তারা কতটুকু চেয়েছিল
তারা কতটুকু চেয়েছিল তোমার কাছে
এক মুঠো ভাত খাবে
সঙ্গে এক লঙ্কা হবে
হয় হোক ঘর জীর্ণ
হোক সবুজ বির্বণ
এমন তো নয় নিঃস্ব তুমি, সবই আছে।
কতটুকুই বা ছিল তাদের আবদার
না সুরম্য অট্টালিকা
ধন জন্মে অহমিকা
পেতে এক প্রিয়জন
দিতে প্রেম তন মন
তুমিই তো দাও সবারে কত
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬৯ বার দেখা
| ৬৪ শব্দ ১টি ছবি
আসে ঐ ঋতু রাণী
বর্ষার ক্রান্তি লগ্নে আসে ঐ ঋতু রাণী
মেঘেরাও পেয়েছে সে সংকেত বাণী;
আকাশ তাই স্বচ্ছ, জানাতে অভ্যর্থনা
পাই সুগন্ধ ফুটেছে যে হাসনা হেনা।
নদী তীরে কাশ ফুল দাঁড়িয়ে এমন
রাণীকে করবে যে পুষ্প মাল্য অর্পণ।
ঘরে ঘরে কত খাবারের আয়োজন
গাছে আছে পাকা তাল পাই যেন ঘ্রাণ।
রাণীর জন্যে
এক মুঠো রোদ্দুর
কান পেতে ঐ শুন সময়ের বিলাপ
ইতিহাসের পাতা এখনও যে ভেজা;
স্বপ্ন ভাঙ্গার পর মানুষের প্রলাপ
কেউ করে অনুভব, নয় তত সোজা।
কত রক্তক্ষরণ হয়েছে এ মননে
মানুষ গুমরিয়ে কেঁদেছে অবিরত;
স্বপ্ন ও বাসনা প্রেম যত ছিল মনে
শেষে চুপসে গেছে হয়েছে সে নির্লিপ্ত।
সে তো ইতিহাস যেন নির্বাক পুস্তক
ধরে
শক্তি নেই এক কণা
কি ভাগ্য তাদের, দ্যাখো ঐ সে বৃক্ষদল
ফুটায় কত পুষ্প কখনো
কখনো ফলেতে ভরা যেন
অন্তরে না জ্বালা, চোখে এক ফোটা জল।
কখনো ছড়ায় তারা সুগন্ধ সুবাস
বিচিত্র সাজে করে মাতাল
ফুলের হাসিতে হয় সকাল
আমরা? না ফুটি, ফুটাই, শুধু দীর্ঘশ্বাস।
কি সুন্দর সবুজে মাখা পল্লব
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪০ বার দেখা
| ৮৬ শব্দ ১টি ছবি
মাটির এ পুতুলে
এসেই নাকি কেঁদেছিলাম
যদিও দেখেছি মার হাস্য বদন প্রথমে;
যখন তবে বুঝতে শিখলাম
একি নিঠুর কার্যকলাপ এই জন্মভূমে।
যে মাটিতে এ মানুষ গড়া
যে মাটি করছে সবারই ভরণ পোষণ;
তবু আমাদের কত অশ্রুঝরা
মাটির গায়েই করি কালিমা লেপন।
চলে হেথা বিশ্রী কারবার
চলে হিংসা ক্রোধ নিধন অধীন খেলা;
গড়ে কেউ সম্পদ পাহাড়
পায়
কমই ভাবি তাদের মতো
ক্ষুদ্র এই প্রাণী পিপীলিকা
চলে সারি বেঁধে, কখনো বা একা একা;
খুঁজে বেড়ায় গরম কালে
খাদ্য কণা; ঘরে আনে তা মাথায় তুলে।
একদম অদৃশ্য, শীত এলে
ঘুমায় কুটিরে, গুদাম বোঝাই বলে।
নিরন্তর দেখি চলাফেরা
আর ভাবি, কতই না সচেতন এরা;
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ পিপীলিকা
বুঝে,না থাকলে সঞ্চয়, যায় না টিকা।
দেখেছি খুঁড়ে
লিমেরিক গুচ্ছ ২৪
এক। (এ জীবনে বসন্ত)
এ জীবনে বসন্ত আর কতদিন রয়
প্রকৃতির যেমন চৈতের শেষে ক্ষয়;
চৌচির হয় মাঠ প্রান্তর
বৈশাখী ঐ তাণ্ডব ঝড়
রয় না আর চির সবুজ লাবণ্যময়।
দুই। (কোকিলের কুহু ডাক)
আর শুনি না কোকিলের কুহু ডাক
তর্জন গর্জন নির্মম বাতাসের হাক;
ফুলেল সুরভিত প্রকৃতি
বিবর্ণ বিধ্বস্ত রাতারাতি
মানুষ পশু পাখি
ফিরে আসবে মুজিব
রক্ত কালিতে লেখা শোকের দিনটি
প্রতিবার ঘুরে ফিরে আসে আগষ্ট পনেরো;
কাঁদে আকাশ বাতাস বাংলার মাটি
বন্ধুসম জাতির পিতা, ছিল না আর কারো।
কি ভয়াল কত নিষ্ঠুর ছিল সে রাত
ঘাতক পশুদের কত নির্মম, সে ঔদ্ধত্যপনা;
বঙ্গবন্ধুর প্রাণবধেও কাঁপেনি হাত
কেঁদে উঠেছিল প্রকৃতি জনপদের ধূলিকণা।
তাঁরই বজ্র
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯১ বার দেখা
| ৯৬ শব্দ ১টি ছবি
নেই ইতিহাসে
(বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি)
পনেরো আগষ্ট এলেই মনে উদয়
বাঙ্গালী জাতির মর্মভেদী শোক দিন;
’নিহত জাতির পিতা’,যেন সে প্রলয়
জমিনে মাতম, বেজে উঠে শোক বীণ।
লাল সবুজ পতাকার সেই স্থপতি
হিমালয় প্রতিম প্রিয় এক ব্যক্তিত্ব;
করেন মুক্ত যে মুজিব, বাঙ্গালী জাতি
নেই ইতিহাসে এমন দৃঢ় নেতৃত্ব।
পৈশাচিক উন্মত্ততায় ঘাতক দল
সে কি
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২০ বার দেখা
| ৬৫ শব্দ ১টি ছবি
লিমেরিক গুচ্ছ ৫০
১। খালি হাতে
কি এনেছিলে সাথে যখন প্রথম এলে জগতে
মার ভালোবাসা ছাড়া কি ছিল তোমার পাতে;
অসত্যের হাত ধরে হলে তবে বড়
অঢেল ঐশ্বর্য, সম্পদ করেছো জড়
কি নিঠুর বিধান সব ফেলে ফেরা খালি হাতে।
২। এই আছি ও বেলা নেই
দম্ভ গর্ব অহংকার কারো, টিকে না বেশীদিন
শক্তি