হুমায়ূন আহমেদের বইগুলির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক যেটা আমার কাছে মনে হয় তা হচ্ছে “এপিগ্রাম”। বই পড়ার সময় এপিগ্রাম গুলি সহজাত ভাবেই আমার চোখে পড়ে, আর সেগুলিকে আলাদা করে টুকে রাখাটা আমার স্বভাব। শত শত বইয়ের এপিগ্রাম দুটি ডায়রিতে লেখা আছে। এখনও বই পড়ার সময় এই অভ্যাস নিরবে কাজ করে যায়। তারই ফল এই লেখাগুলি। এখানে আজ হুমায়ূন আহমেদের লেখা “অচিনপুর” উপন্যাসের এপিগ্রাম শেয়ার করবো।
১। শিল্পীরা সব সময়ই শিশুদের আকর্ষণ করে।
২। ভয়টা বহুলাংশে সংক্রামক।
৩। কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়েন, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য নিজে এসে ধরা দেয়।
৪। স্মৃতিকে সব সময় বিশ্বাস করা চলে না।
৫। ক্ষমতাবান লোকরা সব সময় নিঃসঙ্গ জীবন কাটায়।
৬। অল্প বয়সে স্নেহটাকে বন্ধন মনে হয়।
৭। না চাইতে যা পাওয়া যায় তা সবসময়ই মূল্যহীন।
৮। কোন একটি বিশেষ ঘটনার কাল্পনিক চিত্র যদি বারবার আঁকা যায় তাহলে এমন একটা সময় আসে যখন সেই কাল্পনিক চিত্রকেই বাস্তব বলে ভ্রম হয়।
৯। আপাত কার্যকারণ ছাড়াই যে সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপার ঘটে তাই কেমন করে পরবর্তী সময়ে মানুষের জীবন বদলে দেয়।
১০। মেয়েরা খুব সহজেই ভালোবাসা বুঝতে পারে।
১১। একঘেয়ে কোন কিছুতেই আকর্ষণ থাকে না।
১২। রূপ আর কয় দিনের? নিম ফুল যয় দিনের।
১৩। নিজেকে অবাঞ্ছিত ভাবা খুব কষ্ট ও অপমানের ব্যাপার।
১৪। যাবতীয় দুর্বোধ্য বস্তুর জন্য মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকে।
১৫। সুখ এবং দুঃখ আসলে একই জিনিস। সময়ের সাথে সাথে সুখ বদলে গিয়ে দুঃখ হয়ে যায় আবার দুঃখ হয়ে যায় সুখ।
“অচিনপুর” উপন্যাসটিতে এই ৫ টি এপিগ্রাম আমার নজরে এসেছে।
loading...
loading...
এপিগ্রাম আমার কাছে সব সময়ই অসাধারণ লাগে। মাঝে মাঝে কোন বই পড়ার সময় ভালো লাগার অংশ গুলোন আমিও সংগ্রহ করে রাখতাম। এখন আর পারি না। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দস্যু ভাই। শুভ সকাল।
loading...
আমি এখনো এপিগ্রমা টুকে রাখি।
loading...
এই তো আরেকটা পেয়ে গেলাম। খুশি হয়েছি ছবি দা।
loading...
আরো অনেক পাবেন।
loading...
কথা গুলোন সরল সমীকরণে স্মরণ রাখার মতো। গ্রেট।
loading...
হুমায়ূন আহমেদের লেখায় এদের বিশেষ উপস্থিতি লেখাকে আকর্ষণীয় করেছে।
loading...