আলমিত্রা জানতে চেয়েছিল তিনটে বিষয়। ভালোবাসা, বিবাহ এবং মৃত্যু। আগমন ও প্রস্থান ছাড়া বিষয় ছিল ২৬টি। ওরফেলিস নগরে ৮ বছর থেকে মোস্তাফা ভাগ্যবান কারণ এই নগরীর বাসিন্দারা শুনতে ভালোবাসে।
কিছু বইয়ের স্বাধ সারা জীবন জিহবায় লেগে থাকে। ”দ্যা প্রোপেট” বইটাও এমন। জমজম কূপের মত। যত নিই শেষ হয় না। কি রান্নারে,
“বলো না, আমি সত্যের সন্ধান পেয়েছি। বল, আমি একটি সত্য পেয়েছি।”
“বলো না, আমি আত্মার সন্ধান পেয়েছি। বল, আমি চলার পথে আত্মার সাক্ষাত পেয়েছি।”
আত্মা বসবাস করে ছন্দিত নীরবতায়। ছন্দিত নীবর তারা যারা সামনে যেতে ব্যস্ত, বলাতে নয়। আলমিত্রাকে মোস্তাফা বলেছিলো, “তুমি ভালোবাসার পথ নির্দেশ করবে এ চিন্তা তুমি কর না, বরং ভালোবাসা যদি তোমাকে তার যোগ্য মনে করে তবে সে-ই তোমার পথনির্দেশ করবে। আলমিত্রা এই কথা শুনে মোটেও কেপে উঠে নাই, যেমনটা আমি উঠেছিলাম। “তোমরা হৃদয় বিনিময় কর, কিন্তু একে অপরের হাতে তা সঁপে দিও না। কারণ একমাত্র মহাজীবন তার হাতে তোমাদের হৃদয় ধারণ করতে পারে।” শিশুদের দেহকে আমরা ঘরে রাখতে পারি, কিন্তু তাদের আত্মার বসবাস ভবিষ্যতের গৃহে। সুতরাং তাদেরকে আমাদের ভাবনা দিয়ে লাভ নাই। বাহ! অসাধারণ…
মোস্তাফা পান্থশালার বৃদ্ধাকে বলেছিলেন, “তুমি যখন কনো প্রাণীকে হত্যা কর তখন তুমি মনে মনে তার উদ্দেশে বলো, যে ক্ষমতা আজ তোমাকে হত্যা করছে সেই ক্ষমতায় আমিও নিহত হচ্ছি এবং আমিও নিঃশেষ হব। তোমার রক্ত এবং আমার রক্ত স্বর্গবৃক্ষের প্রাণরস ব্যতীত আর কিছু নয়।”
কৃষক জেনে গেছে, কাজ দিয়ে জীবনকে ভালোবাসতে পারাই জীবনের অন্তরতম রহস্যের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া। শালীনতা অসচ্চরিত্র মানুষের দৃষ্টি প্রতিহত করার এক ঢাল মাত্র। পোষাক সে তো উত্তরের বাতাস।
যাযিকা জানে, যুক্তি ও আবেগ গৃহে দুই প্রিয় অতিথির মত। একজন থেকে অন্যকে বেশী সম্মান করা যাবে না। একজনের প্রতি বেশি যত্নশীল হলে, উভয়ের ভালোবাসা ও বিশ্বাস হারাতে হয়।
জিবরানকে ধন্যবাদ এমন ভোজনে নিমন্ত্রন জানানোর জন্য। শেষবার নিমন্ত্রন জানিয়েছিলেন মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ।
[বিঃদ্রঃ খাওয়ার সময় পাচকের ভুল ধরতে নাই ]
loading...
loading...
বিষয়টা জটিল, বোধশক্তির অভ্যন্তরে প্রবেশ করাইতে পারিলাম না!
loading...
খাওয়ার সময় পাচকের ভুল ধরতে নাই; তাই পোস্টের আগুপিছু না জেনে মন্তব্যের ভাষাও সংযত অথবা অসংযত করতে পারলাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে। 
loading...
ভালোবাসা তোমাদেরকে সম্প্রসারিত করবে আবার সঙ্কুচিতও করবে
ভালোবাসা তোমাদের সমুচ্চতায় উঠে তোমাদের রৌদ্রে শিহরিত পেলব শাখাপ্রশাখাকে আলুলায়িত করবে
ভালোবাসা আবার তোমাদের মৃত্তিকামূলে নেমে এসে তাকে মার্তণ্ডে জেরবার করবে।
ভালোবাসা তোমাদের শস্যের আটির মত নিজের হৃদয়বক্ষে ধারণ করবে
তোমাদেরকে মাড়াই করে খোসামুক্ত নিরাবরণ করবে, ঝাড়াই করে তুষ থেকে আলাদা করবে
তোমাদেরকে পেষাই করে শুভ্রতামণ্ডিত করবে
তোমাদেরকে দলাইমলাই করবে আর তোমরা কমনীয় নমনীয় হ’য়ে উঠবে
এবং তারপর ভালোবাসা তোমাদেরকে পূত অগ্নিতে উৎসর্গ করবে আর তোমরা পরমেশ্বরের পবিত্র ভোজনের রুটী হ’য়ে উঠবে।
loading...