সালঃ ২০১৬ইং
আমি পুরুষ,আমার কাছে এখন সবকিছু যেমন সহজবোধ্য
আর তুমি নারী,তোমার মাঝেও তা অবশ্যই গতানুগতিক হওয়াটা স্বাভাবিক।
তুমিতো জানো, আমি ছিলাম বরাবর-ই কবিতাপ্রেমী।
কত কবিতা শুনিয়েছি তোমায়-তোমার অনিচ্ছায়;
ছিলে কখনো ঘুমে আবার কখনো রাত পোহানো অনাগ্রহে।
সবকিছুর ঘটেছে সমাপ্ত-অসমাপ্ত নাট্যমঞ্চে।
নাট্যমঞ্চের কথা থাক্ বরং কিছু বাস্তবতার কথা বলি; যা শুনেছি তোমার নামে।
ইদানিং তুমি কবিতা পড়তে ভালোবাসো।
‘জেলখানার চিঠি’ পড়ে বুঝে গেছ প্রিয়তম’র এখন চিঠির সংসার
হাজারটা চিঠি লিখলেও তার সঠিক সারাংশ-এর খোঁজ মিলবে না ব্যস্তময় ঘোলাটে খামে;
যেখানে তুমি প্রিয়তমা একদম ক্লান্ত।
আর তাই অপেক্ষা শব্দটির পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছ নিজের মেরুদণ্ড।
চিঠি আসুক আর না-ই বা আসুক উত্তর দেওয়াটা;
দৈনন্দিন চস পানের মত নিয়ম বিশেষ
এবং শোকের আয়ুও কমে গেছে তোমার মাঝে,
আগের চাইতে অনেক বেশী।
‘যদি তুমি ফিরে না আসো’ কবিতাটাও নাকি বেশ প্রিয় তোমার!
ভুলে যাওয়ার, মুছে ফেলার জন্যই নাকি পড়ে-পড়ে দক্ষ করে তুলছো নিজেকে?
ভেবেও নিয়েছ তুমি ঠিক যেমন ছিলে তেমন আছ।
শুধু বদলে যায়নি বুনো ঘোড়ার খুরের ক্ষত
আর মরুভূমিতে মিলিয়ে যাওয়া আমার চিৎকার
সব থেমে যাবে একদিন ঠিক হৃৎস্পন্দনের মত।
‘বারবারা বিডলারকে’ লেখা কবিতাটাও নাকি বেশ জমে উঠেছে তোমার মাঝে!
কালো ব্রেসিয়ারে ঢেকে গেছে তোমায় হৃদয়
সোফিয়া লোরেনের সাথে ঘটে যাওয়া সবটুকু ছিল অভিনয়
পূর্ব বাঙলার শরণার্থীদের সাথে শিউরে ওঠা ঘটনাগুলো; এখন নিত্যদিনের বস্তা পচা খবর।
পাক হানাদের কসরত চলে দৈনন্দিন পথে-ঘাটে, শহর-বন্দরে
এতে বর্তমান বাঙলার শরণার্থী লক্ষ ছেড়ে ঠিক কত কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে
তার হিসেব মিলবে না তোমার-আমার এই এক-
যৌবনকালে।
সালঃ ২০৩৬ইং
চলমান তোমার সাংসারিক জীবন। বড় হচ্ছে তোমার আর তার প্রজন্ম। প্রজন্মকে কিছু শিখিয়ে দিও; রাখুন না কিছু জ্ঞান ধারণে, চিন্তা-চেতনায় খেলা করুক যতটা আমি তোমাকে গল্প করে বলতাম। ব্যস্ততার ফাঁকে শপিং আর বই পড়তে নাকি খুব ভালোবাসো! এখনো সেই পুরাতন অভ্যেস; বাসি মুখে চা পান আর সন্ধ্যায় স্নান করা ভুলোনি। তাও শুনেছি। শুনেছি আর কত কি …
শুধু শুনিনি, আমায় ভুলে গেছ ঠিক কত বছর আগে?
আর মনে পড়লেও ঠিক কতবার, কতদিন পরে মনে পড়ে, ভুলক্রমে-এই আমাকে …
রচনাকালঃ ১৩-১০-২০১৬ ইং।
loading...
loading...
কবিতাটিতে এই জীবন আর সেই জীবনের অনুভব অনুভূতির যে প্রকাশ চিত্রায়িত হয়েছে তাকে আমি শুধু নস্টালজিয়া না বলে চেতনালুব্ধ দূরদর্শী ভাবনার প্রকাশ বলতে পারি।
আমার মনে আছে আপনি আমার কাছে প্রায়ই জানতে চাইতেন লিখা কেমন হচ্ছে !!
আমি শেষের দিকে যেমন বলেছি এবং আজকের প্রথম প্রকাশে সেই কথাই বলবো :
বেশ ম্যাচিউরড হয়েছে আপনার লিখা। শুভেচ্ছা প্রিয় প্রলয়। ভালো থাকা চাই।
loading...
শুধু শুনিনি, আমায় ভুলে গেছ ঠিক কত বছর আগে?
আর মনে পড়লেও ঠিক কতবার, কতদিন পরে মনে পড়ে, ভুলক্রমে-এই আমাকে …
সেদিন আর এই দিনের মাঝের সেতু কি একই থাকে কবি?
কখনও চর পরে আবার কখনও সেতুই ভেঙ্গে যায় তবুও মানুষের মন!
বেশ ভাল লাগল!
loading...
বেশ ভালল লগল পরিচ্ছন্ন গুছানো পরিপক্ক এই কবিতখানি।
আমি আপনার লেখার নিয়মিত পাঠক নই আমি তবে এখন থেকে নিয়মিতভাবে আপনার লেখা প্রত্যাশা করি।
শুভ কামনা আপনার প্রতি।
loading...
অনেকদিন পর আপনার এমন একটা লেখা পড়লাম। ভালো লাগল দাদা
loading...