প্রবাল মালো-এর ব্লগ

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা,
ক্লান্ত আমি-
নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো।
কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু,
জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না,
প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের,
প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া,
মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ,
নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট
শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো
অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত!
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে?
তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার
দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো,
সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়;
তবু কেন মানুষ নয়!

অনুকাব্য- ০২
প্রিয়তমা, বিশ্বাস করো–
এই জীবনেও ব্যর্থ হলাম। পড়ুন
কবিতা | | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৭ বার দেখা | ৬ শব্দ
অনুকাব্য-০১
আমি চলে যাচ্ছি বলে
দিনে দিনে সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী
এবং তুমিও পড়ুন
কবিতা | | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩০ বার দেখা | ১০ শব্দ
অারো এক বিপন্ন বিষ্ময়...
অারো এক বিপন্ন বিষ্ময়...
ছবিটি বছর সাতেক অাগের। অামরা পাঁচ ভাই বোন। জীবন চলেছে ব’য়ে! অামাদের এক একজনের জীবনে এক একটি গল্পের জন্ম হয়েছে। গল্পগুলো সুখ-দূঃখ, ঘাত-প্রতিঘাত, টানাপোড়েন ও জীবনযাপন নামক নানা সংগ্রামের। একদা দেশউদ্ধারের কাজে মিছিল-মিটিং-পার্টি করেছি। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল বিপ্লবের, স্বপ্ন পড়ুন
জীবন | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১১৮ বার দেখা | ১৫৩ শব্দ ১টি ছবি
তথৈবচ
জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো
এক জীবনে একটি মানুষ
এক আকাশে একটি ফানুস
উড়িয়ে দিলে কার ক্ষতি হয়?
ঘর যদি হয় বিশাল আকাশ
কে আর করে ঘরে বাস!
এক আকাশে একটি ফানুস উড়িয়ে দিয়ে
রাতের দূঃখী তারাকে চোখ রাঙিয়ে
তোমার চোখের মহুয়া করে পান
জীবনটাকে উড়িয়ে দেবো সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো।

বহুকাল পড়ুন
কবিতা | | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭০ বার দেখা | ৮২ শব্দ
নগ্ন রাজপথে
জ্যোৎস্নার সংগ্রাম তখনও অবিরত জোনাকির বিরুদ্ধে, চাঁদের
জবাবদিহিতা সূর্যের প্রতি তীব্র হয়ে ওঠে, নক্ষত্রগুলো প্রচণ্ড গতিতে
ছোটে মাটির দিকে, দুয়ারে ছেয়ে যাওয়া তমাল
পিষ্ট হয় অপেক্ষারত প্রেমিকের পায়চারিতে;
তবে আজ রাতে তুমি কি আসবে?
সাদা ক্যানভাস আর তুলির আকর্ষণ ক্রমশ বিপরীত থেকে
বিপরীতমুখী- প্রত্যেকেই কর্মহীন-বেকার বসে ধুলোয় পুরোনো তাকে,
সারাদিন রোদে পড়ুন
কবিতা | | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৪৬ বার দেখা | ৯১ শব্দ
হত্যা অথবা ভালোবাসা
হত্যা অথবা ভালোবাসা
কেবল সবাই হত্যা করতে চায় আমাকে,
শৈশব থেকে মধ্য যৌবন হন্তারকের দৃষ্টি এড়িয়ে চলেছি প্রতিদিন।
কেউ কেউ চাইলো ভালোবেসে হত্যা করতে-
ভালোবাসলে বুঝি দুধের পেয়ালায় মেশাতে হয় হেমলক?
ভালোবাসলে বুঝি দু’হাতে পেরেক ঠুকে ঝুলিয়ে দিতে হয় ক্রুশে?

