-হাসমত মিয়া, কই যাও?
-হাটে যাই মিজান ভাই।
-ভালা আছনি?
-আল্লায় রাকছে।
-তোমার কাছে কিছু টেক্যা পাইতাম মনে আছেনি?
-মিজান ভাই, এ বছর বন্যায় সব ভাইস্যা গেছে, টেক্যাডা…
-আচ্ছা বুঝছি, অসুবিদা ন্যাই। শোন, আমগো কালু ভাইরে তো চেনো?
-হ..
-সে তো এখন বিরাট মানুষ হইয়া গেছে। সৌদি আরবের ১০০ খানা ভিসা আনসে। সৌদির বাদশা গো লগে চলা ফেরা করে বুঝইতো।
-তাই নাকি? আমারে একখান ভিসা লইয়া দেন না ভাই।
-কিন্তু এহন তার কাছে সব ম্যাইয়াগো বাসাবাড়ীর কামের ভিসা, পোলাগো ভিসা বন্ধ,তয় বাদশার লগে কালু ভাইয়ের কথা হইছে ৬ মাস পরে পোলাগো ভিসা দিব। এক কাম কর না, তোমার ম্যাইয়া রে পাঠায়ে দেও, ছয়মাস পরে তুমার ম্যাইয়া কামাইয়ে ট্যাকা দিলে তুমি চইল্লা যাবে। তখন বাপ আর ম্যাইয়া মিলা একসাথে মাল কামাইবা।
-না! ম্যাইয়া রে না! ম্যাইয়া মানুষ কাম করবো ক্যা? ছয় মাস পরেই আমি যামু।
-আরে ধুর মিয়া, তুমি কোন যুগে থাক? বিদেশে পোলা ম্যাইয়া সমান। আরে, বিদেশ ক্যা, তুমি ঢাকা গ্যেসিলা দেহ নাই? ম্যাইয়ারা আফিসে কাম করে। আমাগো টিএননো ম্যাডামরে দেহ না? খালি চিন্তাকর, যখন তুমার ম্যাইয়া যখন বিদেশ থেইক্যা মাল কামায়্যা আসবো তখন কার লগে বিয়া দিবা? মেমবরের পোলার লগে? নাকি চেয়ারম্যানের পোলার লগে?
-কিন্তু ওয়তো আরো পড়ালেখা করবার চায়।
-সমস্যা নাই, যে সৌদিরবাড়ীতে কাম করবো সে তো কালু ভাইয়ের বন্ধু। কালু ভাই কইলে স্কুলে ভর্তি কইরা দিব। সৌদি ম্যাইয়া গো সাথে স্কুলে যাইবো…বুঝলা মিয়া।
-কয় ট্যাকা লাগবো মিজান ভাই?
-সবাই ৫লাখ দিয়াও ভিসা পাইতেছে না তয় তুমি নিজেগো লোক কালু ভাইরে কইয়্যা ৫০ হাজার কম কইরা দিমু নে।
-আপনি যা ভালা বুঝেন মিজান ভাই তাই কইরা দেন। আর কত দিন জমি চাষমু। জমিডা বেইচ্যা ফালামু।
-জমি দিয়া কি করবা? মাইয়্যা গেলে ঐরহম জমি ১০ ডা কিনবার পারবা। কাইল সকালে রেডি থাইক্কো মাইয়্যারে আর তুমারে লইয়া কালু ভাইয়ের বাড়ীত যামুনে।
হাসমত মিয়ার খুশি যেন আকাশের চাঁদের সমতুল্য।
এক মেয়ে, ছোট ছেলে আলামিন আর স্ত্রী মরিয়মকে নিয়ে কোন রকম সংসার চলে। আজ হাটে থেকে একটু তারাতারি বাড়ী ফিরে আসে হাসমত মিয়া।
-কই …..আসমানীর মা…..ও…আসমানীর মা…..এদিকে আহ, একখান সুসংবাদ আছে !!!
-কি ওইছে ?
-আসমানী কই?
আসমানী: জ্বি বাজান?
সব ঘটনা খুলে বলার পর, আসমানী এবং মরিয়ম বেগমের চোখ জ্বল জ্বল করে ওঠে। যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসে …এর মধ্যে আসমানীর ছোট ভাই আলামিন এসে বলে,
-বুবু যখন বিদেশ থেইক্যা আসবো আমার লেইগ্যা চামের জুতা আনতে ওইবো….
