দু’খণ্ডের যে বইখানি
বাস্তবতা চিরদিন রূঢ়
পেতে চাও সুন্দর জীবন;
সফল হতে হৃদের স্বপন
হতে হয় কামনায় দৃঢ়।
শিখো দাঁড়াতে একা
দাঁড়াও ঝড়ের মুখোমুখি;
মৃত্যু ভয় ডর দূরে রাখি
পথ যে বড় আঁকাবাঁকা।
ঝড় সে আসতে দাও
সাহসে বাঁধতে হবে বুক;
পথে কত বৃষ্টি বাদল ধুপ
সাঁতারয়ে এগিয়ে যাও।
শ্রম রক্ত আর ঘাম
কখনো তবে যায় কি বৃথা;
এ
মে দিবসে
ঐ দ্যাখো ঐ সুরম্য অট্টালিকা
আজিকার সভ্যতার প্রতীক
বিত্তের কত আনন্দ হিরিক
ছিটকে পড়ছে সে অহমিকা।
যাদের শ্রম, এ সৃষ্টির পেছনে
লেগে আছে ঘাম প্রতিটি ইটে
ভাঁজে ভাঁজে, তাদের রক্ত ফেটে
জমেছে শিশির চোখের কোণে।
কি করুণ, তাদের ভাগ্য শেষে
পৃথিবীর চাকা ঘুরায় যারা
এ সভ্যতার প্রকৌশলী তারা
কাটে দিন অবহেলায় ভেসে।
যাদের শ্রমে পেয়েছি
আমায় কাঁদতে দিবে না বলে
আমায় কাঁদতে দিবে না বলে
রাশি রাশি সম্পদে, স্তুপাকার;
চারিপাশে করেছো একাকার
কত সে কষ্ট শ্রম, ঘাম ফেলে।
আমায় কাঁদতে দিবে না বলে
মুক্ত এ উদার গগন তলে
প্রাসাদ, পাথরে মুক্তো ঢেলে
নির্মিত, নিশ্চিন্ত রবো বলে।
গোলাপ চামেলি ভর্তি বাগান
জল সিঞ্চনে করে গেলে তাজা;
লুটবো সুগন্ধ, করবো মজা,
জোছনা আলোতে
তুষার মানব
The Snow Man : অনুবাদ কবিতা
-সাইদুর রহমান
শীতেরও আছে কোমল হৃদয় মন
জানায় তাই তো, প্রীতি সম্ভাষণ;
বন প্রান্তরে, ঐ দেবদারুর মতো
দাঁড়িয়ে সরু লম্বা পাইন শতো;
জড়িয়ে ধরে যেন এ মানব তুষার
অপূর্ব ছবি মমতা ভালোবাসার।
কৃষ্ণ বর্ণ ফল, সাদা বরফে ঢাকা
করছে ঝিকমিক, যেন রঙ মাখা;
জানুয়ারির মিঠিমিঠি নম্র
আছি তো তার বন্ধনে ০১
(জন্ম জন্মান্তর)
জন্ম জন্মান্তর আছি তো তার বন্ধনে
লালিত পালিত সবি প্রকৃতির কোলে;
প্রাণে বাঁচা তারই অমৃত সুধা পানে
জীবনের শিক্ষাও তারই কাছে মিলে।
যেন তারই সন্তান আমরা এ মানুষ
দ্যাখো কত দৃঢ়, অকপট, নেই ছল;
নিহাস লোভী মোরা অল্পে হারাই হুশ
প্রকৃতি শুধু দিতে জানে মমতা ঢল।
তার
তুমি আমার একান্ত আপন
সেই রক্তবন্ধন,যেদিন থেকে হল ছিন্ন
সোহাগের সেই বন্ধন
তাই এসেছিল ক্রন্দন
হলেম এই ভুবনের, এক হিস্যা অভিন্ন।
পাখীর সে কলরবে,পশুর শঙ্খধ্বনিতে
ভুবনে মোরে, করে বরণ
বায়ু দিয়ে, ধরে এ জীবন
আলোয় ভরিয়ে দিলে, সুরুজের সে হাসিতে।
সবুজ শ্যামলে, চারিদিকে ফসলের মাঠ
মাঠে হালচাষ দেখি
মিলেমিশে কাজ শিখি
শিশির সিক্ত ঘাস দেখে, হয়
কি নিঠুর খেলা জগতে
এখনো ঐ আবর্জনা স্তূপে
পশু আর মানুষেরই ভিড়
কি পাবে কে,দ্বন্দ্ব চলে;
ঘর তো দূরে,নেই ছাদ
হলাহল ঝগড়া ফ্যাসাদ
ধরাশায়ী যেন শক্তিবলে।
ক্ষুধায় এক মুঠো ভাত
যখন বাড়ায় দু’টি হাত
চোখেতে কুয়াশা জমে;
কি নিঠুর খেলা জগতে
চলছে যেন তা অহর্নিশি
তবে কেন এ জন্ম ভূমে ?