আমার আত্মজীবনীর পাতায় পাতায় শুধু হত্যার ষড়যন্ত্র দেখি,
দেখি আমাকে ভালোবেসে হত্যার উৎসবে পড়ুন
কবিতা | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০২৫ বার দেখা | ৯৫ শব্দ ১টি ছবি
কুকুর
কুকুর
বড় বেশি প্রয়োজন বোধ করি তোমাকে আজ
নিজেকে বড় অভাবী মনে হয়
ঠিক এমনটি হয়তো বা মনে করে না-
কোনো পিতৃ-পরিচয়হীন রাস্তার শিশু।
রাতের প্রত্যেকটি তারা-নক্ষত্ররাজি
তোমার প্রতীক্ষায় অবসন্ন,
এখনও অস্তিত্বের গানে নির্ভুল ভূমিকায়
আরশোলা, বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি, বেলা শেষের
লাল টকটকে সূর্য।

যা কিছু আমি বুঝতে পারিনি
যা কিছু আমার বোধগম্য হ’লো না পড়ুন
কবিতা | | ৯ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৫১ বার দেখা | ৬৭ শব্দ ১টি ছবি
রক্ত নয়, বেশ্যার সিঁদুর
মুছে ফেলো স্মৃতিরাশি, কাগজের নৌকায় ভাসাও পাতার শরীর
গতরাতে বেশ্যার ঘরে মরেছে ফ্রয়েড লজ্জায় ও ক্ষোভে
কবিতার সাথে কবির হয়েছে অন্ধকারে রক্তচোখা দৃষ্টি বিনিময়
না গো প্রিয় নারী, রক্ত নয়- শরীরে লেগেছে বেশ্যার সিঁদুর

শোনো আর না শোনো- ওদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না কবন্ধ প্রেমিক
ফুলের বাগানে প্রস্ফুটিত কলি আসে পড়ুন
কবিতা | | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৯৩ বার দেখা | ৯৭ শব্দ
তারপর
তারপর কত গল্প মিশে গেছে পৃথিবীর পথে,
কত তারা ঝরে গেছে মধ্যরাতে।
বহু শতাব্দী আগে কোনো এক শেষরাতে
ঘুম ভেঙে গিয়েছিল বলে দেখেছিলে অকৃত্রিম জ্যোৎস্না,
আর আমি আকণ্ঠ জ্যোৎস্নাপানে অতৃপ্ত হয়ে
ছুটেছিলাম তোমার নগরে এক বিন্দু জলের আশায়।

তারপর কেটে গেছে অনেক শতাব্দী,
নদী আর সাগর ভরে গেছে বরফ গলে গলে।
তারা পড়ুন
কবিতা | | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৫৭ বার দেখা | ৮৩ শব্দ
অন্ধকার
অন্ধকারে ছিলাম অন্ধকারে আছি অন্ধকারে হারিয়ে যাবো।
অন্ধকার আমার কণ্ঠনালীতে,
অন্ধকার আমার শিরায় শিরায়,
অন্ধকার আমার রক্তে।
আমার পূর্বপুরুষ অন্ধকার ভালোবাসতো,
আমি অন্ধকার ভালোবাসি,
আমার উত্তরসূরিও অন্ধকার ভালোবাসবে।
আমি আর চোখ মেলে দেখবো না,
চোখ মেলে দেখতে পারে ক’জন?
আমি আর আলো দেখবো না,
তাই জোনাকিকে বালিশে চেপে রাখি সারারাত-
শ্বাসরোধ করে হত্যা করি বারংবার।
আমি পড়ুন
কবিতা | | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯২৪ বার দেখা | ৭৬ শব্দ
উচ্চাভিলাষী
যদিও বৃষ্টির পূর্বমুহূর্তে মেঘের গর্জনে
অসামান্য উচ্চাভিলাষী মানুষেরা,
সন্ধের অবকাশ যাপনের অগোচরে
পাগলের প্রলাপ ও কবিতার পঙ্‌ক্তির
পার্থক্য নির্ণয় অযোগ্য।

