হাতের শেষ পারাবতটিও উড়িয়েছি আকাশে
ঝরে গেছে দশ আঙুলে ফোটা প্রজাপতি ফুল
দিগন্তের নীল লুটে নিলো কালো কালো মেঘ
শহরের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টকে পিছে ফেলে
বলেছি- আজ রাতে আর ঘরে ফিরবো না।
.
দূরে বহুদূর সপ্তর্ষিমণ্ডলে কার মুখ ভেসে ওঠে
কার মুখ ক্ষণিক দেখা দিয়ে মেলায় তমসায়
এই সে দেখা দেয় পূর্বে এই আবার পশ্চিমে
এই আবার হারায়, নাই কোথাও সে নাই
জলে যে প্রতিবিম্ব সে আমি না চারুলতা!
.
ঘুম ঘুম চোখে অস্পষ্ট কণ্ঠে বলিনি তোমার নাম
মনে মনে বলেছি- আজ সব ব্যর্থ পঙ্তির জন্ম দেবো
যে পঙ্তি মস্তিষ্কে গতরাতে মরেছে শিরোনামহীন
যে পঙ্তি তোমার ওষ্ঠে ঠাঁই পাইনি কোনোদিন
ওদের বলেছি- চারুলতার কাছে আমার অনেক ঋণ।
.
কে চারুলতা? চারুলতা আমার বহু পুরোনো মদ
দূর আকাশে যে মুখ ভেসে ওঠে বার বার, কে সে?
চারুলতা ঘুমিয়ে গেলে কে আর থাকে জেগে?
কে বলে আর- সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য।
ল্যাম্পপোস্টকে বলে দিয়েছি- আজ আর ঘরে ফিরবো না।
.
যা পারাবত আরো দূর আকাশে চলে যা
তোকে আর ডাকবো না এই গোধূলী বেলায়
এখানে বড্ড হানাহানি স্বার্থের দ্বন্দ নোংড়া খেলা
আমাদের দেখা হবে নীলিমায়, দেখা হবে সপ্তর্ষিমণ্ডলে
ছায়াপথ মহাকাল কৃষ্ণগহ্বর যেখানে একাকার।
.
চারুলতা, তোমাকে দেবার নেই কিছুই, আমার শূণ্য আঙুল
চারুলতা, এখানে পাবার নেই কিছু্ই, জলে ভেসে গেছে ফুল
সবগুলো ব্যর্থ পঙ্তি শুধু কাঁদে অষ্টপ্রহর রাতদিন
রাতের ল্যাম্বপোস্ট শুধু জানে- চারুলতার কাছে আমার ঋণ
চারুলতা, ও চারুলতা, কোন্ সপ্তর্ষিমণ্ডলে তুমি থাকো?
loading...
loading...
আপনার লিখার স্বতন্ত্রতা এবং পরিপাটি শুদ্ধতা
লিখাকে অন্য সব লিখা থেকে সহজেই আলাদা করে নেয়া যায়।
অভিনন্দন মি. প্রবাল মালো। আমাদের অভিনন্দন আপনার জন্য। ভালো থাকুন।
loading...
আপনার লিখার স্বতন্ত্র এই বৈশিষ্ট্য আপনাকে বহু উচ্চে নিয়ে যাবে একদিন একথা নিশ্চিত করে বলা যায়। শুভকামনা আপনাকে প্রিয় কবি !
loading...