পরের দিন হাসমত মিয়া ও আসমানী, মিজানের সাথে কালুর বাড়ী যায়।
কালু: হাসমত মিয়া তুমার ম্যাইয়ার বয়স কত?
হাসমত: ১৬ বছর হইবো কালু ভাই।
কালু: এত কম বয়সেতো পাসপোর্টে ভিসা ইস্যু হইবো না।
হাসমত: তয় কালু ভাই উপায়?
মিজান: ৫ হাজার ট্যােকা দিলে আমি জন্মনিবন্ধন ঠিক কইরা দিতে পারমু। টেক্যাতো আমি লমু না, যারা কাম করবো তারাই লইবো।
হাসমত: সমস্যা নাই দিমু তয় কামের পরে টেক্যা।
হাসমত মিয়া মনে মনে ভাবে “আমারে কি বোকা পাইছো? কাম হইলে টেক্যা দিমু।
কালু: হাসমত মিয়া ভিসার টেক্যা তো আগেই দিতে ওইবো মিজান তো তুমারে সব কইছেই, রাজি থাকলে একসপ্তার মইধ্যে আধা টেক্যা দিতে হইবো আর বাকিডা কাম হওনের পরে।
তাইলে আমরা অহন আসি কালু ভাই, মিজান বলে।
একসপ্তার মধ্যে জমি বেচে টাকা দেয় হাসমত। সব কিছু যেন ঝড়ের বেগে হতে থাকে, পাসপোর্ট, মেডিকেল, ভিসা প্রসেসিং, আর টিকেট।
আসমানী: বাজান, মার লগে কইলাম ঝগড়া করবা না। আর একটু চিন্তা কইরো না আমি যাইয়্যাই তুমারে ফোন দিমু।
হাসমত: তুইও কোন চিন্তা করিস না আমরা ভালা থাকুম।
মরিয়ম: ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করিস।
আলামিন: আমার লেইগ্যা কিন্তু চামের জুতা আনবাই আনবা।
মিজান: তারাতরি চল আসমানী, দেরী হইয়া যাইতাছে।
মরুর দেশে উড়াল দেয় আসমানী-
বিকেল ৪টা-
কিং খালিদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট-
আসমানী সহ আরো চারজনকে বসিয়ে রাখা হয়েছে একটি ওয়েটিং রুমে। আসমানীর চোখ যেন থামে না যেন ছুতে চায় সুন্দরের সব কণা গুলো। কিছুক্ষন পর এয়ারপোর্টের এক লোক সহ সাদা জুব্বাওয়ালা একজন আসে।
আসমনী দেখে লোকটা দেখতে একদম তাদের গ্রামের ঈমাম সাহেবের মত।
আসমানীর কাছে আসে তারা।
লোকটি: আস্সালামুআলাইকুম। ক্যাইফ্যা হাল? (কেমন আছ ?)
আসমানী লজ্জা পায় সাথে একটু ভয় ! সালাম পেয়ে লোকটির সম্মান আসমানীর কাছে আকাশ চুম্বী হয়। মনে মনে ভাবে ভাগ্যটা আসলেই অনেক ভাল তার….
লোকটি : তাল,ছয়া ছয়া….(আমার সাথে আস) জিব পাসপোর্ট…(পাসপোর্ট দেও)
আসমানী কোন কিছুই বোঝে না শুধু তাকিয়ে থাকে।
আসমানীর ব্যাগ নিয়ে নেয় সে এবং হাতের ইশারায় বোঝায় তার সাথে যাবার জন্য।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সুন্দর একটা গাড়ীতে বসে তারা। ১ঘন্টা চলার পর একটা বাড়ীর সামনে গাড়ী থামে ভিতরে গিয়ে আসমানী অবাক হয় ,এত সুন্দর বাড়ী !
কিন্তু কোন মহিলা মানুষ নেই, নেই কোন বাচ্চাও। ঈমাম সাহেবের মত আরো তিনজন কে দেখতে পায় সে, তার মধ্যে দুইজন একটু বয়স্ক, মোট চারজন !
আসনানীকে থাকার একটি রুম দেখিয়ে দেয় লোকটি।
প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আসমানীর কিন্তু কিভাবে বলবে? বিশ্রাম নিতে নিতে ঘুমিয়ে পরে সে। রাত গভীর হয় কলো ছায়া এসে পরে আসমানীর ওপর!