আমি জানি, ফসলের কতভাগ
কৃষকের গোলায়, কতটা শোষকের ঘরে,
শ্রমিকের রক্তশূন্য দেহে লোভাতুর
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এখনও কোন্‌ প্রভু,
রাজপথ প্রিয় স্বপ্নগুলোকে
ফুটপাথের অন্ধগলিতে বিক্রি করে কারা,
কারা পুরুষের বেশে প্রতিরাতে
বালিকার দেহে ভিড় জমায়।

তুমি জানো পড়ুন
কবিতা | | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬০৬ বার দেখা | ৬০ শব্দ
চশমায় বৃষ্টি
সারারাত বৃষ্টি ঘরের চালে টাপুর টুপুর-
যেন অভিমানী নর্তকীর নুপুরের শব্দ।
তুমি বলেছিলে- মেঘ ও বৃষ্টির
গোপন প্রণয়ের ইতিকথা
আর তাদেরই বিরহের আখ্যানভাগ।
সেই থেকে রাত জেগে জেগে
অভাগিনী বৃষ্টির কান্না শুনি-
নিজেরই বুকের ভেতর,
সে কাঁদে, সে অভিমান করে, সে হাসে,
নিজেরই বুকের ভেতর। বৃষ্টি হলে সারারাত মেঘ ঘুমিয়ে থাকে
অবুঝ শিশুটির মতো,
বৃষ্টি হলে পড়ুন
কবিতা | | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৫৩ বার দেখা | ৫২ শব্দ
রাত্রি, অষ্টাদশী অনূঢ়া
রাত্রি, তুমি অষ্টাদশী এক সুন্দরী অনূঢ়া,
সারা শরীরে তোমার কাঁচা সোনা।
রাত্রি, তোমাকে ছেড়ে যেতে চেয়ে যেতে পারি না
যখন ভাবি ছেড়ে যাবো-
তুমি আমাকে হাত ধরে টানতে টানতে
নিয়ে যাও স্নানঘরে, ঝরণার জলে ভিজিয়ে
দেখাও তোমার নগ্ন শরীর;
আমি ফিরতে পারি না
আমার ফেরা হয় না ঘরে
কেবল তাকিয়ে থাকি আর মুগ্ধ পড়ুন
কবিতা | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬২২ বার দেখা | ১২৮ শব্দ
চারুলতার জন্য পঙতিমালা
হাতের শেষ পারাবতটিও উড়িয়েছি আকাশে
ঝরে গেছে দশ আঙুলে ফোটা প্রজাপতি ফুল
দিগন্তের নীল লুটে নিলো কালো কালো মেঘ
শহরের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টকে পিছে ফেলে
বলেছি- আজ রাতে আর ঘরে ফিরবো না। দূরে বহুদূর সপ্তর্ষিমণ্ডলে কার মুখ ভেসে ওঠে
কার মুখ ক্ষণিক দেখা দিয়ে মেলায় তমসায়
এই সে দেখা দেয় পূর্বে এই পড়ুন
কবিতা | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৮০ বার দেখা | ১৮৬ শব্দ
মুক্তি

ছেঁড়া চটির কাছে আমার দু’পা একুশ বছরের সশ্রম কারাবন্দি,
প্রলাপের ভঙ্গিতে উঁকি মারে মুক্তির আবেদন
বৃষ্টি ও কবিতার যৌথ কর্ম-বিরতির দিনগুলোতে;
মুক্তিদাতা আজ প্রত্যেকেই আমার চারপাশে-
তবু হুইল-চেয়ারের মুক্তির জন্যে
অথর্ব পিতার মৃত্যুকামনাও বাদ পড়লো না ভাবনায়। ২
সিদ্ধার্থও একদিন চেয়েছিলেন মুক্তি
কবে এক গভীর পূর্ণিমা রাতে, হয়তো
চাঁদ বলেছিল- ‘হে পথিক কোন্‌ পড়ুন
কবিতা | | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫২৬ বার দেখা | ৬১ শব্দ