আমার ভুলে থাকা মন-৫
জানিস মন আজ বিকেলের বৃষ্টিতে খুব ভিজলাম, বৃষ্টির জলে অনেকটা ধুয়ে গেছে আমার কষ্টেরা। বার বার মনে করেছি তোকে। জানি অনেক লেখার মতন এ লেখাও পাবে না তোর ছোঁয়া। তবু আজ চোখ দুটো বড় টলটলে দিঘী। ডুব জলে সেই কবে আনমনা অবগাহন। ভালো লাগা পলির মতন জমে নদীর মোহনায়। সেই পলি নিয়ে আমি আঁকি তোর ছবি ভালোবাসা দেবতা ছলে। এখন এই সব দিনে একা হওয়া বড় কষ্ট দেয়। তুইতো আর আসিস না ছাঁদের কার্ণীশ বেয়ে। মেঘেরা তবু রোজ একবার করে এ শহরের আসে। জানলার কাঁচে আর্জি জানিয়ে যায় তাদের আগমন। ভিজে যাই আমি তোর কথা ভেবে মন, আমার চোখের ধারা নামে গাল বেয়ে। তবু সে চোরাবালি পথে এখনও অনেক উত্তাপে প্লাবনও বাষ্প হয়ে উবে যায়, উড়ে যায় অজানায়।
সেদিন, হঠাৎ পথের বাঁকে, কি জানি কার ডাকে, বার বার ফিরে যেতে চেয়েছি আমি তোর কাছে রে মন। সেদিনেও গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টিরা এসেছিলো নিয়ে যেতে তোকে, বাধা পেয়ে জল-চোখে মিলিয়েছে পারাপারে। দৃষ্টির ছিল কিছু চাওয়া, চাইতে গিয়ে গুটিয়ে গিয়েছি নিজেকে নিজের ভিতরে।
রাতের পর রাত নিজের ওই আকাশের চাঁদ, তারা দেখে কেটে যায় আমার। তুই যে বলেছিলিস আকাশের ওই চাঁদটা আমাকে ভালবাসে, ওই তারাগুলো সব আমার তাইতো আমি আজও আমার পছন্দের একটা একটা করে তারা তুলে রাখি আমার মনের মণিকোঠায়। আস্তে আস্তে বড় হয় দীর্ঘশ্বাস। একটু একটু করে নীল রঙ ফিরে আসে আকাশে। আর শিশির ভেজা শিউলির গন্ধের মতন একটু একটু করে রোদ পেয়ে মুছে যাস তুই। কেউ বোঝেনা জানিস। কেউ না। আমার এইসব হেঁয়ালির মতন উদবৃত্ত হয়ে যাস তুইও। উপাচারে যেমন অসম্মানিত ঈশ্বর, অবহেলায় তেমনি তোর বিসর্জন।
loading...
loading...
উপাচারে যেমন অসম্মানিত ঈশ্বর, অবহেলায় তেমনি তোর বিসর্জন।
___ অসাধারণ এই গদ্য ধারাবাহিক। অভিনন্দন প্রিয় শব্দ বন্ধু রিয়া রিয়া।
loading...
ধন্যবাদ বন্ধু
loading...
প্লাবিত, শিক্ত, আপ্লুত হলাম কবি ! অসম্ভব সুন্দর লেখনি ! শুভকামনা রইলো !
loading...
অনেক ধন্যবাদ
loading...
শুভেচ্ছা জানবেন
loading...
লেখাটাকে সুন্দর না বলার মত সুযোগ দিলেন না তো!
loading...
শুভেচ্ছা অফুরান
loading...