একি করতেছেন ছাড়েন আমারে..ছাড়েন…..আমি মা’র কাছে যামু…ও…মা.. মা…
বয়ষ্ক লোকটি হুংকার করে বলে-এসসাদা , লেস গিরগির? মাফি গিরগির যাদা..আনন্তা শীল কাতির ফুলুস্।(একি, কেন কথা বলিস? বেশী কথা বলবি না। আমি অনেক টাকা খরচ করেছি)
ভয়ে শুধু চাপা গোংড়ানো আওয়াজ বের হয়, কথা বলতে পারে না আসমানী, তীব্র ব্যাথার যন্রনা বয়ে যায় শরীর জুড়ে, রঙিন স্বপ্নগুলো রক্তে লাল হতে সময় লাগে না।
লোকটি চলে যায় আগুনের চোখ দেখিয়ে, ভয় আর সাদাকালো মন নিয়ে পরে থাকে আসমানী। কিন্তু শেষ হয় না ভয়, তারপর আসে এয়ারপোর্টে নিতে আসা আসমানীর সম্মানিত ব্যক্তি। ঘৃণায় থুতু দিতে মন চায় আসমানীর কিন্তু মুথ দিয়ে থুতু বের হয় না, হয় রক্ত ….
সময়ের পালা বদল করে সবাই আসে আসমানীর ঘ্রাণ নিতে আর আসমানীর নিথর দেহ পরে থাকে অচেতন…
এভাবে চলে যায় কিছুমাস…
অপরদিকে,
হাসমত মিয়ার চিন্তা বারে, মনে মনে ভাবে মাইয়্যা বিদেশ গিয়া কি ভূইল্যা গেল নাকি? একটা ফোনও দিল না।
-মিজান ভাই, বাড়িত আছেন নাকি?
-আরে হাসমত ভাই।
-মাইয়্যাডা গেল একখান ফোনও দিল না।
-আরে তুমি মিয়া বোকাই রইয়া গেলা বিদেশ থেইক্যা ফোন আসতে ইন্টারনেট ফোন লাগে, তুমার আছে নাকি? কালু ভাইয়ের লগে কথা ওইছে তুমার মাইয়্যাতো মেল্যা সুকে আছে ।
-কালু ভাই কই আছে?
-আরে তার কি সুময় আছে নাকি? সে বছরে, ছয় মাস ঢাকা ছয় মাস বিদ্যেশ থাকে। বোঝইতো বড় মাইনষ্যের বিরাট কারবার…
-আচ্ছা যাই তাইলে।
বাড়ীর পথে হাটা দেয় হাসমত আর মনে মনে ভাবে মাইয়াডা আমার বড়ই ভাগ্যবতী।
মরিয়ম: এই যে হুনছেন আসমানীতো একখান ফোনও দিলো না। মাইয়্যাডা জন্য মনডা আনচান করতাছে। কেমন যে আছে?
হাসমত: আরে কালু ভাইয়ের লগে কতা ওইছে, খুব ভালা আছে। বিদেশ থেইক্যা ফোন আসতে ইন্টারনেট ফোন লাগে, আসমানী টেক্যা পাডাইলে একখান ইন্টারনেট ফোন কিনতে হইবো।
আসমানীর কাছে রাত দিনের হিসাব নেই। বন্ধ ঘরটাতে রাত দিন সমান লাগে, দিনে একবার দুবার খাবার পায় সে কিন্তু সেটাও এটো!
বাজান, আইজ তুমার কতা খুব মনে পরতাছে কেমন আছ তুমি? তুমার কি মনে আছে, কাধে কইরা আমারে তুমি হাটে লইয়্যা যাইতা,গরম জিলাপী কিনন্যা দিতা। বাজান- লইব্যা আমারে একটু কাধে? আমার খুব মন চায় গরম জিলাপী খাইতে ….
হঠ্যাৎ আবার কালো ছায়া দেখতে পায় আসমানী।
-আমার বাজানরে একটু ফোন দিবেন? আপনি যা কইবেন আমি শুনুম…ইশারায় বোঝায় আসমানী।
কালো ছায়ার মুখে হাসি দেখতে পায় আসমানী।
-হ্যালো, বাজান!
-আসমানী, কেমন আসিছরে মা?
