অধিকার
‘জীবন যুদ্ধ’ তবে এরই নাম
খুঁজে বেড়ায় অন্ন ঐ ডাস্টবিনে;
কি রাত আর দিন ঝরায় ঘাম
চলে না জীবন শত ঘানি টেনে।
সোনার এ ফসল ফলালো যারা
টাকার সে পাহাড় গড়লো কে বা;
মূল্য পায় না বোকা কৃষক তারা
না ফসলের দাম, নিজের সেবা।
ঘুরায় মিলের চাকা শ্রম দিয়ে
জ্বলে না চুলা, শূন্য
দীর্ঘশ্বাস
ভেবেছিলাম বড়ো হবো অনেক
দূরের ঐ আকাশটা পারব ছুঁতে
জীবনের হাল ধরবো শক্ত হাতে
পারলাম কই, কামড়ায় বিবেক।
হলো অর্জন বহু সনদ বহু চিঠি
কাজ হয় নি কেউ দেয় নি দাম
নেপথ্যে তোমরা, ফেললে ঘাম
স্বপ্ন দাঁড়াবো পাশে সেও মাটি।
হারাতে বসেছি, বিশ্বাস আশ্বাস
কোন মুখে দাঁড়াই লজ্জা লাগে
পেলামই শুধু ঢেলে দিলে ত্যাগে
বেঁচে
দেরী কত মুক্তি পেতে
তোমরা মারছো যাদের পুড়িয়ে
পাবে নাকো কিছু গা ঝলসিয়ে;
সঙ্গী সাথি ওদের, শুধু যে কষ্ট
বারোমাস দুঃখ জ্বালায় আড়ষ্ট।
নিঃসঙ্গ ওরা রাস্তায় কাটে জীবন
কি বা আছে করতে এলে হনন;
ওরা তো পান করে বিষ সতত
থাকে বুভুক্ষু নির্বাক পিপাসার্ত।
ওদের কাছে কখনো নেই সুখ
কই পাবে বিত্তদের মত ভোগ;
ওরা
প্রতিবিম্ব তুমি
ভেসে ভেসে চলছি বাতাসে
ছুটছি, কখনো বা ঐ সে আকাশ পথে;
তুমি যেন আমার পাশাপাশি
বড় কাছাকাছি আমার প্রতিটি গ্রন্থিতে;
খুব ভালোবাসো আমাকে তুমি
কখনো মনে হয় সত্যি কি ভালোবাসো;
হয়তঃ বা নিতান্ত গবেট ভাবো
করো উপহাস, কখনো বা শুধুই হাসো;
অভিমানে চলে যেতে চাও দূরে
সাধ্য নেই তোমার, কোথাও পালাবার;
যেন রেগে
এক ঝাঁক হাইকু ৩৬
(জাপানে প্রচলিত ‘হাইকু’ জাপানি কবিতা)
এক
কই মানুষ
শুনে না কারো চিক
যেন বেহুঁশ।
দুই
সেই তো ধনী
হৃদয় মাঠখানি
মমতা খনি।
তিন
যেই ঐ শীত
নামে এই ভূতলে
পিঠার গীত।
চার
মন তোমার
বড় রহস্যে ঘেরা
তুমি যে কার।
পাঁচ
ফুটছে ফুল
পুলকিত কানন
চিনতে ভুল।
ছয়
স্বর্গ নরক
দ্যাখি কত জীবন
মিষ্টি ও টক।
তুমি যে অধীশ্বর
কত না লক্ষ সৃষ্টির তুমি সৃষ্টিকারী
এক বা বহুকোষী,মানুষ পশু পাখি;
এ মনুষ্যে করলে ভেদ নর ও নারী
পাঠালে ভূতলে হাতে নিয়ন্ত্রণ রাখি।
প্রাণীদের কেউ বা নম্র, কেউ শালীন
কেউ বা রুক্ষ, জালিম কঠিন নির্মম;
কেউ হাসি খুশী কারো মুখ যে মলিন
দাও কষ্ট, কাউকে দাও সুখ পরম।
শুনি নর
কেন এমন হয়
কেন এমন হয় বুঝি না কখনো
রাত কাটে তো হয় না সকাল
পথচলি রাতদিন, পাই না সীমান্ত;
হৃদয়ে পোষা আশ্বাস বিশ্বাস
সবই যেন পরিশেষে ভ্রান্ত।
বৃক্ষসবে প্রসবিত তার ঐ পল্লব
ছায়া দেবে ফল দেবে ভাবি
চির সংকল্পবদ্ধ, সতত নিশ্চিন্ত;
শুষ্কতার নিষ্পেষণে নিশ্চিহ্ন
কেন যে এমন হয়, নির্লিপ্ত।
অন্তরে যে পাখি বেঁধেছিল বাসা
কত