মাঝে মাঝে এমন হয়
লিখবো না আর
দেয় পীড়া ক্ষণে ক্ষণে
একি ! দেয় উঁকি ওসব স্মৃতি, হে প্রিয়
এ হৃদয় যেন এক বালুচর
কাটিয়েছি সেখানে কত প্রহর;
হয়েছে কখনো কত প্রেমকথা
আমি তুমি ভাগ করেছিনু ব্যথা
চোখে সদাই ভাসে ঐ দৃশ্য প্রেমময়।
মনে পড়ে সবি এ বেলা, যায় না ভুলা
সুরের মূর্ছনা নিয়ত যে শুনি
আজও কানে বাজে যেন
কখন যে বড় হয়ে গেছি
কখন যে বড় হয়ে গেছি কি জানি
লাগে সুমধুর আজ যেই পাখিদের গান শুনি;
হাটা শিখেছি মার হাতদু’টো ধরে
কষ্ট পেতেন মা, ক্ষত যদিও আমার পাঁজরে।
কখন যে বড় হয়ে গেছি কি জানি
যেন বধির ছিলাম, এখন স্বপ্নের ডাক শুনি;
সে বেলা না করেছি অনুভব ক্ষুধা
কান্নার
তুমি আমার একান্ত আপন
সেই রক্তবন্ধন,যেদিন থেকে হল ছিন্ন
সোহাগের সেই বন্ধন
তাই এসেছিল ক্রন্দন
হলেম এই ভুবনের, এক হিস্যা অভিন্ন।
পাখীর সে কলরবে, পশুর শঙ্খধ্বনিতে
ভুবনে মোরে, করে বরন
বায়ু দিয়ে, ধরে এ জীবন
আলোয় ভরিয়ে দিলে, সুরুজের সে হাসিতে।
সবুজ শ্যামলে, চারিদিকে ফসলের মাঠ
মাঠে হালচাষ দেখি
মিলেমিশে কাজ শিখি
শিশির সিক্ত ঘাস দেখে,
স্বপ্ন কি শুধু মানুষেরাই দেখে
স্বপ্ন কি শুধু মানুষেরাই দেখে
নাকি বনের ঐ পশুরাও ?
উড়ছে পাখিরা গগনের বুকে
স্বপ্ন কি তবে দেখে তারাও ?
কোমরে ব্যথা আরও শ্বাসকষ্ট
সংসার সমাজে কত বৃদ্ধ;
খেলনা ঘোড়া সেজেও হয় তুষ্ট
এ রঙরসে স্বপ্নও আবদ্ধ।
নেই তখন তাদের কষ্ট ক্লান্তি
চায় ঘোড়া হতে সারাক্ষণ;
পিঠে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭১ বার দেখা
| ৮৯ শব্দ ১টি ছবি