-বাজান আমারে লইয়্যা যাও..আমারে ওরা মাইরা ফালাইবো।
-ক্যা রে মা… কি হইছে? ওরা কি তোরে মারে?
-বাজান ওরা কি করে আমি মাইয়্যা হইয়্যা তুমারে কইতে পারুম না..আমারে লইয়্যা যাও…
ধপ করে কেটে যায় ফোনের লাইন তারসাথে হাসমত মিয়ার বুকের মধ্যেও। কোনো কিছুই বুঝতে বাকি থাকে না তার।
-মিজান ভাই, আমার মাইয়্যা আইন্যা দেন, আপনার পায়ে পরি। আমার কিচ্ছু লাগবো না শুধু মাইয়্যাডা আইন্যা দেন।
-তুমি মিয়া অনেক জালাইতেছো। টেক্যা দিয়া তুমি ভিসা কিনছো, আমি কি সব কিছুর জ্বিম্মেদার নাকি? আমি জানি না।
-কালু ভাইরে একটা খবর দেন।
-কালু ভাই বিদ্যেশ চইল্যা গেছে আমি কিছু জানি না।
উপায় না পেয়ে হাসমত যায় (টি এন ও) ম্যাডামের কাছে, সব কিছু শুনে ম্যাডাম আর হাসমত যায় থানায়। পুলিশ মিজানকে আটক করে বয়স জালিয়াতির দায়ে।
পুলিশ: আমরা এম্বাসির সাথে কথা বলেছি। আপনার মেয়ে দালালের মাধ্যমে বিক্রী হয়ে গেছে আমরা দালালকে ধরার চেষ্টা করছি।আসলে এম্বাসি বলতে পারছে না আসমানী সৌদির কোথায় আছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
অপরদিকে আশার প্রহর গুনছে আসমানী। তার বাজান নিতে আসবেই। মিলবে নরক থেকে মুক্তি !
আবার মনে পরে যায় গরম জিলাপীর কথা।
ওয়াক…ওয়াক….আসমানী বুঝতে পারে নীল বিষে বিষায়িত সে। নতুন প্রাণের সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু সে জানে না কার বিষে বিষায়িত। হয়তো সেই অস্তিত্ব একদিন তাকে বের করে নিয়ে যাবে এই নরক থেকে। মনে মনে ভাবে আর যাবে না দেশে, তার নীল অস্তিত্বের মায়ায় থেকে যাবে আসমানী।
-হ্যালো, বাজান।
-মারে তুই কোন চিন্তা করিস না আমি তোরে নিয়া আসুম।
-বাজান, আমি যামু না। ভুইল্যা যাও আমারে …সবাই রে কও মইরা গেছে আসমানী।
হাসমত মিয়ার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হয় না। শুধু মাথায় আসে, দৌড়া হাসমত ! ডুব দে নদীর জলে !
নদীর সামনে গিয়ে দাড়ায় হাসমত। ডুব দিতে পারে না হাসমত, কলিজা ছিদ্র হয়ে হয়ে গেছে আজ তার, আকাশের পানে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে-
“আসমানীরে……ও….. আমার আসমানীইইই……আমার মা রে……”
হাসমত বিশ্বাস করে একদিন ঠিকই ফিরবে তার মা।
একই ভাবে আমরাও বিশ্বাস করি, একদিন ঠিকই ফিরবে আমাদের সকল মা।
হয়তো মৃত, হয়তো জীবিত লাশ হয়ে….
loading...
loading...
বাস্তবতার চিত্রায়ন। হামেশাই ঘটছে দেশীয় দালালদের মাধ্যমে নারী পাচারের ঘটনা। সরকারের প্রবাসী শ্রম কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানেন সব, কিছু করেন কিনা জানি না।
loading...
সরকারের প্রবাসী শ্রম কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনেক কিছু করে !
তাদের কাছে গেলে আপনার কমপ্লেন নোট করে রাখবে, পরে সেই নোট করা কাগজ সমুচা সিঙ্গারা দোকানে বিক্রি করে দিবে
loading...
মধ্যপ্রাচ্যে গৃহপরিচারিকা ভিসা এখনও চালু আছে কিনা জানি না, তবে নারী পাচার রোধে এই প্রকৃয়া বন্ধ করে দেয়া উচিত। আসমানীদের দূর্ভাগ্য যেন আর কারও না হয়।
loading...
