মনটা আমার ভাজা ভাজা
একটু শান্তি চাই,
সোনার হরিণ খুঁজে বেড়াই
কোথায় তারি ঠাঁই ? চলার পথে কাঁটা অনেক
খন্দ ভরা পথ,
বাধার পাহাড় থামায় গতি
ধুঁকছে জীবন রথ। শান্তির খোঁজে ভাবি কত
পাইনি তবু হায়!
হরিণটাকে চাই ধরতে
ভাসিয়ে ভাঙা নায়। সবই তবে ইচ্ছে প্রভুর
তাঁর কথাতেই সব,
সকল সময় থাকলে অটল
পূর্ণ করেন রব। ধর্মপথে রত থেকে
কর্ম করে

টিক টিক করে চলে ঘড়ি বড়ো সচল থাকে
সময় বলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় টুং টাং করে ডাকে;
ক’জন বোঝে তার মানেটা বোঝে জ্ঞানীলোকে
ঘড়ির মনে নেই গো মায়া কাঁদে না যে শোকে। জীবনঘড়ি থামে যদিও কাঁটা কই তার থামে ?
ক্লান্তি নেই তার দিনে-রাতে শ্রমে নাহি ঘামে;
ঘড়ির কাছে শিখতে পারি

ওগো নবী তব ছবি মনোকোণে রাখি
সদা তাই ক্ষণ পাই হৃদে মোরা ডাকি;
তুমি আলো হৃদে জ্বালো প্রতি দিন-রাত
আমি ভাবি তুমি চাবি আছো মোর সাথ। স্বপ্নে আঁকি তুমি সাকি সদা থেকো মনে
তব তুল নহে ভুল কেবা এ কাননে ?
তুমি যদি নিরবধি মোর সনে থাকো
ভুল কভু নাহি তবু

যেই ধরাতে আমরা থাকি
ধরিত্রীটি কার ?
এ পৃথিবীর আকাশ মাটি
সব কিছুই তাঁর। ওই যে দেখো গগন তলে
উড়ছে কতো পাখি,
ওদের ভাষা ক’জন বুঝে
কী বলে সদা ডাকি ? লক্ষ প্রাণী এই ভবেতে
কে পাঠালেন ভবে ?
কিসের লাগি মোদের আসা
চিনতে তাঁকে হবে। সকাল সাঁজে মাথা ঠেকাই
আমরা যার তরে,
তাঁর

ভিন্ন ভাষায় সুখ যে পাই না
মায়ের ভাষায় সুখ,
নিজের ভাষায় কথা বললে
গর্বে ভরে বুক। বাংলা করতে রাষ্ট্র ভাষা
গেলো কতো জান,
অন্য ভাষায় কথা শুনলে
দুঃখে ভরে প্রাণ। তাই এসো গো বাংলা বলে
মিটাই মোদের আশ,
বাংলা আমার মায়ের বুলি
বাংলা মোদের শ্বাস। বলো বাংলা সবাই ওগো
বাংলায় গাও সে গান,
শস্য

ঘুরতে ঘুরতে একুশ এলো
আবার তবে মোদের দ্বারে,
বরণ করো, সবাই দেখি
সালটি এবার কি দেয় কারে ? দেখো সবে নতুন সুরুজ
নীল আকাশে ওই যে দূরে,
আজ যে তারি মিঠা রোদে
ভরেছে জগ উজ্জ্বল নূরে। প্রেম প্রীতিতে ভরো সবে
গরীব দুখী সবার তরে,
কেউ

জগৎ ভূমে মানব জাতি
সৃষ্টির সেরা তারা,
স্বভাব গুণে জ্ঞান গরিমায়
প্রভুর দৃষ্টি কাড়া। মানবতা আছে যাদের
মানুষ তাদের বলি,
খোদার তরে সদাই ব্রত
নিজেকে দেয় বলী। এ দুনিয়ায় জীবের শ্রেষ্ঠ
মানুষ সভ্য

মানুষ জন বন্দী এবার মানুষ জন বন্দী এবার
সাজা পাচ্ছে নির্মমতার
কি অপূর্ব বৈচিত্র্য তার
সর্বত্রই তবু দুষণে ভার। মানুষ জন বন্দী এবার
দুষণে বেহাল মৃত্তিকার
ধ্বংস করেছি জলাধার
মুক্ত বায়ু পাই না আর। মানুষ জন বন্দী এবার
প্রকৃতি হয়ে গেছে দুর্বার
শব্দদূষণ কম বেশুমার
বায়ুদূষণও কোথা আর। মানুষ জন বন্দী এবার
খাবে বনানী

যারা চলে গেছে আর ফিরবে না কভু
এ রীতি এ দুনিয়ায় দিয়েছেন প্রভু।
যতোই সে ডাকাডাকি শুনে না সে কানে
ভালোবাসা প্রীতি তারে আর নাহি টানে। তুমি কাটাও সময় আজি মহা সুখে
ভাবো আর তুমে ছোবে না কখনো দুখে।
নিয়তির এ খেলা গো ফুরায় নিমিষে
দুখেরা আসে হেসেই যায় শেষে পিষে। এ

মেহমান যেই আসে বাড়ি
দু’দিন থেকে যায়,
আমরা তেমন এলাম ভবে
অল্প ক্ষণের হায়।
আসা যাওয়ার এই খেলাটি
সে অনন্ত কাল,
এসেছি তাই ফিরতে হবে
এ

শরৎ গিয়ে হেমন্ত’তে
গাছের সরু ডালে ডালে,
পাখিরা সব মধুর সুরে
গান ধরেছে তালে তালে। ফিঙে নাচে ক্ষেতের আলে
পুলক জাগে চাষির মনে,
ধানের আঁটি মাথায় নিয়ে
মুচকি হাসে ক্ষণে ক্ষণে। রাখাল ছেলে চলছে ধেয়ে
বাজায় মিহি সুরে বাঁশি,
গোরুর গাড়ি ভাড়া করে
হেথা হোথা যায় গ্রামবাসী। আমন ধানে

পকেট হাতড়িয়ে পেলাম চকলেট
দিলেম গুজে কোমল হাতে;
পরনে শুধু ছেঁড়া ময়লা হাফপেন্ট
কাঁপছে শিশুটি অতি শীতে।
বাড়ির পাশে ঐ নীম গাছটির নীচে
আজকাল প্রায় দেখি ওকে;
ধুলোতে মাথার চুল সাদা হয়ে

নূতন কিশলয় জেগে উঠে সানন্দে
কুঁড়ির আগমনে পূর্ণ হয় শূন্যতা;
বকুল তলা যেন আমোদিত সুগন্ধে
ঝরিত পল্লবে নেমে আসে নীরবতা। নব জাত এলে বৃদ্ধেরা নয় বিহ্বল
রীতি এই, পদার্পন পুনশ্চ প্রস্থান;
এ বেলা খিলখিল ও বেলা ছল ছল
জল ধারা

চাওয়া পাওয়ার নেই কোন শেষ
তোমার তো আছে বেশি
আরো পেলে আরো খুশি
ভাবো, আরো পেলে হতো বেশ। ক্ষুধা আর দরিদ্রতা নিয়েই মানুষ
যে অসহায় হত

এবার সুন্দর হয়েছে ফলন
তাই কৃষাণেরা হাসে;
সবুজ ধান গাছগুলো যখন
নাচে দোলে বাতাসে। মনকোণে কত স্বপ্ন জাগে
হবে খোকার পড়াশোনা;
স্কুল যাওয়া যাবে না থেমে
দেখবো ওর হাসিখানা। যদি দুরন্ত বন্যা, না আসে
গোলা