loading...