মধ্যপ্রাচ্যে গৃহপরিচারিকা ভিসা এখন অন্যান্য দেশ গুলো বন্ধ করে দিয়েছে, শুধু বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীগুলো মারহাবা-মারহাবা করছে ,
স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নারী পাচার বন্ধ হয়নি এবং ভবিষ্যতে হবেও না
loading...
এই করুণ কাহিনী আমাকে কষ্ট দিলো। এমন ঘটনা বিচ্ছিন্ন ভাবে সংবাদ মাধ্যমে আসায় ভারত সরকার মধ্য প্রাচ্যে শুধু ডেডিকেটেড লেডি পোস্ট এগ্রি করে।
loading...
বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য সব দেশে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহপরিচারিকা ভিসা বন্ধ রয়েছে , বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের মতো শুধু ডেডিকেটেড লেডি পোস্ট এগ্রি করা
-শুভকামনা বুবুনি
loading...
এই বর্বরতার শেষ কোথায় জানিনা। তবে আমাদের গ্রাম শহরের মানুষকে সচেতন করা উচিত। সোসাইটির মানুষদের জাগরুক করতে হবে। কাউন্সেলিং করতে হবে।
loading...
এই বর্বরতার শেষ হবে না দাদা, দারিদ্র্যতা সচেতনকে দূরে ঠেলে দেয়, তবে আশার কথা হলো কাউন্সেলিংমাধ্যমে ভালো কিছু করা সম্ভব
loading...
দুঃখজনক।
loading...
সত্যিই অনেক দুঃখজনক।
loading...
প্রবাসী শ্রম কল্যাণের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দূর্নীতির বিরুদ্ধে যতদিন না শক্ত অবস্থান নেবে, ততোদিন এই মানব পাচার রোধ করা সম্ভব নয়।
loading...
একদম সঠিক কথা বলেছেন –
সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে যতদিন শক্ত অবস্থান না নেবে, ততোদিন কিছুই করা সম্ভব না
প্রবাসী শ্রম কল্যাণের মন্ত্রণালয় কাজ শুধু কমপ্লেন নোট লিখে রাখা , তাতে ফলাফল শূন্য !
loading...
এই চিত্র গুলো মনকে ভীষণ পীড়া দেয়।
loading...
এই সকল ঘটনা সত্যি কারো কাম্য না, মনকে ভীষণ পীড়া দেয়।
কিন্তু আমরা কি কিছুই করতে পারি না ?
loading...
এই বর্বরতার শেষ করতেই হবে। আরবরা জানোয়ার ছাড়া আর কিছুই না। নবী পাঠিয়েও এদেরকে আল্লাহ মানুষ বানাতে পারল না।
আরবী কথপোকথনের লাইনগুলি দিয়ে দারুন করেছেন।খুব রিইয়ালিস্টিক মনে হয়েছে।
সামু ছেড়ে দিলেন নাকি?
ধন্যবাদ।
loading...
কালে কালে যত আজাব এসেছে সব এই আরবদের উপর ধাবিত হয়েছে ,
শুরু হয়েছে এখান থেকে , শেষও হবে এখানে।
এখন সামুতে ঢুকতে ইচ্ছে করে না , এক ইডিয়েট এবং তার দলবল আছে যারা সারাদিন ঘেউ ঘেউ করে
আমি মনে করি এই ইডিয়েট টার জন্য আজ সামু বন্ধ
কারণ- দেশের সরকারি -বেসরকারি অনেক নেতা-নেত্রীকে নিয়ে তার অনেক বাজে বাজে পোস্ট আছে। এমনকি কামাল, মুহিত , হাসিনা, খালেদা , এরশাদ, জিয়া , শেখ মুজিব , আরো অনেক দেশ প্রধানকে নিয়ে যেসব গালিগাজ করে তাতে কি মনে হয় সামু চালু থাকার কথা ?
মূলত এসব কারণে সামুতে লিখতে ইচ্ছা করে না !
আসলে এভাবে চলে না ! এমন কোনো ব্লগার নাই যাকে সে গালাগালি করে নাই ! এভাবে কি চলে ? কিছু একটা করেন ! এই ইডিয়েট চুপ করলেই সামু সচল হবে, কিছু একটা করেন !
আমরা একসাথে হলে একে সাইজ করা যাবে, চলেন কয়েকজন মিলে একটা পোস্ট দেই
loading...