জীবন চলে ঘড়ির মত
কখনো যেই থামে,
জীবন তাই দুঃখে ডুবে
চোখে অশ্রু নামে।
অসৎ পথে ঘোড়ার মত
মানুষ দ্রুত চলে,
সময় শেষে কষ্টে মরে
হৃদয় দাহে জ্বলে।
হৃদয়ে যেন সতত রয়
প্রেম-মমতা মায়া,
না পায় কেহ কষ্ট মনে
থাকে শান্তি ছায়া।
পরের তরে সাধ্যে যত
বাড়িয়ে দাও হাত,
মানুষজনে হিংসা নহে
না
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮০ বার দেখা
| ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
বাংলা ভাষা আমার মায়ের
ভালোবাসি খুবই,
কথা কই বা কাব্য লিখতে
ছন্দ মালায় ডুবি।
বীর বাঙালি রক্ত ঢেলে
আনল বাংলা ভাষা,
জনগণ তাই বেজায় খুশি
পূর্ণ মায়ের আশা।
সালাম রফিক বরকত জব্বার
বাংলা ভাষার তরে,
রক্ত স্রোতে ভাসিয়ে প্রাণ
আনে বাংলা ঘরে।
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
বছরে যেই আসে,
বাংলার
সুখের রজনী পাবে গো সজনী
শ্রম-ঘাম ফেলে যাও,
কখনো না তবে বিফল না হবে
ফল হাতে হাতে নাও।
তব ঘামখানি দিয়ে হাতছানি
বলে ‘নিয়ে যাও সুখ’
অলসতা জেনো দুখ দেয় মেনো
তারি দাহে পুড়ে বুক।
ঘাম ঝরে বলে সুফল যে ফলে
সুখের প্লাবন নামে,
শ্রমের বদলে দুখ যায় চলে
সুখের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮২ বার দেখা
| ৮৮ শব্দ ১টি ছবি
আসলে যেন আমাদের এ জীবনটা
পথিকের সে বিরাম স্থল
যেন ভূতল অসমতল;
যেন মানুষের কৌতূহল
যেন এ কচু পাতার জল
যেন সস্তা সে এক খেলনা সাদামাটা।
আসলে জীবনটা অকূল সে সমুদ্র
গল্প কাহিনীর চিত্র ছায়া
কখনো এ অন্ধ স্নেহ মায়া;
কখনো মেলে না মায়া দয়া
কখনো নেই মানুষে হায়া
কখনো অশান্ত
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০০ বার দেখা
| ১৩১ শব্দ ১টি ছবি
পরিযায়ীর গল্প
সাইদুর রহমান
অতিথি পাখি আসতে পারে
ষড়ঋতুর দেশে,
দেশের পাখি ‘স্বাগত’ বলে
বরাবরই হেসে।
দূরের দেশে বাস করেও
প্রিয় বাংলা ভূমি,
আদর স্নেহ দেয় যে ঢেলে
কাছে টানে যে চুমি।
শীতেরকালে মোদের দেশে
পায় আরাম খুর,
সাগর পাড়ে খেয়ে বেড়ায়
দেয় আমোদে ডুব।
অতিথি সেবা বাংলাদেশে
বিশ্বে করেছে নাম,
ছাড়ে তাই যে সাইবেরিয়া
ছাড়ে তাদের ধাম।
অনায়াসেই খাল-বিলেতে
পোকা-মাকড়
রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া।
জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ?
সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী বিরামহীন
ভারি অবাক লাগে
বন্ধু দিবসে আমার মনের কোণায়
উঁকি মারে কত প্রিয় মুখ;
কত বছর পরে কে যে তবে কোথায়
পেল সুখ নাকি শুধু দুখ।
নিয়ত মনে পড়ে এখনো তোমাদের
কাঁদি, বসি যখন একাকী;
পালিয়ে গেলে আকাশে ফেলে আমাদের
কি অপরাধে দিলে গো ফাঁকি।
আগে না হতো
আবারো হাসে
আসলে যেন আমাদের এই জীবনটা
অসমতল ভূমি এক খণ্ড;
এক মুহুর্তে সকলই পণ্ড
যেথা তুফান উঠে আসে ঝড়-ঝাপটা
হাহাকার ও রক্তারক্তি খেলা অনাবিল
কত তিক্ত দুর্ভোগ জীবনের
সুখ ও প্রশান্তি নেই হৃদয়ের
আকাশের মুখখানি তাই দেখায় নীল।
দুর্বিসহ জীবনে অসংখ্য ঝড়ের শেষে
বন্দী সুখেরা নিয়তির কারাগারে
ফিরে আসে আবার হৃদয় ঘরে
থামে জীবনের কান্না,,আবারো
সেদিন ১৯৭২-এর ১০ই জানুয়ারী
প্রতীক্ষায় তখন আসমুদ্রহিমাচল
কোটি মানুষের স্বপ্ন হলো উচ্ছ্বল
বাংলার মাটি কলরবে গেল ভরি।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ
সাত কোটি মানুষ হলো শান্ত তৃপ্ত
আনন্দ-গুঞ্জনে চারিদিক মুখরিত
জনতার ঢল যেন এক বিস্ফোরণ।
বিমান ছুঁলো বাংলার মাটি ; আর
বেড়িয়ে আসেন কিংবদন্তি নেতা
প্রতিষ্ঠাতা,
দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে মনে বাঁধে স্বপ্ন বাসা
শক্তি জন্মে সেই ক্ষণে পূর্ণ হয় আশা;
পদ্মাসেতু সে প্রমাণ জ্যান্ত তার ছবি
গর্ব ভরে ভাসমান, যেন হাসে রবি।
শেখ হাসিনার চিন্তা এ দেশের তরে
এ যে তাঁর প্রেমবার্তা অভিভূত করে;
অসম্ভব যেন হলো,